বিসমিহি তা'আলা
সমাধানঃ-
মাহরাম ব্যতীত সফর করা স্পষ্টত নাজায়েয।
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-212
সহশিক্ষা নাজায়েয। তবে বর্তমান সময়ের প্রয়োজনে কিছু শর্তের মাধ্যমে ফুকাহায়ে কেরাম রুখসত দিয়ে থাকেন।বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-434
নিজ ইজ্জত আব্রুর হেফাজত করা ফরযে আইন।আর সময়ের প্রয়োজনে জেনারেল শিক্ষা গ্রহণ করা ফরযে কেফায়া।সুতরাং ফরযে আইন পালনে কোনো ব্যঘাত সৃষ্টি হলে কোনো বিষয়ের সাথে আপোষ করা যাবে না।
ইবনে মালাক হানাফি রাহ বলেন,
قَالَ ابْنُ الْمَلَكِ فِيهِ دَلِيلٌ عَلَى عَدَمِ لُزُومِ الْحَجِّ عَلَيْهَا إِذْ لَمْ يَكُنْ مَعَهَا مَحْرَمٌ، وَبِهَذَا قَالَ أَبُو حَنِيفَةَ وَأَحْمَدُ، وَقَالَ مَالِكٌ - رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى يَلْزَمُهَا إِذَا كَانَ مَعَهَا جَمَاعَةُ النِّسَاءِ، وَقَالَ الشَّافِعِيُّ - رَحِمَهُ اللَّهُ - يَلْزَمُهَا إِذَا كَانَ مَعَهَا امْرَأَةٌ ثِقَةٌ اهـ.
কোনো মহিলার মাহরাম পাওয়া না গেলে তার উপর হজ ফরয হবে না।এটাই ইমাম আবু-হানিফা রাহ এবং ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর মাযহাব।ইমাম মালিক রাহ. মনে করেন,মহিলাদের কোনো জামাত পাওয়া গেলে ঐ মহিলার উপর হজ করা ফরয হয়ে যাবে।ইমাম শা'ফেয়ী রাহ. মনে করেন,পরহেযগার মহিলা(মাহরাম সম্ভলিত পরহেযগার মহিলা) পাওয়া গেলে ঐ মহিলার উপর হজ ফরয হয়ে যাবে।
وَقَالَ الشُّمُنِّيُّ مَذْهَبُ مَالِكٍ إِذَا وَجَدَتِ الْمَرْأَةُ صُحْبَةً مَأْمُونَةً لَزِمَهَا الْحَجُّ لِأَنَّهُ سَفَرٌ مَفْرُوضٌ كَالْهِجْرَةِ، وَمَذْهَبُ الشَّافِعِيِّ إِذَا وَجَدَتْ نِسْوَةً ثِقَاتٍ فَعَلَيْهَا أَنْ تَحُجَّ مَعَهُنَّ،
মুহাক্কিক্ব শুমুনি রাহ বলেন,মালিকি মাযহাব হল,যখন মহিলা কোনো নিরাপদ সফরসঙ্গি(মহিলাদের জামাত)পেয়ে যাবে তখন তার উপর হজ ফরয।কেননা হিজরতের মত হজ হল ফরয।এবং শা'ফেয়ী মাযহাব হল,যখন মহিলা কোনো পরহেযগার দ্বীনদার মহিলাদের সঙ্গ পাবে তখন তার উপর হজ ফরয।
(মিরকাতুল মাফাতিহ-২৫১৩ নং হাদিসের ব্যখ্যা দ্রষ্টব্য)
যেহেতু ইজ্জত আব্রুর হেফাজত প্রত্যেক মহিলার উপর ফরযে আইন,অন্যদিকে শিক্ষাগ্রহণ ফরযে কেফায়া।তাই ইজ্জত আব্রুর হেফাজতের স্বার্থে মূলত মাহরাম ব্যতীত সফর নাজায়েয হওয়ারই কথা।মুসলমানদের জন্য এমন সরকার ব্যবস্থা তৈরী করা ওয়াজিব যাতে দেশের সমস্ত অঙ্গনে ইসলামী বিধানমত চলার সুযোগ তৈরী হয়।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-356
যেহেতু আমরা প্রতিকূল পরিবেশে আছি।অন্যদিকে দুনিয়াবি শিক্ষায় মুসলমাদের পিছিয়ে না থাকাটাই এখনকার সময়ে যুক্তিসংগত। সে হিসেবে সময়ের প্রয়োজনে দুনিয়াবি শিক্ষা বিশেষকরে চিকিৎসা শিক্ষার স্বার্থে ছাত্রীদের জন্য কলেজট্যুর ঐ শর্তে বৈধ হবে যে,ঐ কলেজট্যুর দলে ছাত্রীদের একজমাত থাকতে হবে। যাদের বাসস্থল পৃথক থাকতে হবে।ছাত্র-ছাত্রীদের অবাধ মেলামেশার সুযোগ থাকতে পারবে না,বা পুরুষ শিক্ষকদের সাথে অবাদ মেলামেশা বা খোলামেলা রঙ্গ আলাপের কোনো সুযোগ থাকতে পারবে না।
তথা বিপরীত লিঙ্গের সাথে সর্বদা নিরাপদ দূরত্বের ব্যবস্থা থাকতে হবে।এবং শরীয়ত বিরোধী কোনো কাজেও শরীক হওয়া যাবে না।
এমন হলে ইস্তেগফারের সাথে হয়তো বিষয়টা অনুমোদনযোগ্য হতে পারে।
সুযোগ থাকলে কলেজট্যুর কে এড়িয়ে চলাই মূল বিধান।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
পরামর্শ প্রদাণে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.