জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
বিবাহের ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
রাসুলুল্লাহ সাঃ উক্ত হাদীসে বলেছেনঃ
তোমরা ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মেয়ের সাথে ছেলের দ্বীনদারিত্বের বিষয়ে কিছুটা কমতি থাকার কারনে
এখানে কুফুর সামঞ্জস্যতা পূর্ণ ভাবে নেই ধরতে হবে।
তবে সেই ছেলের সাথে বিবাহ হওয়ার পর তার বাসায় পূর্ণ পর্দার নিশ্চয়তা পেলে পরবর্তীতে নসীহত করে ছেলেকে নিয়মিত নামাজী বানানোর নিয়তে উক্ত মেয়ে এই বিবাহ করতে পারে।
ছেলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য খুব ভালো হওয়ায় এই বিয়ে হওয়াতে আশা করা যায়,কোনো সমস্যা হবেনা, ইনশাআল্লাহ।
এই বিয়ে করা যাবে।
,
বিয়েতে পাত্র/পাত্রি পূর্ণ নামাজী হলে তার জন্য বেনামাজি কাহারো বিবাহ হলে কুফুর সামঞ্জস্য না থাকায় এধরনের বিবাহ না হওয়াই ভালো।
মেয়ে দ্বীনদার হওয়ার ক্ষেত্রে ছেলে দ্বীনদার না হলে সাংসারিক জীবনে অনেক অনেক সমস্যা হয়,তাই এ ধরনের বিবাহ না হওয়ায় ভালো।