আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
162 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (72 points)
আসসালামু আ'লাইকুম

কিছু প্রশ্ন যোগ করা হলো


কোন স্ত্রী স্বামীকে ঝগড়া  বা রাগারাগির সময় ডিভোর্স, ছেড়ে দেয়া,মুক্তি দেয়া,স্বাধীন করে দেয়া, সংসার করবে না, চলে যাবে,থাকবে না, বিয়ে করে ভুল করছে,জীবন নষ্ট হয়ে গেছে ইত্যাদি ইত্যাদি এমন অনেক কথা বলে(স্বামীর সাথে সংসার করবে না/বিচ্ছেদ  এমন নিয়ত করেই বলত  বেশিরভাগ সময়)

১। ঝগড়া করতে করতে তা**** এর মজলিস হয়েছিল কিনা আর সেখানে যদি স্ত্রী উপরোক্ত কথা বলে কিন্তু স্বামী প্রতিউত্তরে কি বলেছিল মনে না থাকলে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক কি ঠিক আছে????
২।ধরে নেয়া যাক ১৮  নংং কলামে স্বামী স্ত্রীকে অধিকার দেয়নি কিন্তু কখনো কেনায়া বাক্যের দরুণ অধিকার দিয়ে দিল কিন্তু স্ত্রী জানলোই তাহলে এর ফায়সালা কি হবে?

৩।স্বামী ১৮ নংং কলামের ব্যাপারে জানেইনা। এর জন্য তাকে সেটা বুঝিয়ে দিলে কি কোন সমস্যা হবে? স্বামী  বুঝার পরে বলে এইসব সে খেয়াল করে নাই কাবিননামার কলামগুলো স্বামীর খালু এবং স্ত্রীর বাবা পূরণ করেছিলেন কাজির সাথে কথা বলে  এবং সব শেষে সে সাইন করেছিল
৪।বিয়ের ভিডিও থেকে স্ত্রী জানতে পেরেছে ইজাব-কবুল সংঘটিত হওয়ার সময় কাজি কাবিন নামা লিখছিল তাহলে ধরে নেয়া যাক দুইটা কাজই একসাথে হয়েছে একক্ষেত্রে ১৮ নংং কলামে হ্যাঁ লিখা থাকলেও কি স্ত্রী অধিকার পাবে?

৫।একদিন স্ত্রী ১৮ নংং কলাম রিলেটেড একটা আর্টিকেল স্বামীকে পাঠায় বুঝানোর জন্য তখন স্বামী বলে এটা একদিকে ভালো আরেকদিকে খারাপ( এমন কিছু স্পষ্ট ভাবে স্ত্রীর মনে নেই) এতে কি স্ত্রী অধিকার পাবে?

৫।স্ত্রীর এইসব জানতে চাওয়ার জন্য কি কোন অসুবিধা হবে?জানার জন্যই প্রশ্ন করা

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তাঁর বাদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার আর আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বললেন, হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন করো যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার। [সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১]

শরীয়তের বিধান হলো স্বামী যদি জেনে শুনে নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দেয়, অথবা সেখানে কাজী সাহেব বা অন্য কেহ হ্যাঁ লিখে দেয়,আর স্বামী তাহা জেনে শুনে নিচে স্বাক্ষর দেয়,আর এই নিকাহ নামা বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার পরে যদি লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবে। 

তবে যদি এমনটি না হয়,স্বামী যদি না জেনেই নিচে সাইন করে,সে যদি তালাকের ক্ষমতা প্রদানের এই বিষয় সম্পর্কে স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা,অথবা এই নিকাহ নামা যদি বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার আগে লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবেনা।
 
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى الطلاق بالكتابة-1/379، المحيط البرهانى، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-4/486، تاتارخانية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-3/380)
সারমর্মঃ
প্রত্যেক ঐ লেখা,যেটা নিজ হাত দিয়ে লিখেনি,নিজের মন সেদিকে ঝুকেওনি,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
যদি সে এটা স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা।    

সুতরাং  যদি স্বামীর দস্তখত করার সময় জানা থাকে যে, কাজী স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দিয়েছে মর্মে উপরে লিখে দিয়েছে, একথা জানার পরও যদি স্বামী উক্ত কাগজের নিচে সাইন করে, তাহলে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দেয়া হয়েছে বলে সাব্যস্ত হবে। সেই হিসেবে স্ত্রী যদি পরবর্তীতে নিজের উপর তালাক পতিত করে থাকে, তাহলে তালাক পতিত হয়ে যায়।

আরো জানুনঃ 
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি তালাকের ক্ষমতা পাননি।
সুতরাং চিন্তিত হওয়ার কোনো কারন নেই।   

(০১)
এতে তালাকের মজলিস হয়নি।

যদি স্ত্রী উপরোক্ত কথা বলে কিন্তু স্বামী প্রতিউত্তরে কি বলেছিল মনে না থাকলে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক থাকবে।
তবে স্বামী তালাক প্রদানের নিয়তে কোনো কেনায়া তালাকের বাক্য বলে থাকলে তালাক হবে।
তাই মনে সন্দেহ হলে স্বামীকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করতে হবে।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে উক্ত স্ত্রীর কথায় তালাক হবেনা।
স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবেনা।

(০৪)
স্বামী জেনে শুনে সাইন করলে স্ত্রী তালাক এর ক্ষমতা পাবে নতুবা নয়।

(০৫)
এতে স্ত্রী অধিকার পাবেনা।

(০৬)
তালাক সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...