আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
148 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আমার একটা  প্রশ্ন  ।  অনেক চিন্তায় আছি আমার
একদিন হঠাৎ মনে চিন্তা আসে তালাক নিয়ে।   তখন
হঠাৎ কোন কারন  ছাড়া তালাক নিয়ে মনে নানান কথা আসে।  তখন তালাক দেওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া তালাকের চিন্তা ছাড়া নিজের বউ এর বেপারে মুখে আস্তে বলে ফেলি যে অরে তিন তালাক দিয়ে দিলাম।কিন্তু আমি মুখ দিয়া এক তালাক দুই তালাক তিন তালাক এভাবে এগুলো কিছু বলিনি। শুধু মাথায় তালাক নিয়ে কি জানি আসছিলো তাই এমন একটা চিন্তা আসছে যে ওরে তিন তালাক দিয়ে দিছি এটা। এমন চিন্তা মাথায়  আসার কারনে এটা মুখে বলে যে অমুক রে তিন তালাক দিয়ে দিছি  । এটা আমার বউ শুনে নি কিছু। আমার বউ তার বাপের বাড়ি ছিলো। আমি তালাকের  উদ্দেশ্য করে কিছু বলিনি। আমি ওয়াসওয়াসা ও শুচিবায়ু রোগে আক্রান্ত আমার মনে অনেক ধরনের কথা আসে।  তালাক নিয়ে কথা আমার রোগের জন্যই আসছে এখন কি আমার বউ তালাক হয়ে গেছে নাকি একটু জানাবেন অনেক ভয়ে আছি।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে,"নিজের বউ এর ব্যপারে মুখে আস্তে বলে ফেলি যে ওরে তিন তালাক দিয়ে দিলাম"

 আপনি যদি মনে মনে নয়,বরং নিশ্চিত ভাবে জিহবা নাড়িয়ে মুখে উচ্চারণ করেই বলে থাকেন,যার হালকা হলেও আওয়াজ হয়,তাহলে আপনার স্ত্রীর উপর তিন তালাক পতিত হবে। 

আর যদি আপনার কথার কোনো আওয়াজই না হয়,নিজ কানে আসার মতোও আওয়াজ না হয়,তাহলে এটি মনে মনে বলার শামিল,এতে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...