আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
267 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
আসসালামু আ'লাইকুম,

★যাদের মাহরহম নেই তারা কিভাবে অফলাইনে দাওয়াতী কাজ করবে বা সফরে যাবে?  সবার তো আর বাসায় কাজ করার সুযোগ মিলেনা অনেকে লুকিয়ে করে।
আমার মাহরহম বাবা আছে যিনি আমাকে সময় দিবেনা আমাকে কোথাও নিয়ে যাবেনা বলেও ফায়দা হবে না৷ এদিকে আমি একটা কাজের জিম্মা নিয়েছিলাম যেটা আমার শহর থেকে দূরে ৪৮ মাইল ফেলে। অনেক দূরে৷   সব মেয়েরা সেখানে থাকবো সেখানে দাওয়াতী কাজ করবো ওই গ্রামে কেউ এসব কাজ করেনা। আমরা গ্রামের মহিলাদের সাথে মিশব।
★আমি সেখানে যাওয়ার নিয়ত করেছি ১.আম্বিয়া ইকরামের কাজ বড় সুন্নত হিসেবে আমি সুযোগ টা হাত ছাড়া করতে চাইনা। হয়ত আর পাবোনা৷  সেখানে আমার বড় সিনিয়ত আপুরা থাকবেন৷  শুধু মহিলারাই৷
★দুই নাম্বার নিয়ত আমি আমার আশে পাশে দ্বীনি পরিবেশ পাইনি পরিবারেও না আমার দ্বীন মানতে এখন দূর্বল লাগে,নামাজ পড়তে ইচ্ছে করে পায়ে অবশ লাগে৷  ঈমান হারাচ্ছি আমল হারাচ্ছি হয়ত বোনদের সাথে কয়েকদিন উঠাবসা করলে আল্লাহ আমাকে আবার কাছে টেনে নিবেন৷  নিজেকে পরিবর্তন করতে চাচ্ছি আলাদা হয়ে৷
অনেক দিন ধরে এমনই কিছুর অপেক্ষা করতেসি লাস্ট টাইম দোয়া করেছি আল্লাহ আমাকে এমন উপায় দেন যেনো আমি আরেকবার আপনার প্রিয় হওয়া তাওফিক পাই পরদিন এই উদ্যোগ নেয়া আর আমি না ভেবেই ওয়াদা করেছি আমিও থাকবো আর কিছু জিম্মাও নিয়েছি।
★কিন্তু আমার বাবা যাবেনা আমার সাথে হয়ত বিশ্বস্ত কাউকে দিয়ে দিবে আমাকে দিয়ে আসার জন্য আর নিয়ে আসার জন্য।  যিনি আমাকে সেখানে দিয়ে আসবে। এভাবে গেলে কি হারাম হবে?  অনেক বোনেরা বলতেসে এটা সুন্নত পালন হবেনা উল্ট নাজায়েজ হয়ে যাবে।

★আমাকে জানাবেন আমি সেখানে যেতে চাই নিজে দ্বীনি বোনদের সাথে উঠা বসা করতে চাই৷  এই পরিবেশ ৩ বছর ধরে চাইসি কেউ দেয়নি এখন সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাইনা৷

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


একজন নারীর দাওয়াতি কাজের সর্ব শ্রেষ্ঠ ক্ষেত্রে হল তার পরিবার, সন্তান-সন্ততি। তাকে স্বামীর প্রতি দায়িত্ব পালন, তার ঘর গোছানো, সম্পদ হেফাজত, সন্তান-সন্ততিদের লালন-পালন ইত্যাদি নানা কাজে সময় দিতে হয়। এগুলো তার প্রধানতম দায়িত্ব।
সুতরাং এ সকল দায়িত্ব ফেলে দিয়ে দূর দূরান্তে তাকে দাওয়াতের কাজ করে বেড়াতে হবে- ইসলাম তাকে এ দায়িত্ব দেয় নি।

প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন,

إِذَا صَلَّتِ الْمَرْأَةُ خَمْسَهَا، وَصَامَتْ شَهْرَهَا، وَحَصَّنَتْ فَرْجَهَا، وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا، دَخَلَتْ مِنْ أَيِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ.

‘‘রমণী তার পাঁচ ওয়াক্তের নামায পড়লে, রমযানের রোযা পালন করলে, ইজ্জতের হিফাযত করলে ও স্বামীর তাবেদারী করলে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছামত প্রবেশ করতে পারবে।
(মিশকাতুল মাসাবিহ ৩২৫৪।)

কেউ যদি উপরোক্ত কাজগুলো যথাযথভাবে সম্পাদন করার পর স্বামী বা মাহরাম পুরুষ সহকারে দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার জন্য দূরে কোথাও গমন করে তাহলে তাতে কোন অসুবিধা নেই ইনশাআল্লাহ।

সে ইচ্ছে করলে সে নিজ বাড়িতেও দীনী তালিমের হালাকা করতে পারে সেখানে তার প্রতিবেশী মহিলারা অংশ গ্রহণ করবে। অথবা স্বামী বা অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষে বাড়ির আশে পাশে অন্য কোথাও তালিমি বৈঠক করতে পারে যদি এতে নিজের বাড়ির দায়িত্বে ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় এবং ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকে।

দাওয়াতি কাজে আগ্রহী মহিলাদের কর্তব্য হল, তারা নিজ স্বামী ও পরিবারের প্রতি আরও অধিক যত্নশীল হবেন। তারপর সাধ্যানুযায়ী দাওয়াতি কাজ করবেন।
বর্তমান যুগে ঘরে বসেই নানা ধরণের দাওয়াতি কাজের সুযোগ আছে। সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন। আর দূরে কোথাও যেতে হলে (যদিও তা সফরের দূরত্ব নাও হয়) অবশ্যই স্বামী বা মাহরাম পুরুষ সহকারে যাবেন এবং সব ধরণের ফিতনা থেকে দুরে অবস্থান করবেন। কেননা, বর্তমান যুগে কারও অজানা নেই যে, একজন মহিলা তার বাড়ির বাইরে যাওয়টাই কতটা অনিরাপদ ও ফেতনার কারণ।
(সংগৃহীত।)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার জন্য এভাবে এতো দূরে দাওয়াতের কাজে শরীক হওয়া জায়েজ হবেনা।
যেভাবেই হোক,মাহরাম সাথে যেতেই হবে।

প্রয়োজনে এখন না গিয়ে বিবাহের পর মাহরাম সাথে নিয়ে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
উস্তাজ আমার মামা তো আমার মাহরহম হবে তাই না? তো আমার মামা যদি যেখানে দাওয়াতী কাজ করবো যে আপুর সাথে সেই আপুর কাছে দিয়ে আসে৷ তাহলে কি আমি যেতে পারব আপু যে যে জাগায় দাওয়াতী কাজ করবে ওনার মাহরহম পৌছাই দিবে৷  তাহলে কি আমি যেতে পারি?
by (565,890 points)
হ্যাঁ, যেতে পারবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...