আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
204 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)

আসসালামু য়া লাইকুম শায়খ। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা ব্যাভিচারের শাস্তি দ্বিগুন হবে বলেছেন। ব্যাভিচার বলতে সাধারণত বুঝায় হারাম ভাবে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া। যৌন কামনা মিটানো। হোক অবিবাহিত বা বিবাহিত হলে পরকিয়া।  এখন আমার প্রশ্নটি হচ্ছে যে আমরা তো চোখের যেনা,হাতের যেনা,পায়ের যেনা করে থাকি।কিন্তু বড় যেনা মানে লজ্জাস্থানের মিলনের মত বড় পাপ করি না মহান আল্লাহ তায়ালার ভয়ে। এখন প্রশ্নটি হল যে...এই হাতের যেনা পায়ের যেনা চোখের যেনা ও কি কুরআনে বলা দ্বিগুন শাশ্তির ব্যাভিচার এর মধ্যে পড়ে?

মানে হাতের যেনা, পায়ের যেনা, কানের যেনা করাও কি পবিত্র কুরআনে বিদ্যমান ব্যাভিচার এর মধ্যে পড়ে?

 

সম্মানিত শায়খ ছোটভাইটি আপনার উত্তরের জন্যে অপেক্ষায় রইল।আসসালামুyalaikum।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}

ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা তুরবিশতী (রহঃ) বলেছেন, আদম সন্তানের ওপর এটাই সাব্যস্ত যে, তার জন্য প্রয়োজন সৃষ্টি করা হয়েছে আর সে প্রয়োজনীয়তার দ্বারা সে স্বাদ গ্রহণ করে। তাকে শক্তি দান করা হয়েছে যার দ্বারা সে উক্ত কর্ম সম্পাদনের (যিনার) ক্ষমতা রাখে। আর চক্ষুদ্বয় এর বিষয় হলো যে, এই চক্ষুদ্বয়ের দৃষ্টিপাতের সক্ষমতা দ্বারা দেখার স্বাদ গ্রহণ করা যায়। ‘আল্লামা ত্বীবী বলেন যে, كَتَبَ উদ্দেশ্য হলো, তাতে যৌন চাহিদা এবং নারীদের প্রতি পুরুষের দুর্বলতা বা ঝুঁকে পড়া প্রমাণিত হয় এবং চক্ষু, কর্ণ, অন্তর এবং লজ্জাস্থান দ্বারা যিনার স্বাদ গ্রহণ করা যায়।

(وَالنَّفْسُ تَمَنّى وَتَشْتَهِي) অন্তর আকাঙ্ক্ষা ও খাওয়াহিশাত বা যৌন চাহিদার জন্ম দেয়। অর্থাৎ- অন্তরের যিনা হলো- আকাঙ্ক্ষা করা। (وَالْفَرْجُ يُصَدِّقُ ذلِكَ) যৌনাঙ্গ সহবাসের মাধ্যমে দৃষ্টিপাত ও খাহেশাতের বাস্তব প্রতিফলন ঘটায়। আর (يُكَذِّبُهٗ) এর অর্থ হলো, প্রতিপালকের ভয়ে উক্ত কর্ম থেকে বিরত থাকে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যেকোনো যেনার ক্ষেত্রে হাত,পা,কান ইত্যাদিই মাধ্যম হয়।
তাই যেনার দিকে অগ্রসরের এর প্রতিটি ধাপই যেনা হবে।

তবে লজ্জাস্থান যদি যেনাকে বাস্তবে রূপ না দেয়,সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যাক্তির উপর যেনার শাস্তি আসবেনা।
এটি কুরআন হাদীসে বিদ্যমান আসল যেনার মধ্যে পড়েনা।

তবে ইচ্ছাকৃত এমন যেকোনো ধাপই কবিরাহ গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...