আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
158 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

প্রশ্নের লিন্কঃ ১. ifatwa.info/52467/

আরেকটা লিন্কঃ ifatwa.info/53651/

১।শুনেছি মেসেজে বা ফোনে তালাকের মজলিস হয় না।ইমদাদুল হুজুর বলেছিল মেসেজে স্ত্রী তালাক না চাইলে কোন কথা স্বামী নিয়ত ছাড়া বললেও তালাক হয় না।এমনকি বলেছিল স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে তুমাকে ছেড়ে দিব।এরপর ও নিয়ত ছাড়া বললে স্বামী কেনায়া শব্দ তবু তালাক হয় না।কারন স্ত্রী তালাক চায় নি। এখন প্রশ্ন হল স্ত্রী যদি  বলে তুমার সাথে থাকতে পারব না,সারাজীবন বা যদি বলে সংসার করতে পারব না।এখানে তহ স্ত্রী তালাক চায় নি।আর কেনায়া শব্দ নিয়ত ছাড়া বললেও তালাক হয় না।আর স্ত্রী যা বলেছে তখন স্বামী স্ত্রী ধরেন কেও জানত ও না কেনায়া তালাকের ব্যাপারে।যেহেতু স্ত্রী সরাসরি তালাক ও চায় নি। এমনিতে বলে রাগে উপরের কথা গুলো তাহলে তালাক হবে? শুনেছি মেসেজে বা ফোনে তালাকের মজলিস হয় না।স্ত্রী সরাসরি তালাক চায়লে স্বামী কেনায়া শব্দ বললে তালাক হয় যে।কিন্তু স্বামী স্ত্রী এক জায়গায় বসলে সেখানে তালাকের মজলিস হয়।সেখানে সংসার করবে  না বললে বা তালাকের আলোচনা করলে স্বামী কেনায়া শব্দ নিয়ত ছাড়া বললেও হয়ে যায়।মেসেজে তালাক না চাইলে কেনায়া শব্দ নিয়ত ছাড়া বললে তালাক হয় না।তহ উপরোক্ত কারনে কি তালাক হবে?

২।কোন মানুষ ধরেন জানেই না এমনকি শুনেও নি কেনায়া তালাক সম্পর্কে। রাগারাগি বা ঝগড়ার সময় ধরেন মনে হয় একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারবে।তখন কেনায়া শব্দ বললে কি তালাক হয়? শুনেও নি ধরেন কেনায়া তালাক সম্পর্কে। শুধু স্প্ষ্ট তালাকের বিষয়ে জানত ধরেন।তখন কেনায়া শব্দ গুলোকে কি নিয়ত আছে বলে ধরা যায়? কারন জানত না এই তালাক সম্পর্কে এমনকি ধরেন এসব কথা বললে যে বিচ্ছেদ হতে পারে সেটাও জানত না তখন।তখনের রাগের মাথায় কেনায়া শব্দকে কি নিয়ত আছে বলে ধরা যায়? নাকি যায় না? কারন জানত না এই বিষয়ে তখন কি নিয়ত ধরা যাবে?

 ৩।কোন স্ত্রী যদি মেসেজে তালাক চায় আর স্বামী যদি বলে তালাক দিতে হবে না এতটুকুতে চলে যাও বা আরেকটা কর গা বিয়ে বা অন্য কেনায়া শব্দ বলে তাহলে কি তালাক হবে? তখন ধরেন স্বামী জানত না কেনায়া তালাক সম্পর্কে,শুনেও নি ধরেন। আর স্বামী চাইও না ধরেন স্ত্রীকে তালাক দিতে চায় না তাই অভিমান বা রাগ করে এমনটা বলেছে ধরেন।এতে কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
https://ifatwa.info/45359/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে,
তালাক খুবই মারাত্মক  একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।
(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★যদি স্বামী তালাক দেয়ার উপর ধমক দিতে থাকে,বা স্ত্রী তালাক চায়,বা সেখানে অন্য কোনো ব্যাক্তি সেই স্বামীকে তালাক দেয়ার উপর উদ্ভুদ্ধ করে,তাহলে সেটিকে তালাকের মজলিস,মুযাকারায়ে তালাক বলা হবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
https://ifatwa.info/53651/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
স্ত্রী যদি বলে স্বামীকে তুমাকে ছেড়ে দিব বা তালাক দিব।অর্থাৎ স্ত্রী তালাক চায়নি। এরপর স্বামী কোনো কেনায়া শব্দ বলে,তাহলে  স্বামীর নিয়ত ছাড়া তালাক হবে না। কারন এখানে তো স্ত্রী তালাক চায়নি , তাই এখানে মুযাকারায়ে তালাক হয়নি।

★ প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও যেহেতু স্ত্রী তালাক চায়নি।
আর স্বামীরও তালাকের নিয়ত নেই।
তাই এক্ষেত্রে তালাক হবেনা। 
এটিকে মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের মজলিস বলা হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে সে যেহেতু কেনায়া তালাক সংক্রান্ত জানেইনা,তাই সেতো তালাকের নিয়তে কোনো কেনায়া বাক্য বলেনি।
তাই প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে তালাক হবেনা।

(০৩)
যদি স্ত্রী মেসেজে তালাক চায় আর স্বামী যদি বলে  আরেকটা কর গা বিয়ে,তাহলে তালাকের নিয়ত ছাড়াই তালাক হবে।

আর ইহা ছাড়া প্রশ্নে উল্লেখিত অন্যান্য বাক্য বলার ছুরতে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...