আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
186 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালমুআলাইকুম শায়েখ।


আমি একটা বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চিন্তিত, বলতে গেলে প্রায় মানসিক রুগী হয়ে গিয়েছিলাম।

বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি বিষয় টা একটু ধর্যো ভাবে পড়বেন।


* আমার একটা বন্ধু আছে, বর্তমানে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছে। বিষয় হলো আমার বন্ধু ১ বছর আগে বাড়ি থেকে চুপ করে একটা মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছিল। তার পর কিছু দিন বাইরে থেকে , ছেলের বাড়ি থেকে তাদের কে ডেকে বলে তোরা বাড়ি চলে আয় আমরা মেনে নিবো। তার পর ৩ মাস তারা ভালো ভাবে ছিল কিন্তু হটাৎ তাদের বাড়ি থেকে মেয়ে কে মেনে নিচ্ছে না, ব্যক্তি গত কারণ যা আমি নিজেও জানিনা।
এমন সময় একদিন মেয়ের বাড়ির লোক ছেলের বাড়ি আসে এবং এই বিষয় নিয়ে কথা হতে হতে মারা মারি শুরু হয়ে যায়। জামাই শশুর এবং শাশুড়িকে মারে । যার ফলে পুলিশের কাছে সালিশ বসে । যাতে আবার সম্পর্ক টা ঠিক করা হয়।
কিন্তু সেই সালিশ এ মেয়ে টি বলে তার স্বামী নাকি তাকে ভীষণ ভাবে অত্যাচার করত।
এইসব এর পর ও সময় দেওয়া হলো হয়ত সম্পর্ক টা ঠিক হবে কিন্তু ছেলের বাড়ি থেকে মেনে নেয়নি।
**
যে কদিন সময় দিয়েছিল এর মধ্যে মেয়েটা আমার মাধ্যমে তার স্বামীর কিছু খবর নিতো ও আমার সঙ্গে গল্পঃ করতো।
আমার বিয়ে হয়েছিল না তখন আমিও একটু দুর্বল হয়ে কথা বলেছি সেক্স্যুয়াল ভাবে। দিয়ে ভয় হয়ে যায় এই বিষয় যদি বন্ধু জানে তাহলে খারাপ হয়ে যাবে এই নিয়ে চিন্তা করতে করতে মানসিক রোগী হয়ে গিয়েছিলাম ।
***

এখন বিষয় হলো বন্ধ সবই জানে, আমাকে এতদিন কিছু বলেনি। আখন আমাকে ফোনে করে নানা রকম ভাবে খারাপ কথা বলছে , আমি তাকে কিছু বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছি সে আমাকে ভীষণ খারাপ ভেবেছে।
আমি যখন নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি আমি তার wife এর কাছে ক্ষমা চেয়েছি।
এখন তার কাছে মাফ চাইছি , সে আমার কোনো কথাই শুনছে না সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গিয়েছে আমার সঙ্গে।


১. তাদের সম্পর্ক আগে থেকে খারাপ ছিল , আমার দ্বারা কোনো সম্পর্ক নতুন করে খারাপ হয়নি, বন্ধু সেই বিষয় টা জানার পর কি হয়েছে জানিনা।

আমি খুব কষ্ট পাচ্ছি সে যদি মাফ না করে , আল্লাহ কি আমাকে মাফ করবেন?
হুজুর আমি মানসিক ভাবে খুব চিন্তিত হয়েছি,

আল্লাহর কাছে খাস দিলে তৌবা করলে আমায় কি আল্লাহ মাফ করবেন?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ»

হযরত ইবাদা বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, গোনাহ থেকে তওবাকারী গোনাহ করে নাই ব্যক্তির মত হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫০] 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
খাঁটিভাবে তাওবা করলে আল্লাহ্ তাআলা অতীতের ছোট বড় সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। তবে বান্দার কোন হক নষ্ট করে থাকলে তাওবার পাশাপাশি তাকে তার হক তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া জরুরী।

 তওবা তিনটি জিনিসের সমন্বয়-
(বান্দার হক থাকলে আগে সেটি আদায় করে আসতে হবে,বা তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে আসতে হবে।)

এক. পূর্বের গোনাহের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া। আর অপরের হক নষ্ট করলে তা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া।

দুই. ভবিষ্যতে গোনাহ না করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করা।

তিন. আল্লাহ্ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার তওবা কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ। 
,  
আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এখন আপনার করনীয় হলো উপরোক্ত শর্তাবলী মেনে মহান আল্লাহর কাছে তওবা করা।

আপনি আপনার বন্ধুর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন,কিন্তু প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে তিনি আপনাকে ক্ষমা করেননি।
,
সে যদি সে ক্ষমা না করে, তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তাআলা আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন। কারণ আপনার সাধ্যে যা ছিল তা আপনি করেছেন। সাধ্যের বাইরে কিছু করার জন্য শরীয়ত ব্যক্তিকে বাধ্য করে না।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যথেষ্ট চেষ্টা করছেন ক্ষমা নেয়ার জন্য।
এখন আপনি উপরোক্ত শর্তাবলী মেনে মহান আল্লাহর কাছে তওবা করবেন।

ইনশাআল্লাহ আপনি পাকরাও হবেন না। কারণ সাধ্যের বাইরে কোন কিছু করতে বান্দাকে আল্লাহ তাআলা বাধ্য করেননি।

لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا  [٢:٢٨٦

আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না,{সূরা বাকারা-২৮৬}

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...