বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
গোসলের ফরয ১১টি।
(১) মুখ ধৌত করা।
(২) নাক ধৌত করা।
(৩) সমস্ত শরীর একবার ধৌত করা।
গোসলের ফরয সাধারনত এ তিনটিই।
কেননা সমস্ত শরীরের মধ্যে পরবর্তী সবগুলাই ঢুকে গেছে। কিন্ত বিশেষ গুরুত্বের ধরুণ কোনো
কোনো কিতাবে পৃথক পৃথক করে গননা করা হয়।
(৪) খতনাবিহীন ব্যক্তির পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া যদি
খুলতে কষ্ট হয়, তবে তার ভেতরাংশ ধৌত করা।
(৫) নাভি ধৌত করা।
(৬) শরীরের এরূপ ছিদ্রে পানি পৌঁছানো, যা বুঁজে যায়নি।
(৭) পুরুষের চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো, এতে চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছা বা না পৌঁছার কোন শর্ত নেই। তবে
মহিলার চুলের গোড়ায় যদি পানি পৌঁছে, তাহলে
মহিলার চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো ফরয নয়।
(৮) দাড়ির ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(৯) গোঁফের ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১০) ভ্রুর ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১১) যোনি মুখবরনের বহিরাংশ ধৌত করা।
কি কি কারণে গোসল ফরজ হয় ও গোসলের
ফরজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/3604/
গোসলের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
জানুন- https://ifatwa.info/21252/?show=21252#q21252
পাক-নাপাক সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/53602/
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে
আপনি যদি খুব ভালো ভাবেই নাপাকি ধৌত করে থাকেন। ফলে আপনার শরীরের কোনো নাপাকি না থাকে। তাহলে প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে গামছা ও শরীরের কাপড়
পাক থাকবে। তবে যেহেতু এখনো ফরজ গোসল
করেননি। তাই খুব দ্রুত ফরজ গোসল করে নিবেন।