আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
145 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
আমি এ বছরের শুরুতে চাকরির বিষয়ে ইস্তেখারা করি। কতগুলো হালাল বা জায়েজ চাকরি গুলোর মধ্যে আমার কোনটি বেছে নেওয়া উচিত সেই বিষয়ে ইস্তেখারা করি। এটি করার সময় আমি বারবার ইস্তেখারা দোওয়ার মাঝে যেখানে নিজেদের ইচ্ছা উল্লেখ করতে হয় সেখানে আমি বারবার এই কথাই বলেছি যে, "একটা লম্বা সময় চাকরির জন্য চেষ্টা করার পরে যদি এমন হয় যে আমি চাকরিতে ব্যর্থ হয়ে গিয়েছি, সফল হতে পারেনি,  তাহলে আমি হয়তো ডিপ্রেশনে চলে যাব বা আমার ঘুরে দাঁড়ানোটা কঠিন হয়ে যেতে পারে। তাই আল্লাহর যদি এই কাজগুলোর মধ্যে যে কাজটিতে আমি সফল হতে পারব শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করতে পারবো আমি এবং যে কাজটি দুনিয়া এবং আখিরাতের জন্য ভালো হবে সেই কাজটির দিকে আমার মনের স্থির করে দিন না হয় মন ঘুরিয়ে  দিন।"

টানা প্রায় পাঁচ-ছয় দিনের ইস্তেখারার পরে আমি দেখলাম আমার মন একটি চাকরির দিকে প্রচন্ড আকর্ষিত হচ্ছে এবং সম্ভবত ষষ্ঠ ইস্তেখার পরে আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম যে আমি চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছি।
তো এই ফলাফলের পর আমি চাকরির জন্য চেষ্টা করতে থাকি কিন্ত কয়েক মাস পরে যখন আমার চাকরি রেজাল্ট আসে তখন আমি দেখলাম আমি বাদ পড়ে গেছি।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে যেহেতু আমি আমার ইস্তেখারার মধ্যে বারবার উল্লেখ করেছিলাম যে যদি সফল হতে পারি এবং যদি দুনিয়া এবং আখেরাতের জন্য ভালো হয় তবেই যেনো আল্লাহ আমার মন ঐ কাজের উপর রাখেন। এবং ফলাফল দেখে মনে হয়েছে যে আল্লাহ আমি যে কাজের জন্য চেষ্টা করেছিলাম সেই কাজের উপরেই মনে রেখেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি বাদ হয়ে গেলাম। এ বিষয়টা কেন হয়েছে এ বিষয়ে যদি আমাকে কিছু ধারনা দিতেন।

(বি. দ্র: (i) চাকরিটি বিমানবাহিনীর ছিল, ব্যাংকিং নিয়ে যেভাবে হারাম বলা হয়, সেভাবে এই চাকরি নিয়ে হারাম বলতে দেখিনি বরং অনেক বড় আলেমকে উৎসাহিত করতে দেখেই ইস্তেখারার সিদ্ধান্ত নেয়া (ii) আল্লাহ যে সিদ্ধান্ত দিতেন আমি সেই সিদ্ধান্তই মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম (iii) ইসতেখারার পর কয়েক মাস পরে চাকরিতে অংশ নেই, মাঝের এই কয়েক মাসে এই বিমানবাহিনী চাকরির অনেক কিছু যেটা কঠিন ছিল সেগুলা সহজ করে দিয়েছিলেন আল্লাহ, তাই ধরেই নিয়ে ছিলাম আল্লাহ তাহলে সত্যি সত্যিই এটিই চান। তবে, শেষে বাদ হয়ে গেলাম কেনো?

(iv) ভালো খারাপ কোনটা আমার জন্য, সেটা তো আল্লাহ আগে থেকেই জানতেন, তবে আমার অভাবে বলে দোয়া করার পরও কেনো এই চাকরি থেকে মন সরালেন না?

(V) গুনাহ এর কারণে কি ইসটেখারার রেজাল্ট কয়েক মাস পর চেঞ্জ হওয়ার সুযোগ আছে?

(Vi) আমাদের সফল হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত চেষ্টা না করা কি কোনো কারণ হতে পারে ইস্তেখারার রেজাল্ট চেঞ্জ হওয়ার?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ: " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ:
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্* শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্ আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়েঃ বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1472

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইস্তেখারা দ্বারা যে ১০০% যে আপনার কল্যাণের দিক নির্বাচিত হবে এমন নয়। হ্যা, অধিকাংশ ধারণা যে হয়তো আল্লাহ সঠিক রাস্তা আপনাকে দেখাবেন। অথবা ইস্তেখারার পর কোনো কারণে আপনার কল্যাণের দিক বিবেচনায় আল্লাহ আপনার তাকদীরের ভিন্ন ফয়সালা নিয়ে এসেছেন।অথবা আপনাকে চাকুরীর ইন্টারভিউ এর জন্য প্রস্তুত করে তারপর বর্তমানে চাকুরী না হওয়া হয়তো আপনার জন্য কল্যাণকর, সেজন্য আল্লাহ এমন করেছেন।আল্লাহর প্রত্যেকটা কাজে সন্তুষ্ট থাকার নামই রেযা বিল কাযা।যা একজন মু'মিনের বৈশিষ্ট্য।
সুতরাং আপনি বর্তমান পরিস্থিতির উপর সন্তুষ্ট থাকবেন।এবং ভবিষ্যতে কল্যাণের জন্য দু'আ করতে থাকবেন।আল্লাহ আপনার সহায় হোক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 94 views
...