আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
230 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আমি একজন মেডিকেল ছাত্র,আলহামদুলিল্লাহ পরিপূর্ণভাবে মাহরাম মেইনটেইন এবং নজর হেফাজতের চেষ্টা করি,, আমার জীবনে আলহামদুলিল্লাহ কোনো হারাম সম্পর্ক নেই,এমতাবস্থায় আমার পরিবার আমার বিয়ের জন্য তৎপর হয়,আলহামদুলিল্লাহ পাত্রী ঠিক হয় এবং কথাবার্তা আগায়,এক পর্যায়ে আমি পাত্রী দেখি এবং একটি নির্দিষ্ট দিনে আমাদের দুজনের মধ্যেই বিয়ে দ্বীন দর্শন নিয়ে অনেক কথোপকথন হয় বিয়ের প্রস্তুতি হিসেবে, এরপর থেকে আমাদের মধ্যে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি,পাত্রী নিজেও মাশাল্লাহ দ্বীনদার,,যেহেতু বিয়ে প্রায় ঠিক ছিল,এজন্য বিয়ের প্রস্তুতি স্বরূপ আমি বিভিন্ন পড়াশোনা শুরু করলাম শরঈ সীমারেখার মধ্যেই, আমি কখনো পর্ণগ্রাফি দেখিনি এবং আমার কোনো ধরনের অভিজ্ঞতা নেই,এজন্য আমি বেশ জোরেশোরে পড়াশোনা ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি শুরু করলাম,, পাশাপাশি পাত্রীর সাথে সেদিনের কথাবার্তা এবং দেখাসাক্ষাৎ এর দরুন আমার মধ্যে বেশ দুর্বলতা চলে আসে,,সামনে আমাদের দুজনেরই ফাইনাল পরীক্ষা এজন্য বিয়েটা ৪/৫ মাস পর হবে ইনশাআল্লাহ,, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে উপরিউক্ত দুইটি কারণে আমার অন্তরে বারবার যৌন উদ্দীপক চিন্তাভাবনা আসতেছে এবং চোখ বন্ধ হলেই আজেবাজে কল্পনা আমাকে ঘিরে ফেলছে,,অতিরিক্ত ফ্যান্টাসির জন্য আমি পড়াশোনাতেও মনোযোগ দিতে পারছি না,, নিদারুণ যন্ত্রণায় ভুগছি,,বারবার আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইছি,,কিন্তু এটা কেমন যেন এক যন্ত্রণা, সুদীর্ঘ অপেক্ষা যেন শেষ হওয়ার নয়।আমার সাথে মেয়েটির সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ এখন। আমি আশংকা করছি আমার অন্তরের জিনা হচ্ছে কিনা,,আমি যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি সেখান থেকে বেরও হতে পারছি না,, উস্তায দয়া করে কিছু দিকনির্দেশনা দিন,,আমার কি অন্তরের জিনার জন্য তওবা করা জরুরী এবং এধরণের কল্পনা থেকে নিজেকে পবিত্র রাখার জন্য কি করতে পারি?  জাযাকুমুল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
( رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا )
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না।(সূরা বাকারা-২৮৬)
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
(وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)
এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4560

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু মনের অনিচ্ছায় এসব মনের মধ্যে চলে আসছে, তাই গোনাহ হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 166 views
...