জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)
★শরীয়তের বিধান হলো কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার পরেও যে ব্যাক্তি কুরবানী আদায় করলোনা,তার উপর কুরবানীর কাজা আবশ্যক হবে।
সেটি হলোঃ-
একটি কুরবানী করা যায় এমন বকরীর মূল্য সদকা করা। বড় প্রাণীর সাত ভাগের এক ভাগের মূল্য পরিশোধ করলে হবে না। [ফাতাওয়া কাসিমীয়া-২২/২৪৮]
وإن كان لم يوجب على نفسه ولا اشترى وهو موسر حتى مضت أيام النحر تصدق بقيمة شاة تجوز فى الأضحية (بدائع الصنائع-4/203، هندية-5/296)
সারমর্মঃ-
ধনী ব্যাক্তি যদি কুরবানীর পশু ক্রয় না করে,এভাবেই যদি কুরবানীর দিন অতিবাহিত হয়ে যায়,তাহলে সে একটি বকরির মূল্য সদকাহ করে দিবে।
ولو تركت التضحية ومضت ايام النحر تصدق….. بقيمتها غنى شراها اولا لتعلقها بذمته بشرائها اولا، والمراد بالقيمة قيمة شاة تجزئ فيها وتحته فى الشامى قيمة شاة وسط (الدر المختار مع الشامى-9/463-465
সারমর্মঃ-
কেহ যদি কুরবানী আদায় না করে,আর এভাবেই যদি কুরবানীর দিন অতিবাহিত হয়ে যায়,তাহলে সে একটি বকরির মূল্য সদকাহ করে দিবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির উপরে কুরবানীর কাজা আদায় ওয়াজিব আছে, এবং কাফফারা আছে যা ৬০জন মিসকিনকে খাইয়ে আদায় করতে হবে, এটিও ওয়াজিব।
★এক্ষেত্রে উভয়টিই আলাদা ভাবে আদায় করতে হবে।
কাযা কুরবানীর টাকা দিয়ে ৬০জন মিসকিনকে খাওয়ানোর পর অবশিষ্ট টাকা গরিবদের সদকাহ করে দিলে এতে শুধু কুরবানীর কাজা আদায় হবে।
তার উপর যে ৬০জন মিসকিনকে খাইয়ে আদায় করতে হবে,এমন কাফফারা ওয়াজিব আছে,সেটি আদায় হবেনা।