আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
251 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
reshown by
স্বামী যদি ফোনে তার স্ত্রীকে বলে তুমি যদি আমার সাথে থাকতে না চাও চলে যেতে পারো তোমাকে আটকাবো না।কিছুক্ষণ পর স্ত্রী তার স্বামীকে ফোনে বলে আমি আপনার সাথে সারাজীবন থাকতে চাই।স্বামী হয়তো মনে করছে সে তার স্ত্রী কে ঠকাইছে।নিচের সব কথা ফোনে হয়েছে।

১."তুমি যদি আমার সাথে থাকতে না চাও চলে যেতে পারো তোমাকে আটকাবো না" এটা বলাতে কি স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে?পেলেও কি এটা সারা জীবনের জন্য অধিকার পাবে?

২.তুমি চলে যেতে পারো এ কথাটা বললে কি তালাক হবে? অধিকার দেয়া বোঝাবে আর অধিকার পেলে কত সময়ের জন্য অধিকার পাবে?

৩.তুমি না থাকতে চাইলে সীদ্ধান্ত নিতে পারো বা সীদ্ধান্ত নিতে পারো কি করবা বা কি করবা সীদ্ধান্ত নাও এর মধ্যে কোনো বাক্য দ্বারা তালাকের অধিকার দেয়া বোঝাবে কত সময়ের জন্য অধিকার দেয়া বোঝাবে??এগুলো কি কেনায়া শব্দ?

৪.তোমাকে ঠকাইছি মনে হলে চলে যেতে পারো। এ কথা দ্বারা তালাকের অধিকার দেয়া বোঝাবে কত সময়ের জন্য অধিকার দেয়া বোঝাবে??এটা কি কেনায়া তালাক হবে?

৫.আসলে সব কথা ফোনে হয়েছে ঐদিন ঐ স্বামী কি বলছে স্ত্রীর হুবহু মনে নেই তবে উপরের ঐকথাগুলো টাইপের কিছু একটা বলছে স্ত্রী এটা নিশ্চিত।এ অবস্থায় কি করবে সে তালাক ধরে নিবে কি? বা অধিকার পেয়েছে বলে ধরে নিবে?

৬.স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে, তুমি যদি এভাবে শব্দ বিশ্লেষণ করো যদি এরকম বাড়াবাড়ি শুরু করো তাহলে আজ হোক কাল হোক তুমি আমার কাছ থেকে চলে যাবাই যাবা কথা দ্বারা কি স্ত্রীকে শর্তযুক্ত কেনায়া তালাক দেয়া বুঝাবে? বা তালাকের অধিকার দেয়া বুঝাবে?? কত সময়ের জন্য অধিকার পাবে??

৭.স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে, তুমি যদি এভাবে শব্দ বিশ্লেষণ করো যদি এরকম বাড়াবাড়ি শুরু করো তাহলে আজ হোক কাল হোক তুমি আমার কাছ থেকে চলে যাবা এ কথা দ্বারা কি স্ত্রীকে শর্তযুক্ত কেনায়া তালাক দেয়া বুঝাবে? বা তালাকের অধিকার দেয়া বুঝাবে?? কত সময়ের জন্য অধিকার পাবে??

1 Answer

0 votes
by (574,170 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/36539/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
"তুমি যদি আমার সাথে থাকতে না চাও চলে যেতে পারো তোমাকে আটকাবো না"
এটা বলাতে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবেনা।

(০২)
তুমি চলে যেতে পারো এ কথাটা বললে তালাক হবেনা।
স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয়াও বুঝাবেনা।

(০৩)
"তুমি না থাকতে চাইলে সিদ্ধান্ত নিতে পারো বা সিদ্ধান্ত নিতে পারো কি করবা বা কি করবা সিদ্ধান্ত নাও" 
এর মধ্যে কোনো বাক্য দ্বারা স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয়া বুঝাবেনা।

(০৪)
"তোমাকে ঠকাইছি মনে হলে চলে যেতে পারো।"
এ কথা দ্বারা স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয়া বুঝায়না।

(০৫)
এতে তালাক হয়নি,স্ত্রী তালাকের অধিকারও পায়নি।

(০৬)
"স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে, তুমি যদি এভাবে শব্দ বিশ্লেষণ করো যদি এরকম বাড়াবাড়ি শুরু করো তাহলে আজ হোক কাল হোক তুমি আমার কাছ থেকে চলে যাবাই যাবা"

এ কথা দ্বারা স্ত্রীকে শর্তযুক্ত কেনায়া তালাক দেয়া বুঝাবেনা।  তালাকের অধিকার দেয়া বুঝাবেনা।

(০৭)
"স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে, তুমি যদি এভাবে শব্দ বিশ্লেষণ করো যদি এরকম বাড়াবাড়ি শুরু করো তাহলে আজ হোক কাল হোক তুমি আমার কাছ থেকে চলে যাবা "

এ কথা দ্বারা স্ত্রীকে শর্তযুক্ত কেনায়া তালাক দেয়া বুঝাবেনা।  তালাকের অধিকার দেয়া বুঝাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...