জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মুমিনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত অনেক মুল্যবান।
সময় পেলেই নফল ইবাদত,নেক কাজে মশগুল থাকা দরকার।
,
সুরা মুনাফিকুন এর ১০ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ اَنۡفِقُوۡا مِنۡ مَّا رَزَقۡنٰکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَ اَحَدَکُمُ الۡمَوۡتُ فَیَقُوۡلَ رَبِّ لَوۡ لَاۤ اَخَّرۡتَنِیۡۤ اِلٰۤی اَجَلٍ قَرِیۡبٍ ۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَکُنۡ مِّنَ الصّٰلِحِیۡنَ ﴿۱۰﴾
আর আমি তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় কর, তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বে। কেননা তখন সে বলবে, হে আমার রব, যদি আপনি আমাকে আরো কিছু কাল পর্যন্ত অবকাশ দিতেন, তাহলে আমি দান-সদাকা করতাম। আর সৎ লোকদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«اغتنم خمسا قبل خمس: شبابك قبل هرمك، وصحتك قبل سقمك، وغناك قبل فقرك، وفراغك قبل شغلك، وحياتك قبل موتك »
“তোমরা পাঁচটি জিনিসকে পাঁচটি জিনিসের পূর্বে গণিমত-সুবর্ণ সুযোগ- মনে কর। তোমার যৌবনকে কাজে লাগাও বার্ধক্য আসার পূর্বে, তোমার সুস্থতাকে কাজে লাগাও তোমার অসুস্থতার পূর্বে, তোমার সচ্ছলতাকে কাজে লাগাও অসচ্ছলতার পূর্বে, তোমার অবসরতাকে কাজে লাগাও তোমার ব্যস্ততার পূর্বে, আর তোমার হায়াতকে কাজে লাগাও তোমার মৃত্যু আসার পূর্বে”।
বর্ণনায় হাকিম, হাদিস: ৭৮৪৬ তিনি হাদিসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন। হাদিসটি বুখারি ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
গল্প উপন্যাস এর বই পড়া জায়েজ।
,
তবে শর্ত হচ্ছে দুটি। প্রথমত, অশ্লীল ও যৌন সুড়সুড়ি দেয় এমন কিছু হতে পারবে না। কারণ, এগুলো পড়লে এর মাধ্যমে আপনি নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হবেন। অনেক গল্প আছে, যেগুলোতে মানুষের নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য অনৈতিক কথাবার্তা উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, ইসলামী শরিয়তে হারাম, নিষিদ্ধ, গর্হিত—এ ধরনের কোনো বিষয় যদি সেখানে এসে যায়, তাহলে সেটাও নিষিদ্ধ হবে। যেমন শিরক শিক্ষা দিচ্ছে, যৌনতার শিক্ষা দিচ্ছে, মাদকাসক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষা দিচ্ছে, যদি এমনি কিছু সেখানে থাকে, তাহলে সেগুলো পড়বেন না।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
না,পুরো বইটা পড়া হারাম হবেনা।
(০২)
পুরো বইটিই হারাম হবেনা।
তবে যেই যেই পৃষ্ঠায় নারীর ছবি আছে,সেগুলোর দিকে নজর দিলে গুনাহ হবে।
(০৩)
পড়া যাবে।
তবে সেটা যদি এমন বই হয় যে শিরক শিক্ষা দিচ্ছে,তাহলে এ জাতীয় স্থান পড়া যাবেনা।
(০৪)
সেইসব কাহিনী পড়া যাবে।
আকীদা বিশুদ্ধ রেখে পড়া যাবে।
(০৫)
না,পুরো বইটা ফেলে দিতে হবেনা।
সেই নির্দিষ্ট স্থান না পড়লেই হলো।
(০৬)
পুরো বই হারাম হবেনা।
(০৭)
উক্ত বই যদি শিরক শিক্ষা দেয় বা জাদু শিক্ষা দেয়,তাহলে তাহা পড়া যাবেনা।
নতুবা আকীদা বিশুদ্ধ রেখে পড়া যাবে।
(০৮)
ঐ জ্ঞান হারাম হবেনা।
(০৯)
আকীদা বিধ্বংসী হলে তাহা পড়া যাবেনা।
এতে আকীদা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকার দরুন উলামায়ে কেরামগন এসব বই পড়তে নিষেধ করেন।
(১০)
সেসব বই ক্রয় করা যাবে ও পড়া যাবে।
(১১)
তার বই পড়া যাবে।
আকীদা বিধ্বংসী হলে তাহা পড়া যাবেনা।
(১২)
আকীদা বিশুদ্ধ রেখে সেগুলো পড়া জায়েজ।