জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
لَقَدۡ کَانَ لِسَبَاٍ فِیۡ مَسۡکَنِہِمۡ اٰیَۃٌ ۚ جَنَّتٰنِ عَنۡ یَّمِیۡنٍ وَّ شِمَالٍ ۬ؕ کُلُوۡا مِنۡ رِّزۡقِ رَبِّکُمۡ وَ اشۡکُرُوۡا لَہٗ ؕ بَلۡدَۃٌ طَیِّبَۃٌ وَّ رَبٌّ غَفُوۡرٌ ﴿۱۵﴾
অবশ্যই সাবাবাসীদের জন্য তাদের বাসভূমিতে ছিল এক নিদর্শনঃ দুটি উদ্যান, একটি ডান দিকে, অন্যটি বাম দিকে। বলা হয়েছিল, তোমরা তোমাদের রবের দেয়া রিযিক ভোগ কর এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। উত্তম নগরী এবং ক্ষমাশীল রব।
(সুরা সাবা ১৫)
রব শব্দটি মালিক, পরিচালক, অভিভাবক ও প্রতিপালক অর্থে ব্যবহৃত হয়। উল্লিখিত সব বিবেচনায় আল্লাহর জন্য রব শব্দের ব্যবহার শুদ্ধ।
তবে আল্লাহর গুণবাচক নাম হিসেবে ব্যবহৃত হলে তাতে পূর্ণতার অর্থ যুক্ত হয়। কেননা আল্লাহ সব অপূর্ণতার ঊর্ধ্বে।
আল্লামা ইবনে আসির (রহ.) বলেন, শরিয়তের দৃষ্টিতে মানুষের জন্যও রব শব্দ ব্যবহার করার অনুমতি আছে। তবে শর্ত হলো তা অন্য কোনো শব্দের সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় ব্যবহার করতে হবে।
যেমন— রব্বুদ-দার ঘরের মালিক বা অভিভাবক। রব শব্দটি এককভাবে ব্যবহৃত হলে তার দ্বারা কেবল আল্লাহই উদ্দেশ্য হবে। (আন-নিহায়া : ২/১৭৯)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এতে শিরক হয়নি।
(০২)
না,আপনি ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাননি।
(০৩)
এতে আপনার কোনো আমল নষ্ট হয়ে যাবেনা।
(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে শিরক হয়নি।
সতর্কতামূলক আপনি মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।