ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
কেহ যদি অন্যের জায়গায় অনুমতি ছাড়া গাছ লাগায়,তাহলে এক্ষেত্রে সেই জায়গার মালিকের অধিকার আছে,তার জায়গায় গাছ লাগানোর কারনে গাছের মালিক থেকে ভাড়া নেয়ার।
অথবা জায়গার মালিক চাইলে বলতে পারবে যে আপনি আপনার গাছ কেটে নিয়ে যান,অথবা গাছটি আমার কাছে বিক্রয় করুন।
অথবা তারা পরস্পরে সম্মতিতে গাছ/লতাপাতার ফল খাওয়ার চুক্তি করতে পারে।
সেক্ষেত্রে জায়গার মালিক হিসেবে আপনাদের জন্য ফল খাওয়া জায়েজ হবে।
যদি কোনো কিছুতেই গাছের মালিক উপরোক্ত কোনো বিষয়ের উপর রাজি না হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত জায়গার মালিকের জন্য অনুমতি রয়েছে সে যে গাছের গোড়া সহ কেটে তাহা গাছে মালিককে ফেরত দিবে।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-
"(ومن بنى أو غرس في أرض غيره بغير إذنه أمر بالقلع والرد) لو قيمة الساحة أكثر كما مر (وللمالك أن يضمن له قيمة بناء أو شجر أمر بقلعه)
(قوله بغير إذنه) فلو بإذنه فالبناء لرب الدار، ويرجع عليه بما أنفق جامع الفصولين من أحكام العمارة في ملك الغير". (6/194، کتاب الغصب، ط؛ سعید)
সারমর্মঃ-
কেহ যদি অন্যের ভূমিতে অনুমতি ছাড়া ঘর নির্মান করে,অথবা গাছ লাগায়,তাহলে তাহা কেটে ফেলার আদেশ দেয়া হবে।
অথবা মূল্য দিয়ে সেটা নিজ মালিকানাতেও নিতে পারবে।
(০২)
প্রচলিত পদ্ধতিতে মিলাদুন্নাবী সাঃ পালন করা বিদয়াত।
রাসুল সাঃ বলেন-
وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.
আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)
আরেক হাদীসে আছে-
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عن أمِّ المؤمنين أم عبدالله عائشةَ رضي الله عنها قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ((من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رَدٌّ))؛ [رواه البخاري ومسلم]،
‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এভাবে টাকা দেওয়াও জায়েজ নেই,সেই খাবার খাওয়াও জায়েজ নেই।
খাবার এনে থাকলে তাহা গরিব মিসকিনকে দিয়ে দিবেন।
(০৩)
সে ঘরের মানুষজন খেতে পারবে।
তবে তারা যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়,তথা তাদের উপর যদি যাকাত ফরজ হয়ে থাকে,তাহলে তাদের খাওয়ানোর দ্বারা মাইয়্যিতের নিকট ছওয়াব পৌছবেনা।
এই বিধান অন্যান্য ধনীদের খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
(০৪)
এটি আদায় করা যাবে।
রাসুলুল্লাহ সাঃ আদায় করতেন।
তবে দাঁড়াতে সমস্যা না হলে দাঁড়িয়েই আদায় করা ভালো।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْها أن النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كان يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ بعد الوتر وَهُوَ جَالِسٌ .
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বিতিরের পর বসে বসে দুই রা'কাত নামায পড়েছেন।(সহীহ মুসলিম-৭৩৮)
আরো জানুনঃ-