আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

১।কেউ কেনায়া তালাক সম্পর্কে ধরেন জানেও না শুনেও নি।শুধু স্প্ষ্ট তালাকের ব্যাপারে জানত।সে সব মানুষ না জেনে রাগে কেনায়া শব্দ বলে ফেললে রাগে আর পরে ভাল হয়ে গেলে কি তালাক হয়? রাগে হয়ত বলেছে তখন স্ত্রীকে ধরেন বিরক্ত লাগে ভাবা যায় ওকে ছাড়াও থাকা যায়।কিন্তু পরে ধরেন বুঝতে পারে স্ত্রীকে খুব ভালবাসে পারবে না থাকতে।না জেনে কেনায়া তালাক সম্পর্কে কেনায়া শব্দ বললে কি তালাক হয়?

২।কোন স্বামী বা স্ত্রী  ধরেন কেনায়া তালাক সম্পর্কে আগে জানত না।কোনদিন শুনেও নি।স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর পর মেসেজে সে কেনায়া শব্দ বলেছে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ হয়।মাঝে মাঝে স্ত্রীর  ধরেন ৮০-৯০ ভাগ মনে হয় বলেছিল মনে হয়।কিন্তু ১০ ভাগ মনে হয় বলে নি।স্বামীর তহ মনেই থাকে না। আগের কথা তহ।হয়ত অনেক ফাক ফুকর থেকে যেতে পারে যা হয়ত মনে নাই বা সব কিছু লাইন বাই লাইন মনে নেই।এভাবে কি সংসার ভেন্গে দেওয়া উচিত হবে? ভবিষ্যৎ এ খেয়াল রাখবে আর কি।আগের গুণাহ মাফ চাইলে হবে? একটা সংসার কি এভাবে ভেন্গে দেওয়া উচিত? মানুষটার মনে সবসময় ভয় তাড়া করে বেড়ায় আল্লাহ মাফ করবে তহ সেটা ভেবে কাদে।

৩।এখানে ২ নং প্রশ্নে তহ সংসার ভেন্গে দেয় নি।এমনিতে জিগ্যেস করেছে উচিত হবে কিনা। কারন ওরা সংসার করতে চায়। এমন প্রশ্ন করার কারনে কি বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হয়? মানে যার প্রশ্ন সে করলে? সে তহ মাসআলা নেওয়ার জন্য এমনটা বললে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নের বিবরণ মতে কেনায়া বাক্য বলার সময় প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির যেহেতু তালাকের নিয়ত ছিলোনা,তাই এতে তালাক পতিত হবেনা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৩)
এমন প্রশ্ন করার কারনে তার বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...