আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in সালাত(Prayer) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।  শেষ রাতে বিতির স্বলাতের ওয়াক্ত ৪ মিনিট বাকি থাকা অবস্থায় বিতির স্বলাতে দাঁড়িয়ে বিতির পড়া শেষ হতে হতে এপসের শো করা বিতিরের শেষ  সময়  ক্রস করেছে। আর ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গিয়েছে। বিতির স্বলাত কি হয়েছিলো?
২)এরকম বিতির স্বলাতে রত থাকা অবস্থায় বিতির ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে স্বলাত কি পুনরায় কাযার নিয়্যাতে পড়তে হবে?

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
ইশা,বিতির,তাহাজ্জুদ,এবং সেহরীর সময় শেষ হয় সুবহে সাদিক শুরু হলে। সুবহে সাদিক শুরু হওয়া মানেই ইশা,বিতির,তাহাজ্জুদ,এবং সেহরীর সময় শেষ। আর সুবহে সাদিক শুরু হওয়া মানেই ফজরের সময় শুরু।

কিন্তু এখানে যে বিষয়টি লক্ষ্যনীয়। সেটি হলো ক্যালেন্ডার গুলোতে দেখা যায়, সেখানে লেখা আছে, সতর্কতা স্বরূপ তিন বা ৫ মিনিট হাতে রেখে সময় উল্লেখ করা হয়েছে।
 যেমন যদি চারটা ৪৭ মিনিটে যদি  সুবহে সাদিক শুরু হয়, তাহলে ক্যালেন্ডারে লেখা হয়েছে সুবহে সাদিক শুরু চারটা ৪৪ বা ৪২ শে। 
মানে তিন বা পাঁচ মিনিট হাতে রেখে সময় উল্লেখ করা হয়েছে। সতর্কতা স্বরূপ আগেই সময় শেষ হয়েছে লেখা হয়, যেন কোন ব্যক্তি শেষ মুহুর্তে পানি খেলেও তার রোযাটা না ভাঙ্গে।

وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ
 مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ ۚ [٢:١٨٧] 

আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। {সূরা বাকারা-১৮৭}

عَنْ بِلَالٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: «لَا تُؤَذِّنْ حَتَّى يَسْتَبِينَ لَكَ الْفَجْرُ هَكَذَا» وَمَدَّ يَدَيْهِ عَرْضًا، (سنن ابى داود، رقم الحديث-1171)
যার সারমর্ম হলো রাসুল সাঃ হযরত বেলাল রাঃ কে ফজর স্পষ্ট দেখা দিলে আযান দিতে বলেছেন।
.
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি এপসে শো করা ক্যালেন্ডার সঠিক হয়,আর সেখানে দেখানো শেষ টাইমের ৩ মিনিটের মধ্যেই আপনার বিতির আদায় করে থাকেন,সালাম ফিরিয়ে থাকেন,তাহলে উক্ত বিতির আদায় হয়ে গিয়েছে,তাই তার কাজা আদায় করতে হবেনা।
       
(০২)
বিতির নামাজেরও কাজা আদায় করতে হবে।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِى

অনুবাদ-যখন তোমাদের কেউ নামায ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বা নামায থেকে গাফেল হয়ে যায়, তাহলে তার যখন বোধোদয় হবে তখন সে যেন তা আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-আমাকে স্মরণ হলে নামায আদায় কর।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬০১
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২৯৩২
সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪১৮২)
,
সুতরাং ১নং উত্তরের ভিত্তিতে আপনাকে যদি বিতিরের  কাযা আদায় করা জরুরি হয় ,তাহলে সূর্য উদিত হওয়ার পর থেকে যেকোনো সময় আদায় করতে পারবেন।     
তবে নিষিদ্ধ ওয়াক্ত গুলোতে আদায় করতে পারবেননা।
,
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 147 views
0 votes
1 answer 95 views
0 votes
1 answer 132 views
0 votes
1 answer 284 views
...