আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম, আমাদের একটি সমিতি রয়েছে যেখান থেকে দরিদ্র ছেলে মেয়ে উভয় কেই শিক্ষার জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদে উপবৃত্তি দেয়া হয়ে থাকে।  সম্প্রতি এক ভাই জানালো এটা জায়েজ হবে না হয়তো।  তার কথাগুলো হুবহু তুলে ধরছি,
"আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা তো কুফর/শিরকে ভরপুর এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবুও বাধ্য হয়ে পড়তে হয়। আমরা ছেলে হয়েছি, পরিবার সামলাতে হবে তাই পড়তে হচ্ছে।তবে মেয়েদের এই শিরকি ব্যবস্থায় পড়ার জন্য সহায়তা করা কতটুকু যৌক্তিক যেখানে তার পর্দার মতো ফরজ বিধান সহ পরিবারকে সর্বোচ্চ সময় দেয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারগুলো নষ্ট হয়।  তাই আলেমের সাথে এই বিষয়ে না কথা বলে, আমরা আবার একটি হারাম কাজ বা উক্ত মেয়ের জন্য খারাপ কাজে সাহায্য করছি না তো।?"
এই ছিল ভাইয়ের মেসেজ টি।  এখন আমার প্রশ্ন টি হলো আমরা তো সওয়াবের আশায় শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিয়ে থাকি, এখন কি উল্টো গুনাহগার হচ্ছি? এখন তাহলে আমাদের করনীয় কি?  সমিতি কি অফ করে দেয়া উচিত?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


নেক ও ভালো কাজে মানুষকে সহায়তা করতে হবে,গুনাহ ও মন্দ কাজে মানুষকে সহায়তা করা যাবেনা।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষার জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদে উপবৃত্তি দেয়া এটি ভালো কাজ।
এ কাজে সহযোগিতা করলে মহান আল্লাহ তায়ালা ছওয়াব দান করবেন।
,
দেশের পাঠ্যপুস্তকে কুফর/শিরক থাকলেও পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে কুফর/শিরক বলার সুযোগ নেই।
এই শিক্ষাব্যবস্থাকে আজ পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞ মুফতী সাহেব কুফর/শিরক বলে আখ্যায়িত করেননি।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারা শিক্ষার্থীদের এভাবে বৃত্তি দেয়া অব্যাহত রাখুন।
আপনারা গুনাহগার হবেননা।

আপনাদের সমিতি সূদ ভিত্তিক না হলে সমিতি অফ করা উচিত হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...