আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
380 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)

আসসালামু আলাইকুম। 
১।কারো ক্ষতস্থান থেকে যদি একদিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও তরল নিঃসরণ বন্ধ না হয়, তাহলে কি পরবর্তী সলাতগুলোর জন্য সে নিজেকে মাযুর হিসেবে গণ্য করবে?

২।যদি সে মাযুর হয়ে থাকে,তাহলে কি তাকে মসজিদের জামাআতে না গিয়ে প্রতি ওয়াক্তের শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?

৩।যদি এমন হয় যে,ক্ষতস্থান থেকে ক্রমাগত তরল নিঃসরণ হচ্ছেনা বরং কিছুক্ষণ পরপর হচ্ছে,তাহলে কি সে মাঝের অই কিছুক্ষণের ভেতরে সলাত পড়ে নিতে পারবে?

৩।ক্ষতস্থানের উপর ব্যান্ডেজ বা অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করে তরল নিঃসরণ আটকে রাখলে অযু থাকবে নাকি ভেঙে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য শর্ত হলো,

شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-

শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

কোনো ব্যাক্তি মা'যুর প্রমানিত হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ওয়াক্ত গুলোতে পুরো সময় উক্ত অযর পাওয়া জরুরি নয়,বরং পরবর্তী প্রতি ওয়াক্তে এক বারও যদি উক্ত ওযর পাওয়া যায়,তাহলে সে মা'যুরই থাকবে।   
,
সুতরাং যদি কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,উক্ত ক্ষতস্থা হতে তরল নিঃসরণ বন্ধ না হয়,বরং চলতেই থাকে,এই উযরের কারণে ফরয নামায পড়া আপনার জন্য কোনোভাবেই   সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর। অন্যথায় শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
(০২)
প্রথম ওয়াক্তে শুধু নামাজের শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবে,বাকি ওয়াক্ত গুলোতে যেহেতু এক বার উক্ত ওযর পাওয়াই যথেষ্ঠ, সুতরাং শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবেনা।
,
(০৩)
হ্যাঁ সে যদি মাঝের ঐ ওয়াক্তে অযু করে এসে নামাজ পড়ে নেয়,তাহলে তো অনেক ভালো।
,
(০৪)
 ক্ষতস্থানের উপর এমন কিছু ব্যবহার করা,যার দ্বারা তরল শরীর থেকে বের হয় ঠিকই,কিন্তু উক্ত জিনিসের কারনে সেটা বাহিরে প্রকাশ পায়না,তাহলেও অযু ভেঙ্গে যাবে।
কারনে এক্ষেত্রে মূলনীতি হলো শরীর থেকে বের হওয়া।     
দেখা যাওয়া জরুরি নয়। 
,
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,  নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ

শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)


أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَعَفَ، انْصَرَفَ فَتَوَضَّأَ

আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি.-এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝরতো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অযু করে নিতেন। (মুয়াত্তা মালিক ১১০)
,
আর যদি এমন কিছু ব্যবহার করে,যাহা শরীর থেকেই উক্ত পানি বের হতে  দেয়না।
তাহলে অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 292 views
0 votes
1 answer 261 views
...