আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
267 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১.আমার স্ত্রী আমার সাথে গল্প করার সময় আমাকে বলে যে,  তোমার কান বা কানের ফুটা বা কানের কোন অংশ আমার মামার মত। এই কথার দ্বারা কি যিহার হবে?

২. আমি আপনাদের ওয়েবসাইটে যিহার সম্পর্কে আরও প্রশ্ন দেখছিলাম।    সেখানে দেখলাম যে, আপনারা একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন যে,  অনেক উলামায়ে কেরাম বলেছেন,  যদি কোন স্ত্রী বলে তুমি আমার বাপ বা বাপের মত। এখেত্রে মহিলার পক্ষ থেকে যিহার হবে না কিন্তু কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে।

তখন আমার আপনাদের ওয়েবসাইটে এই লেখা দেখার পর আমার সন্দেহ হয় যে, আমার স্ত্রীর অই কথার দ্বারা যিহার   হল নাকি বা    আমার স্ত্রীর অই কথা      আপনাদের ওয়েবসাইটে যে লেখা আছে,  স্ত্রী যদি বলে তুমি আমার বাপ বা বাপের মত  এই কথার মত হল নাকি।

তখন আমি মনে মনে ভাবি যে যদি যিহার হয়েও থাকে তাহলে তো  কসমের কাফফারা আদায়   করতে হবে। এজন্য আমি মনে মনে কসমের কাফফারা আদায় করব বলে মনে মনে ঠিক করি।
কিন্তু অন্য আরও একটি ওয়েবসাইটে আমি দেখি যে ইবনে তাইমিয়্যাহ (রহঃ) বলেছেন, স্ত্রী ও যিহার করতে পারে। স্ত্রী যদি যিহার করে তাহলে যিহারের কাফফারা আদায় করতে হবে। যিহারের কাফফারা হল  দুই মাস টানা রোজা রাখতে হবে বা ষাট জন মিসকিনকে খাওয়াতে হবে বা একজন দাস আজাদ করতে হবে।

ইবনে তাইমিয়্যাহ (রহঃ) এর মত দেখার পর  আমি মনে মনে ভাবি যে,  আমি তো দেখলাম স্ত্রী আমাকে যে কথা বলেছে এই কথা বল্লে কসমের কাফফারা দিতে হয়। এই জন্য আমি আমার সন্দেহ দূর করার জন্য কসমের কাফফারা আদায় করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখানে তো  বলেছে যে যিহারের কাফফারা আদায় করতে হবে। তখন আমি মনে মনে ভাবি আমার তো যিহার হয় নি। (কারণ আমি ইউটিউবে ও আপনাদের ওয়েবসাইটে দেখেছি যে স্ত্রী যিহার করলে যিহার হয় না)। এখন আমার প্রশ্ন হল-

ক.এভাবে  আমার যিহার হয়েছে নাকি এই     সন্দেহ দূর করার জন্য প্রথমে কসমের কাফফারা আদায় করতে চাওয়া এবং পরবর্তীতে যিহারের কাফফারা আদায় করতে হবে জানার পর সুবিধার জন্য    অন্য আলেমের মত (স্ত্রী যিহার করতে পারে না) গ্রহণ করলে কি প্রবৃওির অনুসরণ করা হবে?   (কারন আপনার একটি    তালাক না কি যেন প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে দেখেছিলাম যে নিজের সুবিধার জন্য এক মাযহাবের হয়ে অন্য মাযহাবের মত গ্রহন করা প্রবৃওির অনুসরণ)                                            
খ.   কেউ যদি আহলে হাদিস হয় তাহলে কি স্ত্রীর  দ্বারা যিহার  হয় না এই মতটি গ্রহণ করতে পারবে? আহলে হাদিস বা অন্য মাযহাবে কি অন্য কোন মত আছে?

গ.    আমার স্ত্রী আমাকে যে কথা বলেছে তা কি  তুমি আমার বাপ বা বাপের মত এই জাতীয় কথার মধ্যে পরে?এর কারনে কি কসমের কাফফারা আদায় করতে? যেহেতু কিছু উলামায়ে কেরাম     কসমের কাফফারা দিতে হবে বলেছেন

ঘ.আমার প্রশ্ন লেখাতে  কোথাও  কি আস্তাগফিরুল্লাহ লিখতে হত?  না লেখার কারনে কি কোন গুনাহ হবে?

ঙ. কেউ যদি ইবনে তাইমিয়্যাহ (রহঃ) লেখার সময় বানান ভুল করে এবং রহঃ লেখার সময়( ঃ) না  লেখে তাহলে কি তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

চ.আমি কালকে এশার নামাজ পরে আসার পর কুরআন পড়ি। কিন্তু কুরআন শরিফ পড়ার আগে আমার অজু নিয়ে সন্দেহ হয় যে, আমার বায়ু বের হল নাকি। এরকম অজু নিয়ে সন্দেহ হওয়ার পরও সন্দেহ নিয়েই আমি কুরআন শরিফ পড়ি। এভাবে কুরআন পড়ার কারনে কি আমার কোন গুনাহ হবে? যেহেতু আমার অজু নিয়ে সন্দেহ হয়েছিল?  আমার কি অজু করা উচিত ছিল?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم  


(০১)
এ কথার দ্বারা যিহার হবেনা।

উল্লেখ্য যে মহিলাদের কোনো কথার দ্বারাই যিহার হবেনা।
কেননা আল্লাহ তায়ালা কুরআনে যিহারের বিধান শুধুমাত্র স্বামীর কথার সাথে নির্দিষ্ট করেছেন।

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

وَالَّذِيْنَ يُظٰهِرُوْنَ مِن نِّسَائِهِمْ ثُمَّ يَعُوْدُوْنَ لِمَا قَالُوْا فَتَحْرِيْرُ رَقَبَةٍ مِّنْ قَبْلِ أَن يَّتَمَاسَّا ذٰلِكُمْ تُوْعَظُوْنَ بِهِ وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرٌ"(سورۃ المجادلۃ:۲،۳،۴)

“যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে যিহার করে, তারপর তারা তাদের উক্তি ফিরিয়ে নেয়, তাদের জন্য একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একজন দাস মুক্তির বিধান দেয়া হলো। এটা তোমাদের জন্য নির্দেশ। আর তোমরা যা কিছুই করনা কেন,
সে সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা সবই জানেন। এ ছাড়া যে ব্যক্তি গোলাম অর্থাৎ দাস আজাদ করার ক্ষমতা রাখে না তারজন্য একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একটানা ২মাস রোযা রাখতে হবে। আর যে ব্যক্তি এটারও সামর্থ্য রাখে না,
তাহ’লে তাকে ৬০জন মিসকিন অর্থাৎ গরীব মানুষকে খানা খাওয়াতে হবে। এই বিধান এ জন্য যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপরে তোমরা ঈমান রাখ।
এটা আল্লাহর সীমারেখা। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি” (আল- মুজাদালাহ,৩-৪)।

(০২)
ক,
আপনাকে কোনো কাফফারা আদায় করতে হবেনা।

খ,
হ্যাঁ, তিনি এই মত গ্রহন করতে পারবেন।

গ,
কাফফারা আদায় করতে হবেনা।

ঘ,
আস্তাগফিরুল্লাহ লিখতে হতোনা।

ঙ,
না,তার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।

চ,
শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে আপনার অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
আপনার কুরআন তিলাওয়াত ঠিক ছিলোনা।
গুনাহ হবেনা।

তবে আপনি যদি অযু ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হোন,সেক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবে।
সেক্ষেত্রে অযু করে আসাটাই জরুরি হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...