আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
155 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (20 points)
আস-সালামু আলাইকুম, শায়েখ। আমি একটা ফেইসবুক গ্রুপ খুলবো ভাবছি, কেনাবেচা সম্পর্কিত। এখন আমি জানতে চাচ্ছি, ১. আমার ফেইসবুক গ্রুপে অন্য ধর্মাবলম্বী কেও যদি তার ধর্মীয় প্রতীক বা চিহ্নখচিত কিংবা দেখাগেলো পুতুল, ভাষ্কর্য এমন কিছু বিক্রির পোস্ট দেয়, এক্ষেত্রে আমার করণীয় কী?


২. দেখা গেলো কোন মেয়ে শাড়ি বিক্রির পোস্ট দিয়েছে আর ছবিতে একটা মেয়ের ছবি যে শাড়ি পড়ে আছে। এখানে আমার করণীয় কী হবে?

আমি কি গুণাহগার হবো? আমার করণীয় কী? আমাকে কি গ্রুপ রুলসে বলে দিতে হবে, এখানে নেশাজাতীয় কিংবা ক্ষতিকারক কোন খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করা যাবে না।
এটা কি বলবো যে, এখানে কোন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের ছবি ব্যবহার করা যাবে না?

আর এটাও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ব্যপারে কী বলবো?


আমাকে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর একটু বিস্তারিত বলুন, যেন কোন সন্দেহ না থাকে, আমি আল্লাহকে ভয় করি।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরআনে কারীমে আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা দিয়েছেন,
ﻭَﻻَ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।(সূরা-মায়েদা-২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

আপনি যদি কোনো ফেইসবুক গ্রুপ খুলেন, এবং সেখানে যদি কোনো ধর্মাবলম্বী তার ধর্মীয় প্রতীক বা চিহ্নখচিত কিংবা পুতুল, ভাষ্কর্য এমন কিছু বিক্রির পোস্ট দেয়, অথবা কোন মেয়ে শাড়ি বিক্রির পোস্ট দিয়েছে আর ছবিতে একটা মেয়ের ছবি দেয়, যেখানে নারী শাড়ি পড়ে থাকে। 

এক্ষেত্রে আপনার করণীয় হল,
আপনি গ্রুপ রুলসে বলে দিবেন,
এখানে নেশাজাতীয় কিংবা ক্ষতিকারক কোন খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করা যাবে না।এব কোন প্রণীর ছবি ব্যবহার করা যাবে না।এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের কোনো কিছুই ব্যবহার করা যাবে।অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় কোনো জিনিষ ব্যবহার করা যাবে না।

এরপরও আপনার রুলসের উল্টো জিনিষ কেউ ক্রয়-বিক্রয় করলে এক্ষেত্রে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।কিন্তু আপনি যদি রুলস বলে না দেন, তাহলে আপনি অন্যায়কাজে সাহায্যকারী হিসেবে পরিগণিত হবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...