নামাজ হয়েছে কিনা সম্পর্কে

Question

আসসালামু আলাইকুম
(১)

আমার প্রসাবের ফোটা পড়া সমস্যা আছে। ফলে আজকে সকালে নামাজ পড়তে উঠার পড় অনেক সময় ধরে ইস্তিন্জা করার পর যখন নামাজ পড়তে গেলাম তখন রুকুতে যাওয়ার সময় মনে হলো কিছু বের হয়েছে কিন্তু জোরালোভাবে ধারণা করতে পারিনি। যখন বাসায় এসে চেক করলাম তখন প্রসাবের কোনো চিহ্ন পায়নি।
আমার নামাজ হয়েছে?
(২)

আজকে জুমআর সময়ও আমার প্রসাবের ফোটা পড়া সমস্যার কারণে অনেক্ক্ষণ ধরে ইস্তিন্জা করে লাভ হয়নি। আবার যখন মসজিদে বসা অবস্থায় হাঁচি আসলে প্রসাবের ফোটা বের হয়ে যায়। কিন্তু বাসা থেকে মসজিদ দূরে হওয়ায় বাসায় এসে প্যান্ট চেন্জ করার সুযোগ ছিল না।আর যেহেতু প্রসাবের ফোটা ছিল এক দরহাম পরিমাণ জায়গার চেয়ে অনেক কম তাই আমি ওই প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় নামাজের জন্য দাড়ায়। নামাজে আমার ক্ষীণ ধারণা হয় যে হয়তো প্রসাব বের হয়েছে। আর পরে হালকা করে ফোটার চিহ্ন দেখে নিশ্চিত হয় আমার জুমুআর নামাজ হয়নি। কিন্তু ফোটার পরিমাণ অনেক স্বল্প হওয়ায় ওই প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় বসে যোহরের ফরজ নামাজ পড়ি।

আমার যোহরের নামাজ হয়েছে?

(৩)

আশা করি আন্দাজ করতে পারছেন আমার অবস্থা।এমতাবস্থায় অন্যান্য নামাজগুলো আমার কিভাবে আদায় করা উচিত?

Comments

আর জুমুআর সময় যতবার ফোটা বের হয়েছে আমি ওযু করে নিয়েছিলাম।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে,
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
যেহেতু বাসায় এসে আপনি চেক করে কিছুই পাননি তাই আপনার নামাযে কোনো সমস্যা হয়নি।

(২)
ফোটার পরিমাণ অল্প হোক বা বেশী হোক, ফোটা বের হওয়ার পর যেহেতু আপনি অজু করেননি, তাই আপনার নামাযে কোনো সমস্যা হয়নি।তাই উক্ত নামাযকে দোহড়িয়ে পড়ে নিবেন।

কমেন্টে বলেছেন, আপনি অজু করেছিলেন।অর্থাৎ যতবার প্রস্রাব বের হয়েছে, ততবারই অজু করেছেন।তাই আপনার নামায হয়েছে।

(৩)
এই অবস্থায় আপনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। ট্রিটমেন্ট গ্রহণ করুন।