জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো টাকার বিনিময়ে টাকা নিলে কোনো কমবেশি করা যাবেনা।
কম বেশি করলে সেটি সূদ হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ مُسْلِمٍ الْمَكِّيِّ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ تِبْرُهَا وَعَيْنُهَا وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ تِبْرُهَا وَعَيْنُهَا وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ مُدْىٌ بِمُدْىٍ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ مُدْىٌ بِمُدْىٍ وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ مُدْىٌ بِمُدْىٍ وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مُدْىٌ بِمُدْىٍ فَمَنْ زَادَ أَوِ ازْدَادَ فَقَدْ أَرْبَى وَلاَ بَأْسَ بِبَيْعِ الذَّهَبِ بِالْفِضَّةِ - وَالْفِضَّةُ أَكْثَرُهُمَا - يَدًا بِيَدٍ وَأَمَّا نَسِيئَةً فَلاَ وَلاَ بَأْسَ بِبَيْعِ الْبُرِّ بِالشَّعِيرِ وَالشَّعِيرُ أَكْثَرُهُمَا يَدًا بِيَدٍ وَأَمَّا نَسِيئَةً فَلاَ "
হাসান ইবন আলী (রহঃ) ........... উবাদা ইবন সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সোনা সোনার বিনিময়ে সমান সমান বিক্রি করবে, চাই তা সোনার পাত হোক বা স্বর্ণ মুদ্রাই হোক এবং রুপা রুপার বিনিময়ে সমান সমান বিক্রি করবে, চাই তা রুপার পাত হোক বা রৌপ্য মুদ্রাই হোক। আর গম গমের বিনিময়ে এক মুদ এক মুদের বিনিময়ে বিক্রি করতে হবে এবং যবের বিনিময়ে যবও এক মুদের বিনিময়ে এক মুদ বিক্রি করতে হবে। আর খেজুর খেজুরের বদলে এক মুদের বিনিময়ে এক মুদ বিক্রি করতে হবে। একই ভাবে লবণ লবণের বিনিময়ে এক মুদের বদলে এক মুদ বিক্রি করতে হবে। এই প্রকারের একই ধরনের জিনিসের মধ্যে যে ব্যক্তি বেশী নিবে বা দিবে, তা-ই সূদ হবে।
তবে সোনাকে রুপার বিনিময়ে এ অবস্থায় বিক্রি করা, যখন রুপা উভয় অংশের মধ্যে অধিক হবে, তবে তা দূষণীয় নয়। তবে এতে শর্ত হলো- লেন-দেন হাতে হাতে হতে হবে, বাকীতে বিক্রি জায়িয হবে না। একই রূপে গম যবের বিনিময়ে বিক্রি করা দূষণীয় নয়, যখন যবের অংশ উভয়ের মধ্যে অধিক হবে। তবে তা এ শর্তে যে, লেন-দেন হাতে হাতে হতে হবে এবং এতেও বাকী বিক্রি বৈধ নয়।
(আবু দাউদ ৩৩১৬)
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আমাদের দেশে প্রচলিত পুরাতন ছেঁড়াফাটা টাকার বিনিময়ে নতুন টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে অন্যান্য পণ্যের ন্যায় কমবেশি করে মূল্য নির্ধারণপূর্বক বিক্রি করা সুদী লেনদেনের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এটি নাজায়েজ ও হারাম।
এক্ষেত্রে সাধারণত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উক্ত সেবাটি প্রদান করে থাকে। বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোতো বিনামূল্যেই উক্ত সেবাটি প্রদান করে। তাই এক্ষেত্রে সুদী লেনদেন করার কোন যৌক্তিকতা নেই। এরপরও একদম অপারগতার ক্ষেত্রে বদল কারীর পরিশ্রম ও ডাক খরচ বাবদ কিছু টাকা বেশি নেওয়া যেতে পারে। তবে শর্ত হচ্ছে স্পষ্টভাবে বাবত উল্লেখ করে দিতে হবে।
★প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে "বর্তমানে ব্যাংকগুলো ছেড়া টাকা পরিবর্তন করতে গাফিলতি দেখায়, এমনকি এমনও শুনেছি যে ছেড়া টাকা নিতে চায় না। তাহলে আমরা তো এখানে ভুক্তভোগী"
সুতরাং এক্ষেত্রে বিষয়টি যদি পুরোপুরি সত্য হয়,আপনাদের এলাকার বা আপনাদের জেলার অন্তর্গত রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো যদি আসলেই সেই টাকা না নিতে চায়,তাহপে অপরাগতা বশত এভাবে রাস্তার পাশে বসা টাকা পরিবর্তনের জায়গা থেকে টাকা নেয়া যেতে পারে।
এক্ষেত্রে বদল কারীর পরিশ্রম ও ডাক খরচ বাবদ কিছু টাকা বেশি নেওয়া যেতে পারে। তবে শর্ত হচ্ছে স্পষ্টভাবে বাবত উল্লেখ করে দিতে হবে।