আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
219 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১.শায়েখ সম্ভবত দুই আড়াই  মাস আগে   আপনাকে একটি প্রশ্নকরেছিলাম। প্রশ্নটি হল -
একটা কথা নিয়ে আমি স্ত্রীর সাথে রাগারাগি করি। রাগারাগি করে যখন আমি ঘর থেকে বের হয়ে যাব তখন আমার মনে তা*কের একটা কথা   মনে হয়। তখন আমি চিন্তিত হয়ে যাই যে কোন সমস্যা হবে না কি। সবসময় খালি মনে মনে যে কথাটা বলেছিলাম অই কথাটা মনে পরে। সবসময় আমি মনে প্রশ্ন সাজাই যে আমি প্রশ্নটা কিভাবে উপস্থাপন করব।  আর মনে মনে সেই কথাটা ভাবি।   তো সেদিন অজু করার সময় এই জাতীয় কিছু একটা মনে হয়েছিল সম্ভবত। যখন মসজিদের গেটের সামনে আসি তখন  আমি    ঠোঁট ও জিহবা নাড়িয়ে বলি যে তোমাকে ছেড়ে দিলাম।    এর দারা কি তা*কের কোন সমস্যা হবে হলে কয় তা*ক হবে?

এর উত্তরে আপনি বলেছিলেন যে,
এখানে  আপনি কি   স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে উক্ত কথা  উচ্চারণ করে   বলেছিলেন?

যদি তাই হয়,  তাহলে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
আর যদি স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে  কথা না বলে থাকেন,  অথবা নিজ কানে আসার মত সামান্য আওয়াজ ও উচ্চারণ     না হয়, তাহলে   তালাক হবে না।

সম্ভবত এর পরদিন আপনার উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে আমি আবার প্রশ্ন করেছিলাম যে,  আমি আমার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলিনি । কারন আমি খুব পেরেশানিতে ছিলাম যে কোন সমস্যা হল নাকি  । আমার তা*কের কোন সমস্যা হল না কি।
এখন আমার প্রশ্ন হল-

ক.আমার প্রথম দিনের প্রশ্ন  ওভাবে লেখাতে বা  লেখার কারনে তা*কের মিথ্যা সীকারোক্তি বা সত্য সীকারোক্তি হয়েছিল কি?

খ.আমার দ্বিতীয় দিনের প্রশ্ন লেখাতে বা লেখার কারনে তা*কের মিথ্যা সীকারোক্তি বা সত্য সীকারোক্তি হয়েছিল কি?

গ. কেউ যদি মনে করতে পারে না  বা সন্দেহ হয়   যে স্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে  বলেছিল নাকি । তাহলে তার তা*কের সমস্যা হবে কি?

ঘ.উপরের প্রশ্নগুলো লেখার কারনে কি তা*কের কোন সমস্যা হবে?      
২.শায়েখ আজকে আমি ফজরের সময় অজু  করার সময়   মোবাইলের একটি বিষয় সম্পর্কে ভিডিওর কথা মনে করে মনে মনে বলি যে আমি আর ভিডিও দেখব না। তখন আমার আল্লাহর কসম আর দেখব না এই কথা মনে হয়। কিন্তু আমার কসমের কোন নিয়্যাত ছিলনা। আমার মনে মনে এই আল্লাহর কসম আর দেখব না এই কথা মনে হওয়ার কারনে যদি আমি ভিডিও দেখি তাহলে কি আমাকে কসমের কাফফারা দিতে হবে?

৩.দুই নাম্বার প্রশ্নে আমার অইরকম হওয়ার পর আমি টেনশনে পরে যাই যে আমার কসমের কাফফারা দিতে হবে নাকি। আমার সবসময় শুধু অই কথায় মনে হয় এবং আমি মনে  মনে প্রশ্ন সাজাই যে আমি কিভাবে শায়েখদের প্রশ্নটা করব। তো দুপুরের এরকম মনে মনে প্রশ্ন সাজাচ্ছিলাম যে কিভাবে প্রশ্ন করব তখন আমি মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে আল্লাহর কসম আর দেখব না এই কথা বলি। কিন্তু আমার কসমের কোন নিয়্যাত ছিলনা। প্রশ্ন যেন ভালোভাবে করতে এই জন্য প্রশ্ন সাজানোর সময় অই কথা। এই কথা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করার কারনে আমাকে কি কসমের কাফফারা দিতে হবে?

৪.আমার দুই নাম্বার আর তিন নাম্বার প্রশ্ন এভাবে লেখার কারনে কি কোন সমস্যা হবে? কসমের কাফফারা কি দিতে হবে?

৫.আজকে মসজিদে ফজরের নামাজ পরতে যেয়ে দেখি যে সময় কম এই জন্য ফরজ নামাজ পরার জন্য জামাতে দাড়াই। কিন্তু ইমাম  নামাজ শুরু করার পর আমার কেমন জানি লাগে খারাপ লাগে এজন্য  আমি নিয়ত ছেড়ে দেই। এবং বাড়িতে যাই। এবং বাড়িতে   যেয়ে সুন্নত নামাজ পড়ে তারপর ফরজ নামাজ পড়ি। এখন আমার প্রশ্ন হল-

ক.এভাবে নিয়্যাত ছেড়ে  আসার কারনে কি আমার গুনাহ হবে?  আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

খ.যেহেতু মসজিদে নামাজ পরতে যেয়ে দেখি যে সময় কম এই  জন্য সুন্নত  নামাজ না পড়ে  ফরজ নামাজের জন্য দাড়ায় এবং আমার খারাপ লাগলে নিয়ত ছেড়ে দিয়ে মসজিদ থেকে চলে আসি। মসজিদে যেহেতু সুন্নত পড়িনি এবং ফরজ পরার সময় চলে আসি। এর কারনে কি বাড়িতে এসে ফরজই পরতে হত?  না আমি  যেভাবে সুন্নত নামাজ পরে তারপর ফরজ নামাজ পড়েছি এটাই ঠিক আছে?

গ.উপরের খ নাম্বার প্রশ্ন করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।

ক,
এখানে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়নি।

খ,
এখানেও তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়নি।

গ,
না,তার তালাক হবেনা।

ঘ,
উপরের প্রশ্নগুলো লেখার কারনে  তালাকের কোন সমস্যা হবেনা।

(০২)
এটি কসম বলে গন্য হবেনা।
তাই আবারো ভিডিও দেখলে কাফফারা আবশ্যক হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী এই কথা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করার কারনে আপনাকে কসমের কাফফারা দিতে হবেনা।

(০৪)
না,এভাবে ২,৩ নং প্রশ্ন লেখার দরুন কোন সমস্যা হবেনা। কসমের কাফফারা দিতে হবেনা।

(০৫)

ক,
হ্যাঁ, আপনার গুনাহ হবে। তবে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।

খ,
যেহেতু ফজরের ওয়াক্ত ছিলোই,তাই আপনি যে সুন্নত নামাজ পরে তারপর ফরজ নামাজ পড়েছেন, এটাই ঠিক আছে।

গ,
উপরের খ নাম্বার প্রশ্ন করার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...