بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/58510/?show=58547#a58547
নং ফাতওয়াতে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে।
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ
، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ،
ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ
ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ
...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে
কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন
তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের
অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে
ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী
ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)এ
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১) পাঠ্যবইগুলোতে শিরকি কুফরি লাইন আসলে মনে এসবের প্রতি
ঘৃণা রেখে পড়লে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
২) প্রশ্নের বিবরণমতে শিরক হবে না,কুফর হবে না।
৩) আরবিতে আল্লাহ শব্দের লাম মোটা হরফে পড়তে হয়। বাংগালিরা
আল্লাহ শব্দটা বাংলায় হ সহকারে উচ্ছারণ করতে হবে।তবে কেউ না করলে গোনাহ হবে না।
৪) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, এ বাক্যকেও সঠিকভাবে উচ্ছারণ করতে হবে।তবে
ভুল উচ্ছারণ হয়ে গেলে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
৫) কেউ আপনাকে লক্ষ্মী ছেলে বলার কারণে আপনার ঈমানে কোনো
সমস্যা হবে না। তাকে বুঝিয়ে দিবেন।এই শব্দ পরিহার করাটা উচিৎ।
৬) বই খাতায় হেলান দেওয়া বে'আদবি।তাতে আল্লাহ শব্দ থাকলেও ঈমানে কোনো
সমস্যা হবে।
ইবাদতের মনযোগ ফিরিয়ে আনতে নেককার আলেমের শরণাপন্ন হন।
তাবলীগ জামাতে সময় দিন। ওয়াসওয়াসার জন্য ওডিসি চিকিৎসা গ্রহণ করুন।