আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
162 views
in পবিত্রতা (Purity) by (12 points)
edited by
আমি প্রচন্ড ভাবে ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত। যাই দরি তাতেই মনে হয় নাপাকি লেগে যাই।
১/শুধু প্রস্রাব করেই আমাকে অনেক পানি খরচ করতে হয়।প্রস্রাব শেষে হাত ধৌত করতেও অনেক পানি খরচ করি। এতে আমার মনে হয় পানির অপচয় করতেছি।তাই আমি সিদ্ধান্ত নেই প্রস্রাবের পর পানি কম খরচ করবো এবং হাত ধৌত করাতে কম পানি খরচ করবো। তার পর আমি তাই করি। প্রস্রাব শেষে কম পানি খরচ করি এবং  হাত ধৌত করতেও কম পানি খরচ করি। এরপর আমি ঐ হাত দিয়েই পেন্ট পড়ি ও বেল্ট পরি। বেল্ট পড়ার পর থেকে মনে হচ্ছে পানি কম খরচ করার কারনে আমার হাতে প্রস্রাব লেগেছিল এবং তা বেল্টে লেগে বেল্ট নাপাক হয়ে গেছে। এখন আমার করনীয় কি। বেল্ট কি নাপাক হয়ে গেছে। কোনো ভাবেই বেশি পানি খরচ করা থেকে বাঁচতে পারতেছি নাহ।
২/ আমি যাই করি তাতেই যেহেতু মনে হয় নাপাক লেগেছে। তাই অনেক সময় ধৌত করি অনেক সময় শয়তানের ওয়াসওয়াসা মনে করে ধৌত করি নাহ। এখন আমার প্রশ্ন হলো কোনো কিছুতে সত্যিই লাগছে আর আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত তাই ওয়াসওয়াসা মনে করে ধৌত করলাম নাহ এতে কি ঐ পোশাক পড়ে আমার নামাজ হবে।(ওয়াসওয়াসা মনে করে এটা কখনোই ধৌত করলাম নাহ। যেমন পেন্টর বেল কোনো সময়ই ধৌত করা হয় নাহ) এই বেল্ট পরে নামাজ হবে কি। আমি যে ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত।

এই সকল বিষয় আমাকে পাগল করে তোলতেছে। আমার কাছে ইসলাম অনেক কঠিন হয়ে উঠতেছে। সব কিছু অনেক কঠিন মনে হচ্ছে।  আমাকে সহজ কিছু উপদেশ দিন। আমি এবাদতে মনোযোগ দিতে পারতেছি নাহ।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


হাদীস শরীফে পেশাব থেকে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছেঃ
  
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ “.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে। কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। একজনের কবরে আজাব হচ্ছে সে পেশাব থেকে ভাল করে ইস্তিঞ্জা করতো না। আরেকজন চোগোলখুরী করতো। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৮০, বুখারী, হাদীস নং-১৩৬১}

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই! 
পেশাব যেহেতু নাপাক,তাই এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইস্তিঞ্জা করতে গিয়ে হাতে পেশাব লাগলে একবার পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিলেই হাত পাক হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে অপচয়ের সুযোগ নেই।

আর যদি ইস্তেঞ্জার সময় হাতে পেশাব না লাগে,সেক্ষেত্রে হাত ধোয়ারই প্রয়োজনীয়তা নেই।

(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে একবার হাত ধুয়ে আপনি সেই হাত দিয়ে যাহা স্পর্শ করবেন,সেটা পাকই থাকবে।
নাপাক হবেনা।

এগুলো সবই আপনার ওয়াসওয়াসা। 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বেল্ট পাক থাকবে।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে হাত একবার ধোয়ার পর আর কিছুই তো নাপাক হচ্ছেনা।
সুতরাং বেল্ট ইত্যাদি কোনো কিছুই ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই।
এসব পাকই থাকবে।
উক্ত পোশাকে আপনার নামাজ হয়ে যাবে।

ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন।
এটি শয়তানের পক্ষ থেকে আসে।
এটিকে পাত্তা দিবেননা।

ওয়াসওয়াসা আসলে আপনি বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন। 
أعوذ بالله من الشيطان الرجيم পড়ে নিবেন।
,
এরপর নিজ কাজে মগ্ন হয়ে যান। এদিকে বেশি মনোযোগ দিবেন না। কেননা, এইসব অবাঞ্ছিত চিন্তাকে গুরুত্ব দিয়ে কীভাবে তা দূর করা যায় এ চিন্তায় পড়ে গেলে আপনি এখানেই আটকা পড়ে যাবেন। সামনে অগ্রসর হওয়া আর সম্ভব হবে না। এভাবে শয়তানের উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে যাবে।

যে কোনো ওয়াসওয়াসার প্রধান চিকিৎসা এটাই যে, একে গুরুত্ব না দেয়া। কী চিন্তা আসল, কী চিন্তা গেল-তা না ভেবে নিজের কাজে মশগুল থাকুন। কেননা, এটা মূলত শয়তানের কাজ। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,

إِنَّمَا النَّجْوَىٰ مِنَ الشَّيْطَانِ لِيَحْزُنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيْسَ بِضَارِّهِمْ شَيْئًا إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ

এই ওয়াসওয়াসা তো শয়তানের কাজ; মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার দেয়ার জন্যে। তবে (এই ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি করে) সে মুমিনদেরকে চুল পরিমাণ ক্ষতি করতে পারে না, আল্লাহর হুকুম ছাড়া। মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপর ভরসা করা। (সূরা মুজাদালাহ ১০)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...