আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
436 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
edited by
প্রশ্নগুলো হলো:

১-  পিতা মাতার থেকে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন কাজের জন্য টাকা নেওয়া হয় যেমন: কোনো কিছু কেনা, ভাড়ার টাকা, বিল পরিশোধ ইত্যাদি। এখন সেসব টাকা কিছু খরচ হয়, কিছু কাছে থেকে যায়। তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব টাকার জবাব দিহিতা চান না এবং ফেরত ও চান না। অনেক সময় যা চাওয়া হয় তার থেকে কিছুটা বেশিও দিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে উক্ত বেঁচে যাওয়া টাকা কি নিজের অন্যান্য কাজে খরচ করা যাবে?

২- মসজিদে গেলে অনেক সময় আমাদের শরীর থেকে বিভিন্ন ময়লা পড়ে থাকে যেমন: চুল, পশম, পায়ের বালু, হাঁচি দেয়া ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রে কি কোনো সমস্যা হবে? আবার অনেক সময় দেখা যায় অজু খানায় লেখা থাকে জুতা সেন্ডেল পড়ে যাওয়া নিষেধ। কিন্তু তারপরও প্রায় সবাই জুতা পড়েই ঢোকে, কেউ কিছু বলে না। সেক্ষেত্রে কি সমস্যা হবে?

৩- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করার ফলে অনেক সময় মানসিকভাবে হতাশার কারণে মানুষ শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে করে কি তার নিজের উপর জুলুমের গোনাহ হতে পারে?

৪- সব ধরনের ফিতনা থেকে বাঁচার আমল কি?

৫- অনেক সময় দেখা যায় কোনো ব্যক্তির কোনো খারাপ কাজে সাহায্য করার মোটেও ইচ্ছা থাকে না। কিন্তু পরিচিত বা কাছের কোনো মানুষ যদি খারাপ কাজে লিপ্ত হতে জোর করে এবং সেটি না করলে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে কি করা যেতে পারে?

৬- ব্যবসা শুরুর জন্য সুদ মুক্ত ঋণ পাওয়ার কি কি মাধ্যম রয়েছে?

৭- সব নবী রাসূল গণ যে জান্নাতী এটা বিশ্বাস না করা কি কুফরী? এবং কেউ যদি বলে সে গায়েব জানে তাহলে কি সে কুফরী করলো? এবং কেউ যদি বলে যে সে জানে যে তার সব আমল আল্লাহ কবুল করছেন এটাও কি কুফরী?

৮- কুফরী করলেই কি ঈমান চলে যায়?

৯- কি কি বিশ্বাস মনে ধারণ করলে ঈমান চলে যেতে পারে?

১০- কারো যদি জানা থাকে যে পোশাকে বা শরীরে নাপাক লেগে আছে কি না, তাহলে কি নামাজ বা অন্যান্য ইবাদত কবুল হবে?

১১- যদি কেউ আমার কাছ থেকে টাকা পায় কিন্তু সে জানে না, এখন আমি যদি যদি তাকে বলি এই টাকা গুলো হাদিয়া হিসেবে নাও। কিন্তু আমার নিয়ত হক আদায় করার। তাহলে কি হক আদায় হবে?

১২- দান করার সময় যদি নিয়ত করার কথা মনে না থাকে তাহলে কি পরে নিয়ত করলে নিয়ত হবে?

১৩- আমার জোরালো ভাবে মনে হচ্ছে যে, কেউ আমার থেকে কিছু টাকা পেত সেই পরিমাণ টাকাই আমি তাকে দিয়েছি। কিন্তু তারপরও যদি ওয়াসওয়াসা আসে যে যা দিয়েছি তার থেকে বেশি পেত তাহলে কি বেশি দিতে হবে?

১৪- আমাকে কেউ একটি কাজ (যেমন তথ্য সংগ্রহ করা) দিল অর্থের বিনিময়ে। আমি সেই কাজটি নিজ থেকে ভালোভাবে করে দেয়ার চেষ্টা করলাম এবং করেও দিলাম। কিন্তু যেহেতু আমরা মানুষ, অনেক সময় ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে যা আমরা সঠিকভাবে বুঝতেও পারি না। এক্ষেত্রে যদি কাজে ভুলত্রুটি হয়েও যায় যা আমাদের ঠিকভাবে বোধগম্য না। তাহলেও কি হক নষ্ট করা হবে?

১৫- কেউ যদি আমাকে বিকাশের সাহায্যে বিল পে করার জন্য টাকা দেয়, আমি বিল পে করার পর বিকাশ আমাকে যে রিওয়ার্ড পয়েন্ট দেবে ঐটা কি আমি ব্যবহার করতে পারবো নিজের জন্য।

১৬- রাস্তায় যদি কোনো সিম, বা মেমোরি পরে পাওয়া যায় তাহলে মালিক না পাওয়া গেলে কি তা ব্যবহার করা যাবে? ব্যবহার না করা গেলে যদি এটি জানার আগেই ব্যবহার করে থাকি তাহলে কি করা উচিত।

১৭- কারোর কোনো জিনিস নিলে বা ব্যবহার করলে যদি এটা বোঝা যায় যে, সে জানলে কিছুই বলবে না তাহলে কি সেটা নেয়া যাবে বা ব্যবহার করা যাবে?

১৮- কাউকে কোনো কথা দিয়ে সেই কথা রাখতে বিলম্ব হলে কি হক নষ্ট হয়? যদি নষ্ট হয়ে থাকে তবে তাদের মধ্যে বোঝা পড়া হয়ে গেলে কি হক থেকে মুক্ত হওয়া যায়?

১৯- অনেক সময় দেখা যায় পরিচিত অপরিচিত অনেকের কাছে যদি হক আদায় করার জন্য টাকা দিতে চাওয়া হয় তারা কিছুতেই টাকা নিতে রাজি হয় না। অর্থাৎ তাদেরকে অনেক সময় সঠিকভাবে বলাও সম্ভব হয় না কিসের জন্য টাকা দেয়া হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে কি টাকার পরিবর্তে অন্য কোনো উপহারের মাধ্যমে হক আদায় সম্ভব।

২০- বান্দার হক নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর আপনাদের এই সাইটে আমার দেখা হয়েছে, সেগুলো দেখে যা বোধগম্য হলো যে অনেক অনেক কিছুই দেখছি যে বান্দার হক সংশ্লিষ্ট যা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। এত এত জিনিস যদি বান্দার হক সংশ্লিষ্ট হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহর মুক্ত এই দুনিয়ায় আমরা নিঃশ্বাস টা নেয়া বাদে অন্য যেকোনো কিছু করতে গেলেই তো ভয়ে থাকতে হয় যে হক নষ্ট হলো কিনা। বান্দার হকের সীমাবদ্ধতা কতটুকু? রাস্তায় চলাচলের সময় কোনো অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা হলেও সেটা যে বান্দার হক সেটাও বোধগম্য ছিল না। যা কিনা সম্পূর্ণ গায়েব এর বিষয়। এই প্রশ্নটা করার জন্য ক্ষমা করবেন। আমি হয়তো ভুল কিছু ভাবছি।

২১- কাউকে যদি কোনো খারাপ কাজ থেকে বাঁচতে কোনো বিষয়ে উপদেশ দিতে চাওয়া হয়, এবং তখন এই ভয় থাকে যে " আমি তো ওকে এই উপদেশ দিচ্ছি কিন্তু কখনো যদি এই ভুল আমি নিজেই করে ফেলি তখন " সেক্ষেত্রে কি উপদেশ দেয়া উচিত হবে?

২২- প্রতিবেশীর বা অন্য কারো গাছের পড়ে থাকা ফল খাওযার ক্ষেত্রে যদি বোঝা যায় যে সে জানলে কিছু বলবে না। সেক্ষেত্রে পড়ে থাকা ফল খাওয়া যাবে কি? আর পড়ে থাকা কিছু খেলে বা নিলে কি হক নষ্ট হয়?

২৩- নামজের বৈঠকে তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ ইত্যাদি পড়ার সময় যেমন: তাশাহুদ পড়ার মাঝখানে কোনো ভুল হলে আবার ওই ভুল হওয়া জায়গা থেকে শুদ্ধ করলে পড়লে কি নামাজের ক্ষতি হবে? এবং প্রথম রাকাতে সূরা নাস পড়া শুরু করে হঠাৎ সেটা বাদ দিয়ে অন্য সূরা পড়া যাবে কি?

২৪- একটি জিনসের দাম মনে করুন ১০ টাকা। সেটা কেনার সময় দোকানদারকে ৮ টাকা দেয়া হলো, এটা দোকানদার দেখেই নিল কিছু বললো না। এটা করা জায়েজ আছে কি না?

২৫- সচরাচর যেসব অল্পসল্প ছেড়া টাকা মানুষ নিয়ে থাকে, এসব টাকা কাউকে দিলে কি সমস্যা হবে। কারণ এভাবেই এসব চলে আসছে। অনেক টাকার মাঝে কিছু হালকা ছেড়া টাকাও প্রায় সময়ই চলে আসে। আর কাউকে দিলে সে দেখলো কি দেখলো না সেটাও বোঝা যায় না। তাহলে কি সমস্যা হবে?

২৬- অনেক হক এমন থাকে যে সঠিক ভাবে বোঝা যায় না আসলেই কি কোনো ব্যক্তি আমার নিকট থেকে হক পায় কি না, বা অনেক কিছু আমাদের মনে থাকে না কে কি হক পায়, তখন কি তাদের পক্ষ থেকে এই নিয়তে দান সদকা করা যাবে যে, " আল্লাহ আমার দ্বারা যাদের হক নষ্ট হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে তুমি এই দান কবুল করে নিও" এভাবে কি নিয়ত করে দান করা যাবে?

প্রশ্নের সংখ্যা বেশি হওয়ার জন্য দুঃখিত। আর আপনাদের এই কাজগুলোর জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানতে পেরেছি আপনাদের প্রশ্নোত্তর গুলো থেকে।
জাযাকাল্লাহ খায়রান,

1 Answer

+1 vote
by (559,530 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
পিতা মাতা যদি আপনার কোনো কাজে আপনাকে খরচের জন্য টাকা দেয়,যেমন, তাহলে সে কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরেও টাকা বেঁচে গেলে সেটি পিতা মাতাকে ফেরত দিতে হবেনা।
কেননা পিতা মাতা এই টাকার মালিক আপনাকে বানিয়ে দিয়েছে।

★কিন্তু পিতা মাতা যদি তাদের কোনো কাজ/বাসার কাজ আপনাকে করতে দেয়,যেমন বাজার,বিল পরিশোধ ইত্যাদি।  তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি পিতা মাতার পক্ষ হতে উকিল,তাই এক্ষেত্রে কাজ সম্পন্ন করার পর টাকা বেঁচে গেলে সেটি পিতা মাতাকে ফেরত দিতে হবে।
তাদের অনুমতি ছাড়া এই টাকা ব্যবহার করা আপনার জন্য জায়েজ হবেনা।

(০২)
মসজিদে গেলে অনেক সময় শরীর থেকে বিভিন্ন ময়লা পড়ে থাকে যেমন: চুল, পশম, পায়ের বালু, হাঁচি দেয়া ইত্যাদি। 
এতে সমস্যা হবেনা।
তবে যথাসম্ভব নিজেই নিজের ময়লা পরিস্কার করলে ভালো হবে।

★তবে অজু খানায় যেহেতু লেখা থাকে, জুতা স্যান্ডেল পড়ে যাওয়া নিষেধ। 
সুতরাং এক্ষেত্রে নিয়ম না মানলে সমস্যা হবে।
কেউ নিয়ম মানেনা,এই অজুহাতে নিয়মের খেলাফ কোনো কাজ করা যাবেনা।

(০৩)
এতে তার নিজের উপর জুলুমের গোনাহ হবেনা।

(০৪)
সব ধরনের ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য নিম্নোক্ত কাজ জরুরীঃ-
সবসময় সৎ কাজ আঁকড়ে ধরা, অসৎ কাজ পরিহার করা, আল্লাহভীরু মুত্তাকিদের সঙ্গে চলাফেরা করা এবং পাপাচারীদের সঙ্গ ত্যাগ করা। 

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন ফিতনা তীব্র আকার ধারণ করবে তখন তোমরা সৎ কাজকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে এবং অসৎ কাজ হতে বিরত থাকবে। তোমাদের মাঝে বিশেষ লোক যারা রয়েছে তাদের প্রতি মনোনিবেশ করবে এবং সর্বসাধারণকে এড়িয়ে চলবে।’ (আল ফিতান : ৭২১)

ফিতনার যুগে কেউ যদি জান্নাতের উপযুক্ত হতে চায় তার জন্য বিশেষ তিনটা উপায় রয়েছে। হজরত উকবা ইবনে আমির (রা.) বলেন, একদা আমি রাসুলুল্লাহর (সা.) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং বললাম, সে সময় নাজাতের উপায় কী? তিনি বললেন, নিজের জিহবা আয়ত্তে রাখবে, নিজের ঘরে পড়ে থাকবে এবং নিজের পাপের জন্য কান্না করবে। (মেশকাত : ৪৮৩৭)

ফিতনার যুগে গুরুত্বপূর্ণ একটি অবলম্বন হচ্ছে কোরআন-সুন্নাহ আঁকড়ে ধরা, যা মানুষের মধ্যে না থাকলে যেকোনো সময় ফিতনা গ্রাস করে ফেলতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আমি তোমাদের মাঝে এমন বস্তু রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি তা আঁকড়ে ধরে থাক তবে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। আর তা হলো আল্লাহর কিতাব ও নবীর সুন্নত। (আত-তারগিব ওয়াত তাহরিব : ৪০)

ফিতনার সময় নিজেকে আমলে ব্যস্ত রাখা, একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরের পরিবেশে না বের হওয়া। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, অচিরেই এমন ফিতনার আত্মপ্রকাশ হবে, বসে থাকা ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি হতে উত্তম হবে। আর দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি চলমান ব্যক্তি হতে উত্তম হবে। আর চলমান ব্যক্তি দ্রুতগামী ব্যক্তি হতে ভালো থাকবে। (মুসলিম : ৭১৩৯)।

আল্লাহর রাসুল (সা.) আরও বলেছেন, ‘ফিতনার সময় ঈমানদারের করণীয় হলো সর্বদা চুপ থাকা। এত পরিমাণ চুপ থাকা, যার কারণে কোনো ফিতনা তাকে আকৃষ্ট করতে না পারে। (আল ফিতান : ৭৩৫)

ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে অধিক পরিমাণে দোয়া করা।

(০৫)
না,এক্ষেত্রেও সেই খারাপ,মন্দ কাজ করা যাবেনা।

(০৬)
এক্ষেত্রে নিজের আত্মীয় স্বজন বা একান্ত আস্থাভাজন বন্ধু থেকে ঋন নিতে পারেন।

ব্যাংক থেকে ঋন নিতে চাইলে সরাসরি টাকা না নিয়ে ব্যবসার পন্য নিতে পারেন।

(০৭)
এগুলো কুফরি নয়।
তবে ইহা ঈমান বিধ্বংসী আকীদা।
,
উক্ত ব্যাক্তি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত থাকবেনা।
তাকে তওবা করে ফিরে আসতে হবে।

(০৮)
ঈমান ভঙ্গের অন্যতম মৌলিক কারণগুলোঃ-

★আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে কাউকে শরিক করা।

★দ্বীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা।

★জাদু করা বা কুফরি কালাম করা। 

★নবি (সা.)’র ফয়সালার তুলনায় অন্য কারও ফয়সালাকে উত্তম মনে করা।

★মুহাম্মাদ (সা.) আনীত কোনো বিধানকে অপছন্দ করা।

★কুরআন, হাদীস,আল্লাহ,রাসুলুল্লাহ সাঃ কে নিয়ে হাসি ঠাট্রা করা।

★কুরআনের কোনো আয়াত অস্বীকার করা।

(০৯)
ঈমান চলে যাওয়ার মতো কুফরি কাজ করলে ঈমান চলে যাবে।

(১০)
নাপাকি থাকা নিয়ে নিশ্চিত হলে আর নাপাকির পরিমাণ এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হলে নামাজ হবেনা।

(১১)
হক আদায় হয়ে যাবে।

(১২)
এখানে নফল দান হয়ে যাবে।
তবে এর দ্বারা কোনো মান্নত বা কাফফারা ইত্যাদি আবশ্যকীয় কিছু সদকাহ উদ্দেশ্য হলে দান কৃত বস্তু যাকে দান করা হলো,সে খরচ না করে থাকলে সেটির নিয়ত করা যাবে।

নতুবা নফল দান হয়ে যাবে।

(১৩)
বিষয়টি সম্পর্কে তার সাথে আলোচনা করে উভয়ের সন্তুষ্টি চিত্তে যেই সিদ্ধান্ত হয়,সেটিই মেনে নিবেন।

(১৪)
এতে হক নষ্ট করা হবেনা।

(১৫)
আপনি বিল পে করার পর বিকাশ আপনাকে যে রিওয়ার্ড পয়েন্ট দেবে, সেটা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। 

(১৬)
মালিক পাওয়া না গেলে আপনি সেটা গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।

এতো দিনের ব্যবহারের জন্য আপনাকে তওবা করতে হবে।
আর ব্যবহার বাবদ আনুমানিক কিছু টাকা দান করবেন।

(১৭)
এটি যদি অভিজ্ঞতা থেকে প্রমানিত হয়,সেক্ষেত্রে নেয়া যাবে।
তবুও সতর্কতামূলক তাকে দেখানো বা বলা উচিত।
,
তবে এমনিতেই এমন ধারনার ভিত্তিতে কাহারো কিছু অনুমতি ছাড়া নেয়া যাবেনা।

(১৮)
তাদের মধ্যে বোঝা পড়া হয়ে গেলে,মাফ করে দিলে, হক থেকে মুক্ত হয়ে যাবে 

(১৯)
এক্ষেত্রে তার বিকাশ/নগদ/বা ব্যাংকে একাউন্টে টাকা পাঠাবেন।

(২০)
এই জন্য নিজেকে সর্বদা সতর্ক রাখতে হবে,সন্দেহ সূচক সকলের থেকে মাফ চেয়ে নিতে হবে।

(২১)
সেক্ষেত্রে উপদেশ দেয়া যাবে।
সমস্যা নেই। 

(২২)
পড়ে থাকা কিছু খেলে বা নিলে হক নষ্ট হয়।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও তাদের গাছের পড়ে থাকা ফল অনুমতি ছাড়া খাওয়া যাবেনা।

হ্যাঁ যদি তারা অগ্রীম অনুমতি দিয়ে দেয়,তাহলে খাওয়া যাবে।

(২৩)
আবার ওই ভুল হওয়া জায়গা থেকে শুদ্ধ করলে পড়লে নামাজের ক্ষতি হবেনা।
এবং প্রথম রাকাতে সূরা নাস পড়া শুরু করে হঠাৎ সেটা বাদ দিয়ে অন্য সূরা পড়া যাবেনা।
এটি মাকরুহ।
সুরা নাসই পড়তে হবে।
পরবর্তী রাকাত গুলোতেও সুরা নাসই পড়তে হবে।

(২৪)
এটি জায়েজ হবেনা।
তবে আপনি যদি দাম মিটানোর সময় ৮ টাকা মিটিয়ে নেন,সেক্ষেত্রে সমস্যা নেই।

(২৫)
যদি উক্ত নোট এমন ছেড়া হয়ে থাকে যেতা চলবে তবে এমন ছেড়া নোট সে জানলে নিতো না। তাহলে এমন নোট তাকে দেওয়াটা ধোঁকা ও প্রতারণা হয়েছে। সুতরাং এই ক্ষেত্রে ধোঁকা ও প্রতারণার গুনাহ হবে। আর যদি এমন ছেড়া নোট হয়ে থাকে যেতা বাজারে অচল। তাহলে ধোঁকা ও প্রতারণার গুনাহ হওয়ার পাশা পাশি হক না আদায় করারও গুনাহ হবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(২৬)
এভাবে নিয়ত করে দান করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (26 points)
২ নং প্রশ্নের ক্ষেত্রে, যেহেতু প্রায় মানুষকেই অজু খানায় স্যান্ডেল পরে উঠতে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে যদি আমি নিজেও স্যান্ডেল পরে না উঠি তাহলে অন্য মানুষের স্যান্ডেলের নিচের নাপাকী পায়ে লেগে যাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা আছে বলে আমার মনে হয়। এক্ষেত্রে কি স্যান্ডেল পরে উঠা যাবে?

আর যেসব অজু খানায় প্রায় সবাই স্যান্ডেল খুলে উঠে ওই গুলোতে তো নিয়ম মানার চেষ্টা করা হয়।
by (26 points)
আসসালামু আলাইকুম,

২৫ নং প্রশ্নের ক্ষেত্রে, আমি এমন নোটের কথা বলেছি যা চলে। কিন্তু উক্ত উত্তরে বলা হয়েছে যদি সে না নেয় তাহলে প্রতারণা হবে। এখন ধরুন টাকাতে কিঞ্চিৎ পরিমাণ ছেড়া আছে, কিন্তু যাকে দিচ্ছি সে হয়তো এমন লোক যে, ওইটুকু ছেড়া দেখলেও সে বলবে ভাই বদলিয়ে দেন। ওই পরিমাণ ছেড়া দেখিয়ে তো আর বলা যায় না যে, " ভাই এই দেখেন আমার এই নোটে এটুকু ছেড়া আপনি নিবেন কিনা "। এভাবে যদি সবাই সবাইকে বলতে যায় তাহলে তো দেখা যাবে বেশির ভাগ মানুষই টাকা নিতে চাইবে না। কিন্তু যারা আসলেই অচল নোট দেয় তাদের কথা ভিন্ন। আমরা প্রায় মানুষই তো সব জায়গায় নিজের জন্য একটু ভালো কিছুই খুঁজে থাকি। কিন্তু টাকার ক্ষেত্রে সব সময় কি আসলেই তা সম্ভব? দয়া করে একটু বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন।

শাইখ এক্ষেত্রে আপনার মন্তব্য কি? সরকার থেকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে কি এই অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব?

জাযাকাল্লাহ খাইরান

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...