بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/45290/?show=45290#q45290
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
বালেগাহ মেয়ের বিবাহের ক্ষেত্রে মেয়েকেও শরীয়ত পছন্দের
এখতিয়ার দিয়েছে। তার অমতে জোড় করে কোথাও বিবাহ দেয়া ঠিক নয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن بُرَيْدَةَ بن الحصيب قال : جَاءَتْ فَتَاةٌ
إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَتْ : إِنَّ أَبِي
زَوَّجَنِي ابْنَ أَخِيهِ لِيَرْفَعَ بِي خَسِيسَتَهُ .
فَجَعَلَ الْأَمْرَ إِلَيْهَا .
فَقَالَتْ : قَدْ أَجَزْتُ مَا صَنَعَ أَبِي ،
وَلَكِنْ أَرَدْتُ أَنْ تَعْلَمَ النِّسَاءُ أَنْ لَيْسَ إِلَى الْآبَاءِ مِنْ
الْأَمْرِ شَيْءٌ.
رواه ابن ماجه (1874) ، وصححه البوصيري في
مصباح الزجاجة (2/102) ، وكذا قال الشيخ مقبل الوادعي : " صحيح على شرط مسلم
" ، انتهى من الصحيح المسند صـ 160
উম্মুল মুমিনীন
হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রা. বলেন, একবার এক তরুণী তাঁর কাছে এসে বলল,
আমার বাবা আমাকে তার ভাতিজার সাথে বিবাহ দিয়েছে-উদ্দেশ্য আমার দ্বারা
তার হীনাবস্থা ঘুচানো-কিন্তু আমার তাতে সম্মতি ছিল না।
উম্মুল মুমিনীন বললেন, তুমি বসো,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসুন। অতপর রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলে তিনি তাঁকে সে ঘটনা অবগত করলেন। তা শুনে তিনি
মেয়েটির বাবাকে ডেকে পাঠালেন।
তারপর মেয়েটিকে নিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার
দিলেন। মেয়েটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার বাবা যা করেছেন আমি
তা অনুমোদন করলাম। আমার উদ্দেশ্য কেবল নারীদেরকে জানানো যে, এ
বিষয়ের ক্ষমতা বাবাদের হাতে নয়। (সুনানে নাসায়ী, হাদীস : ৫৩৯০;
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১৮৭৪; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২৫০৮৭)
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/18576/
★★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নেল্লিখিত
ছুরতে আপনার জন্য উচিত যে, আপনি আপনার পরিবারকে অবগত করবেন যে, অমুক ছেলের দ্বীনদারিতার
বিষয়ে কিছুটা অবগত হয়েছেন। এরপর আপনার পরিবার থেকে কোন মাহরাম আপনার বিষয়ে তাকে জানাবেন
বা প্রস্তাব দিবেন। সরাসরি আপনি তাকে কিছু বলতে গেলে ফেতনার আশঙ্কা রয়েছে। বিধায়, আপনার
জন্য উচিত আপনি সুন্নাত তরীকায় সামনে অগ্রসর হবেন।
(বি:দ্র:
ফিতনার এই যুগে গুনাহ থেকে বাঁচার প্রত্যয়ে দ্বীনদার জীবন সঙ্গী পাওয়ার আশায় স্বীয়
পরিবারের কাছে বিয়ের কথা বলতে লজ্জাবোধ করা মোটেও উচিত নয়। নিজে না বলতে পারলে
দাদা দাদী, নানা নানী বা খালা ইত্যাদী নিকটস্ত অন্যান্য আত্নীয়ের মাধ্যমেও বলা
যেতে পারে।)