জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
উল্লেখিত মাসয়ালার ক্ষেত্রে ইমামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
اتفق الحنفية والمالكية على أنه يجب القضاء على من قطع نافلة بعد أن شرع بها عامداً ولا ناسياً دون عذر يمنع إتمامها، أما لو قطعها ناسياً أو كان ثمة عذر يمنع إتمامها فقطعها لأجله فيجب عليه قضاؤها عند الحنفية، ولا يجب القضاء عند المالكية
যার সারমর্ম হলো যদি নফল ইবাদত শুরু করার পর ইচ্ছাপূর্বক ভাবে সেটা নষ্ট করে দেয়,তাহলে ইমাম মালেক,আবু হানিফা রহঃ এর মতে তার জিম্মাম উক্ত নফল আদায় ওয়াজিব,,,,।
يجب القضاء على من قطع النفل – عند الحنفية – سواء أفسده باختياره أو بغير اختياره بأن شرع في صلاة النفل بالتيمم ناسياً الماء في رحله ثم وجده كأن تذكره خلال الصلاة، أو شرع في صوم النفل فصب الماء في حلقه في النوم وجب عليه القضاء وإن لم يوجد منه الإفساد
আবু হানিফা রহঃ এর মাযহাবের বিস্তারিত হলো নফল ইবাদত শুরু করার পর ইচ্ছাপূর্বক হোক আর অনিচ্ছায় তাহা নষ্ট করার দ্বারা সেটা আবার আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
এটি নামাজ রোযা সব ক্ষেত্রেই,,,,,
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
ولا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ} [محمد: 33]
তোমরা তোমাদের আমলকে বাতিল করিওনা।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَوْفُوا بِالْعُقُودِ} [المائدة: 1]
হে ইমানদারগন তোমরা তোমাদের ওয়াদা,চুক্তি সঠিকভাবে সম্পাদন করো,পূরন করো।
,
قال الحصکفی : (والشارع فی نفل لا یقطع مطلقا) ویتمہ رکعتین (وکذا سنة الظہر) ( الدر المختار مع رد المحتار : ۵۳/۲، باب ادراک الفریضة ، ط: دار الفکر، بیروت )
নফল নামাজ শুরু করলে সেটা পূর্ণ করবে,,,।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শুধুমাত্র নফল নামাজ,সদকাহ করার নিয়ত,নফল রোযার নিয়ত করলেই তা আদায় করা ওয়াজিব হবেনা।
বরং উক্ত নফল নামাজ বা রোযা আদায় করা শুরু করে দিতে হবে।
তারপর পতিমধ্যে ভেঙ্গে দিলে,বা ভেঙ্গে গেলে সেটা আদায় করা ওয়াজিব হবে।
,
সদকার ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা দান করার নিমিত্তে দেওয়া শুরু করে ১০০ টাকা দেওয়ার পর তাহা বন্ধ করে দিলে সেটা পূরন করা আবশ্যক নয়।
যতটুকু আদায় করেছে,সেটাই যথেষ্ট।