আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।
প্রশ্নের লিন্কঃ ১. ifatwa.info/52467/
আরেকটা লিন্কঃ ifatwa.info/53651/
১।শুনেছি মেসেজে বা ফোনে তালাকের মজলিস হয় না।ইমদাদুল হুজুর বলেছিল মেসেজে স্ত্রী তালাক না চাইলে কোন কথা স্বামী নিয়ত ছাড়া বললেও তালাক হয় না।এমনকি বলেছিল স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে তুমাকে ছেড়ে দিব।এরপর ও নিয়ত ছাড়া বললে স্বামী কেনায়া শব্দ তবু তালাক হয় না।কারন স্ত্রী তালাক চায় নি। এখন প্রশ্ন হল স্ত্রী যদি বলে তুমার সাথে থাকতে পারব না,সারাজীবন বা যদি বলে সংসার করতে পারব না।এখানে তহ স্ত্রী তালাক চায় নি।আর কেনায়া শব্দ নিয়ত ছাড়া বললেও তালাক হয় না।আর স্ত্রী যা বলেছে তখন স্বামী স্ত্রী ধরেন কেও জানত ও না কেনায়া তালাকের ব্যাপারে।যেহেতু স্ত্রী সরাসরি তালাক ও চায় নি। এমনিতে বলে রাগে উপরের কথা গুলো তাহলে তালাক হবে? শুনেছি মেসেজে বা ফোনে তালাকের মজলিস হয় না।স্ত্রী সরাসরি তালাক চায়লে স্বামী কেনায়া শব্দ বললে তালাক হয় যে।কিন্তু স্বামী স্ত্রী এক জায়গায় বসলে সেখানে তালাকের মজলিস হয়।সেখানে সংসার করবে না বললে বা তালাকের আলোচনা করলে স্বামী কেনায়া শব্দ নিয়ত ছাড়া বললেও হয়ে যায়।মেসেজে তালাক না চাইলে কেনায়া শব্দ নিয়ত ছাড়া বললে তালাক হয় না।তহ উপরোক্ত কারনে কি তালাক হবে?
২।কোন মানুষ ধরেন জানেই না এমনকি শুনেও নি কেনায়া তালাক সম্পর্কে। রাগারাগি বা ঝগড়ার সময় ধরেন মনে হয় একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারবে।তখন কেনায়া শব্দ বললে কি তালাক হয়? শুনেও নি ধরেন কেনায়া তালাক সম্পর্কে। শুধু স্প্ষ্ট তালাকের বিষয়ে জানত ধরেন।তখন কেনায়া শব্দ গুলোকে কি নিয়ত আছে বলে ধরা যায়? কারন জানত না এই তালাক সম্পর্কে এমনকি ধরেন এসব কথা বললে যে বিচ্ছেদ হতে পারে সেটাও জানত না তখন।তখনের রাগের মাথায় কেনায়া শব্দকে কি নিয়ত আছে বলে ধরা যায়? নাকি যায় না? কারন জানত না এই বিষয়ে তখন কি নিয়ত ধরা যাবে?
৩।কোন স্ত্রী যদি মেসেজে তালাক চায় আর স্বামী যদি বলে তালাক দিতে হবে না এতটুকুতে চলে যাও বা আরেকটা কর গা বিয়ে বা অন্য কেনায়া শব্দ বলে তাহলে কি তালাক হবে? তখন ধরেন স্বামী জানত না কেনায়া তালাক সম্পর্কে,শুনেও নি ধরেন। আর স্বামী চাইও না ধরেন স্ত্রীকে তালাক দিতে চায় না তাই অভিমান বা রাগ করে এমনটা বলেছে ধরেন।এতে কি তালাক হবে?