বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কুরআন-সুন্নাহ সম্ভলিত যে সমস্ত বিধি-বিধান রয়েছে,সেগুলো দ্বারা বিচার করা জায়েয।আর কুরআন সুন্নাহ বিরোধী বিচার করা নাজায়েয ও হারাম।
যে সকল বিষয়ে কুরআন-সুন্নাহ থেকে কিছুই বর্ণিত হয়নি,সে সমস্ত বিষয়ের বিচার কিভাবে করা হবে? এসম্পর্কে উলামায়ে কেরাম থেকে বর্ণিত রয়েছে,
যেমন
623 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
পাকিস্তান সরকারের গ্রান্ড মুফতী- মুফতী শফী রহ সুরা নিসার ৫৯ নং আয়াতের তাফসীর করতে যেয়ে বলেনঃঐ সমস্ত হুকুম যা কোরআন-সুন্নাহে বর্ণিত নেই তাতে দু-রকম বিধি-বিধান রয়েছে (এক)যার সম্পর্ক দ্বীন-ইসলামের সাথে তথা শরয়ী হুকুম-আহকামের সাথে।(দুই)যার সম্পর্ক সামাজিক নিয়ম শৃংখলার সাথে।যেই সমস্ত বিধি-বিধানের সম্পর্ক সামাজিক নিয়ম-শৃংখলার সাথে তা বাস্তবায়ন করতে কোরঅান-সুন্নাহর আলোকে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বরং যার যেটা ভালো লাগবে সে সে অনুযায়ী আমল করতে পারবে বা ফায়সালা করতে পারবে।সুতরাং এক্ষেত্রে আইনপ্রনেতা ও বিচারকগণ সম্পূর্ণ স্বাধীন, স্থান-কাল বিবেচনা করে তারা যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।(তাফসীরে মা'রিফুল কোরআন (উর্দু ভার্সন)-২/৪৫১)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বর্তমান প্রেক্ষাপটে আপনি বাংলাদেশের বিচারক হতে পারবেন।তবে কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন বাস্তবায়ন করতে পারবেন না।এটা আপনার জন্য হারাম হবে।