বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
5763 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
শরীয়তে মাহরাম নন মাহরাম তথা বিয়ে-শাদীর বৈধ-অবৈধ পার্সন সাধারণত এর ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে।হয়তো নসবের কারণে কাউকে বিয়ে করা হারাম নতুবা বৈবাহিক সম্পর্কের ইস্যুতে হারাম কিংবা দুধ সম্পর্কের কারণে হারাম ।
কুরআনে কারীমে যে চৌদ্দ জনের নমুনা পেশ করা হয়েছে,এসব মূলত এই তিনটি সম্পর্কের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে।
বংশগত সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম যেমন,পিতা তার মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না,ইত্যাদি।
দুধ সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম,যেমন দুধ সন্তান তার দুধ মাকে/বোনকে বিয়ে করতে পারবে না।বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম, যেমন,জামাই সে তার শাশুড়ী কে বিয়ে করতে পারবে না।
বৈবাহিক সম্পর্ক যাকে মুসাহারাত বলে,সেটা কিভাবে প্রতিষ্টিত হবে?আমরা জানি বৈধ বিয়ের মাধ্যমে সেটা প্রতিষ্টিত হয়ে থাকে।সুতরাং কোনো মানুষ তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারবে না।এবং তার সন্তানের স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারবে না।এমনকি সে তার স্ত্রীর মা বা মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না।কারণ তাদের সাথে তার বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন হয়ে গেছে। যা বিয়েকে বাধা প্রদাণ করে।ঠিকতেমনিভাবে যিনা-ব্যভিচার তথা অবৈধ সম্পর্কের কারণেও হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবে।ব্যভিচারী পরুষ মহিলা উভয়ের উর্ধতন-নিম্নতন উভয়দিকে এই হুরমতের বিস্তার ঘটবে।যিনা ব্যভিচারের মাধ্যমে হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে,
★উক্ত নারীর সাথে সহবাসের কামভাব নিয়ে স্পর্শ করতে হবে।
★খালি গায়ে স্পর্শ হতে হবে বা এমন পাতলা কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ হতে হবে যে, কাপড় থাকার পরও শরীরের স্পন্দন অনুভূত হয়।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শুধুমাত্র চিন্তা,কল্পনা বা কথা বলার দ্বারা হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হবে না।বরং হুরমতে মুসাহারার জন্য সহবাস বা স্পর্শ কিংবা লজ্জাস্থানের ভিতরাংশকে দেখতে হবে।তাই আপনি অযথা চিন্তা করছেন।এরকম চিন্তাচেতনাকে মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন।জাযাকুমুল্লাহ।