জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এ কথার দ্বারা যিহার হবেনা।
উল্লেখ্য যে মহিলাদের কোনো কথার দ্বারাই যিহার হবেনা।
কেননা আল্লাহ তায়ালা কুরআনে যিহারের বিধান শুধুমাত্র স্বামীর কথার সাথে নির্দিষ্ট করেছেন।
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
وَالَّذِيْنَ يُظٰهِرُوْنَ مِن نِّسَائِهِمْ ثُمَّ يَعُوْدُوْنَ لِمَا قَالُوْا فَتَحْرِيْرُ رَقَبَةٍ مِّنْ قَبْلِ أَن يَّتَمَاسَّا ذٰلِكُمْ تُوْعَظُوْنَ بِهِ وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرٌ"(سورۃ المجادلۃ:۲،۳،۴)
“যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে যিহার করে, তারপর তারা তাদের উক্তি ফিরিয়ে নেয়, তাদের জন্য একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একজন দাস মুক্তির বিধান দেয়া হলো। এটা তোমাদের জন্য নির্দেশ। আর তোমরা যা কিছুই করনা কেন,
সে সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা সবই জানেন। এ ছাড়া যে ব্যক্তি গোলাম অর্থাৎ দাস আজাদ করার ক্ষমতা রাখে না তারজন্য একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একটানা ২মাস রোযা রাখতে হবে। আর যে ব্যক্তি এটারও সামর্থ্য রাখে না,
তাহ’লে তাকে ৬০জন মিসকিন অর্থাৎ গরীব মানুষকে খানা খাওয়াতে হবে। এই বিধান এ জন্য যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপরে তোমরা ঈমান রাখ।
এটা আল্লাহর সীমারেখা। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি” (আল- মুজাদালাহ,৩-৪)।
(০২)
ক,
আপনাকে কোনো কাফফারা আদায় করতে হবেনা।
খ,
হ্যাঁ, তিনি এই মত গ্রহন করতে পারবেন।
গ,
কাফফারা আদায় করতে হবেনা।
ঘ,
আস্তাগফিরুল্লাহ লিখতে হতোনা।
ঙ,
না,তার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।
চ,
শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে আপনার অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
আপনার কুরআন তিলাওয়াত ঠিক ছিলোনা।
গুনাহ হবেনা।
তবে আপনি যদি অযু ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হোন,সেক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবে।
সেক্ষেত্রে অযু করে আসাটাই জরুরি হবে।