জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু পরে এসব সমস্যা আবার ঠিক করেই তাদের দেয়া হয়।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত সেসব ত্রুটির কথা তাদের না বললে সমস্যা হবেনা।
(০২)
ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে শুধু সুরা ফাতেহা পাঠ করা সুন্নাত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ فِي الأُولَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَابِ وَسُورَتَيْنِ، وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُخْرَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَابِ، وَيُسْمِعُنَا الآيَةَ، وَيُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى مَا لاَ يُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ، وَهَكَذَا فِي الْعَصْرِ وَهَكَذَا فِي الصُّبْحِ.
আবূ কাতাদাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের প্রথম দু’রাক‘আতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা ও দু’টি সূরাহ্ পড়তেন এবং শেষ দু’রাক‘আতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা পাঠ করতেন এবং তিনি কোন কোন আয়াত আমাদের শোনাতেন, আর তিনি প্রথম রাক‘আতে যত দীর্ঘ করতেন, দ্বিতীয় রাক‘আতে তত দীর্ঘ করতেন না। ‘আসরে এবং ফজরেও এ রকম করতেন।
(বুখারী শরীফ ৭৭৬.৭৫৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৪০)
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ফরজ সালাতের ৩য়/৪র্থ রাকাতে সূরা ফাতিহার পর অন্য সূরা মিলিয়ে পড়ে ফেললে অথবা অল্প একটু পরে ফেলার পর মনে পড়লে,আপনি চাইলে উক্ত আয়াত শেষ করে বা ছোট সূরা হলে সেটাকে সম্পূর্ণ তিলাওয়াত করে রু'কু করতে পারেন।যেহেতু ফরয নামাযের শেষ দুই রা'কাতে কুরআন তিলাওয়াত সুন্নত।তাই সম্পূর্ণটা পড়ে নেয়াই ভালো হবে।এ জন্য সাহু সিজদা আসবে না।
আরো জানুনঃ-
★জামাতে নামাজ এর শেষে ঈমাম যখন বলে " আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ " তখন তার সাথে মুক্তাদিকেও এটা বলা সুন্নাত
তবে এটি আবশ্যকীয় নয়।
(০৩)
নামাজ ভঙ্গের প্রসদ্ধ কারন ১৯ টি।
১. নামাজে অশুদ্ধ পড়া।
তথা লাহনে জলি করে তিলাওয়াত করা।
২. নামাজের ভেতর কথা বলা।
৩. কাউকে সালাম দেয়া।
৪, কাহারো সালামের জবাব নেয়া।
৫.উহ্-আহ্ শব্দ করা।
৬. বিনা ওজরে কাশি দেওয়া।
৭. আমলে কাসির করা।
৮. বিপদে কিংবা বেদনায় শব্দ করে কাঁদা।
আরো জানুনঃ-
৯. তিন তাসবিহ পরিমাণ সতর খুলিয়া থাকা।
১০. মুক্তাদি ছাড়া অন্য ব্যক্তির লোকমা নেয়া।
১১. সুসংবাদ বা দুঃসংবাদে উত্তর দেওয়া।
১৩. কিবলার দিক থেকে সিনা ঘুুরে যাওয়া।
১৪. নামাজে কোরআন শরিফ দেখে পড়া।
(তবে ভিন্ন মাযহাবের কিছু ইসলামী স্কলারগন এ মাসআলার ক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষণ করেন।
তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।)
১৫. নামাজে শব্দ করে হাসা।
১৬. নামাজে দুনিয়াবি কোনো বিষয় প্রার্থনা করা। তবে এ মাসআলার ক্ষেত্রে অন্য মাযহাবের ভিন্নমত আছে।
১৭. হাসির জবাব দেওয়া।
১৮. নামাজে খাওয়া ও পান করা।
১৯. ইমামের আগে মুক্তাদি দাঁড়ানো।
প্রসিদ্ধ এই ১৯টি ছাড়াও নামাজ ভঙ্গ হওয়ার আরো কারণ আছে। যেমন,কোনো প্রাপ্তবয়স্ক নারী পাশে এসে নামাজে দাঁড়িয়ে যাওয়া, ইমামের আগে কোনো রোকন আদায় করে ফেলা, ইচ্ছাকৃত ওজু ভাঙার মতো কোনো কাজ করে ফেলা, পাগল, মাতাল কিংবা অচেতন হয়ে যাওয়া ইত্যাদি নামাজ ভঙ্গের কারণ।
(কিছু তথ্য সংগৃহীত।)
(০৪)
হ্যাঁ, যত খুশি,তত পড়া যায়।
(০৫)
এতে সমস্যা হবেনা।
,
এভাবেই মূলত নিয়ত করা উচিত।