আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (60 points)
edited by
১.মুফতি সাহেব,  বড় পেরেশানি তে পরেছি..
আজকে হঠাৎ বউ, বাইরে হাটছিলাম, অন্য একটা জায়গায় যাওয়ার জন্য রিশকা ডাকার জন্য বলছিলাম । এর মাঝেই তাকে বলি যে তোমার কিছু কিছু আচরণ সহ্য হয় না, তখন সে বললো,"সহ্য না হলে ছেড়ে দাও না কেনো" আমি বললাম, " আজাইরা কথার জায়গা পাও না".
পরে আবার বললো "সহ্য করতে না পরলে তো ছাইড়া দিতায়" / "সহ্য করতে না পারলে ছাইড়া দেও না কেরে " (এই দুই কথার এক কথা, বা ইরম ই কোন কথা বলেছে, যা তার আমার কারোর ই পরিষ্কার মনে পরছে না)।
তার পর আমি বলি, "আচ্ছা,  রিশকা ডাকো"।
এই "আচ্ছা" তার ওই কথার জাবাবে,  অর্থাৎ ছেড়ে দেওয়া নিয়ে ২য় কথাটির  জবাবের নিয়তে বলি নাই। আমরা অনেক সময় বলি না? যেমন "আচ্ছা,অমুকের কি খবর" বা "আচ্ছা, চলো ঘুরে আসি এইরকম কথা প্রসঙ্গে বলেছিলাম। জবাব দেওয়ার পর মনে হলো আচ্ছা কি তার দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাব হয়ে গেলো কি না। এর পর থেকে ভাবনায় আছি।

আমাদের সহবাস হয় নি, তবে একত্রে বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ সময় পার করেছি, সরাসরি যৌনাঙ্গ ছাড়া অন্য অংশ থেকে ফায়দা নেওয়া হয়েছে।
এখন আমাদের উপর কি তালাক পতিত হয়েছে?আমাদের কি করনীয়?

২. তালাক পতিত হয়েছে ভেবে কেও যদি রজু করার নিয়তে স্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠ হয় না কথা বলে তবে কি তা পতিত হয়?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


তালাক খুবই মারাত্মক একটি বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে তালাক হবেনা।
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে। 
কোনো সমস্যা নেই।
আপনারা নিশ্চিন্তে ঘর সংসার চালিয়ে যেতে পারেন।
,
(০২)
এতেও কোনো তালাক পতিত হয়না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...