বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
(১)
হালাল টাকা ব্যবসায় ইনভেস্ট করে কোনো পণ্য বিক্রির সময় মিথ্যা বললে পুরো ইনকাম হারাম হবে না।তবে প্রতারণার গুনাহ অবশ্যই হবে।এর জন্য সাথে সাথেই তাওবাহ করতে হবে।
(২)
463 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,যে আসমায়ে হুসনা শুধুমাত্র আল্লাহ তা'আলার সিফাতে মাখছুছ(বিশেষত সিফাত) অর্থে ব্যবহৃত হয়।সেই আসমায়ে হুসনা সমূহকে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো জন্য ব্যবহার করা জায়েয হবে না।
যেমনঃ
اللّٰه ،الرحمن ،القدوس ،الجبار،المتكبر،الخالق،البارئ،المصور،الرزاق ،الغفار،القهار ،التواب،الوهاب،الخلاق،الفتاح،القيوم ،الرب،المحيط ،المليك،الغفور، الأحد ،الصمد،الحق،القادر،المحي،
উচ্ছারণঃ আল্লাহ,রাহমান,কুদ্দুস,জাব্বার,মুতাকাব্বির,খালিক্ব,বারী,মুসাওয়ির,রাজ্জাক,গাফ্ফার,ক্বাহ্হার,তাওয়্যাব,ওয়াহ্হাব,খাল্লাক্ব,ফাত্তাহ,কাইয়্যুম,রাব্ব,মুহিত্ব,মালী...ক, গাফুর,আহাদ,সামাদ,হাক্ব,ক্বাদির,মুহয়ী।
২. ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা যা আল্লাহ তা'আলার সিফাতি অর্থ ব্যতীত অন্য অর্থেও ব্যবহৃত হয়।সুতরাং অন্য অর্থ হিসেবে ঐ সমস্ত নামের ব্যবহার গায়রুল্লাহর জন্যও জায়েয হবে।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু মুজিব আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য অর্থেও ব্যবহৃত হয়,তাই মুজিব নাম রাখা যাবে।
আওয়াল এবং আল-আওয়াল উভয়ই আরবীতে ব্যবহৃত হয়।"আল" নির্দিষ্ট করণের জন্য ব্যবহৃত হয়।আওয়াল যেহেতু আল্লাহর সাথে নির্দিষ্ট নয়,তাই এ শব্দ দ্বারাও নাম রাখা জায়েয।তবে আসমায়ে হুসনা দ্বারা নাম রাখলে উক্ত নামের পূর্বে আবদ শব্দ যোগ করে আব্দুল আওয়াল বা আব্দুল মুজিব নাম রাখাই উত্তম।
(৩)প্রশ্নটি পরিস্কার করে কমেন্টে উল্লেখ করবেন।