হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ بَيْنَ الْعَبْدِ وَبَيْنَ الْكُفْرِ تَرْكُ الصَّلَاةِ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মু’মিন) বান্দা ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হলো সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) পরিত্যাগ করা।
সহীহ : মুসলিম ৮২, আবূ দাঊদ ৪৬৭৮, নাসায়ী ৪৬৪, তিরমিযী ২৬২০, ইবনু মাজাহ্ ১০৭৮।
উপরোক্ত হাদীসটি দৃঢ়তার সাথে প্রমাণ করে যে, সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) বর্জন কুফরীকে অনিবার্য করে দেয়। সকল মুসলিম মনীষীর ঐকমত্যে, বিশ্বাস সহকারে কেউ সলাত বর্জন করলে সে কাফির হয়ে যাবে। তবে সলাত আদায় ওয়াজিব মনে করে ও অলসতাবশত কেউ সলাত বর্জন করলে তার কুফরীর ব্যাপারে দ্বিমত রয়েছে।
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যা-২৭/৫৩" এ বর্ণিত রয়েছে,
নামায তরক কারীর বিধান
حكم تارك الصلاة:
لتارك الصلاة حالتان: إما أن يتركها جحودا لفرضيتها، أو تهاونا وكسلا لا جحودا.فأما الحالة الأولى: فقد أجمع العلماء على أن تارك الصلاة جحودا لفرضيتها كافر مرتد يستتاب، فإن تاب وإلا قتل كفرا كجاحد كل معلوم من الدين بالضرورة، ومثل ذلك ما لو جحد ركنا أو شرطا مجمعا عليه.واستثنى الشافعية والحنابلة من ذلك من أنكرها جاهلا لقرب عهده بالإسلام أو نحوه فليس مرتدا، بل يعرف الوجوب، فإن عاد بعد ذلك صار مرتدا.
নামায তরক কারীর বিধান দুই প্রকারঃ-যথাঃ-
(১) নামাযরে ফরযিয়্যাত তথা নামায প্রমাণিত নয়,এমনটা ধারণা রেখে,নামাযের অস্থিত্বকেই অস্বীকার করে বসা।সমস্ত উলামায়ে কেরামের মতে উক্ত ব্যক্তি কাফির,মুরতাদ হয়ে যাবে।তাকে তাওবাহর কথা বলা হবে,যদি সে তাওবাহ না করে,তাহলে তাকে হত্যা করা হবে।(এ দায়িত্ব সরকাল পালন করবে)
وأما الحالة الثانية: فقد اختلف الفقهاء فيها - وهي: ترك الصلاة تهاونا وكسلا لا جحودا - فذهب المالكية والشافعية إلى أنه يقتل حدا أي أن حكمه بعد الموت حكم المسلم فيغسل، ويصلى عليه، ويدفن مع المسلمين؛ لقول النبي صلى الله عليه وسلم: أمرت أن أقاتل الناس حتى يشهدوا أن لا إله إلا الله وأن محمدا رسول الله ويقيموا الصلاة ويؤتوا الزكاة، فإن فعلوا ذلك عصموا مني دماءهم وأموالهم إلا بحق الإسلام وحسابهم على الله
(২)দ্বিতীয় প্রকারের বিধান নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে,সেটা হল, অলসতা বা অবহেলা করে নামাযকে ত্যাগ করা।
এ প্রকারের বিধান সম্পর্কে উলামাগণের মতামত হল,
শা'ফেয়ী ও মালিকী মাযহাব মতে তাকে হত্যা করা হবে।তবে সে মুসলমানই থাকবে।হত্যার পর একজন মুসলমানের মত মুসলমানের রীতিনীতি অনুযায়ী তাকে গোসল দেয়া হবে,এবং কাপন পড়িয়ে মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করা হবে।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,আমাকে জিহাদ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে,যতক্ষণ না লোকগণ এক আল্লাহর সাক্ষ্য দিবে,এবং মুহাম্মাদ সাঃ কে রাসূল বলে মানবে,এবং নামায পড়বে ও যাকাত প্রদান করবে। যদি তারা এগুলো করে ফেলে,তাহলে তারা তাদের জান-মালকে ইসলামের হক ব্যতীত হেফাজতে নিয়ে যাবে।এবং তাদের পরবর্তী হিসাব নিকাশ আল্লাহর কাছেই হবে।