জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ফুফুর ফোনে আপনাদের ছবি তোলার দরুন আপনাদের গুনাহ হবে।
কেননা অন্যের মোবাইলে ছবি রাখা এটি ফিতনার ক্ষেত্র।
আপনার ফুফারও দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।
সর্বপরি আপনাদের ছবি তোলার গুনাহ হবে।
তবে আপনাদের কাছে ওয়াদা দেয়ার পরেও৷ আপনাদের ছবি তিনি যে গায়রে মাহরামদের দেখিয়েছেন,এর গুনাহ আপনাদের উপর বর্তাবেনা।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
اِنۡ تَکۡفُرُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ غَنِیٌّ عَنۡکُمۡ ۟ وَ لَا یَرۡضٰی لِعِبَادِہِ الۡکُفۡرَ ۚ وَ اِنۡ تَشۡکُرُوۡا یَرۡضَہُ لَکُمۡ ؕ وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ؕ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمۡ مَّرۡجِعُکُمۡ فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ؕ اِنَّہٗ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ﴿۷﴾
যদি তোমরা কুফরী কর তবে (জেনে রাখ) আল্লাহ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন। আর তিনি তার বান্দাদের জন্য কুফরী পছন্দ করেন না। এবং যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও তবে তিনি তোমাদের জন্য তা-ই পছন্দ করেন। আর কোন বোঝা বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবে না। তারপর তোমাদের রবের কাছেই তোমাদের ফিরে যাওয়া। তখন তোমরা যা আমল করতে তা তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন। নিশ্চয় অন্তরে যা আছে তিনি তা সম্যক অবগত।
(সুরা আয যুমার ০৭)
وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی
কোনো ব্যাক্তি অন্য কোনো ব্যাক্তির গুনাহের বোঝা বহন করবেনা।
(সুরা ফাতির ১৮)
★তবে এখন আপনাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে,যেভাবেই হোক তার মোবাইল থেকে ছবি গুলো ডিলিট করে দেয়ার।
আরো জানুনঃ-
(০২)
হ্যাঁ, গুনাহ হবে।
(০৩)
কুফরি নকশা এভাবে লাগিয়ে রাখা যাবেনা।
তবে বৈধ যেকোনো বাক্য সম্বলিত হরফ,বাক্য এভাবে লাগিয়ে রাখা যাবে।