আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
174 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১.যদি কেউ আকিদা বিষয়ক বই পড়ার সময় যদি বুঝতে পারে যে, তার আকিদার  মধ্যে সমস্যা আছে।  শিরকে আকবর আছে বা কাজে বা কর্মে বা বিশ্বাসে কুফরি আছে। কিন্তু জানার পর ইস্তিগফার পড়ে। তাহলে কি তার ঈমান কি ভংগ হবে?   বিবাহিত হলে বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

২. সে ঈমান ভংগের কারন জানার পর  আকিদা বিষয়ক বই পরবে পরবে বলে অলসতার কারনে   এতদিন পড়েনি। কিন্তু আকিদা বিষয়ক বই    পড়ার পর বুঝতে   পারে যে তার আকিদার মধ্যে সমস্যা আছে। এতদিন অলসতার কারনে না পড়ার পরও কি ওজর বিল জাহেলিয়াত গ্রহণযোগ্য হবে?  যেহেতু অলসতার কারনে পড়ে নি?

৩.আমরা তিন ভাই বোন। আমার দুই বোনের বিয়ে হয়েছে।একটি ভিডিও একজন শায়েখের আলোচনাতে দেখলাম যে  জীবিত অবস্থায় কোন সন্তানকে কিছু দিলে সমান ভাবে দিতে হবে। এখন আমার প্রশ্ন হল-আমাকে যদি কোন মোবাইল বা ঘড়ি দেয় তাহলে কি আমার বোনদেরকেও কি সমান ভাবে দিতে হবে?

৪.তিন নাম্বার প্রশ্ন করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যদি কেউ আকিদা বিষয়ক বই পড়ার সময় যদি বুঝতে পারে যে, তার আকিদার  মধ্যে সমস্যা আছে।  শিরকে আকবর আছে বা কাজে বা কর্মে বা বিশ্বাসে কুফরি আছে। তাহলে সে জানার পর ঈমান নবায়ন করে নিবে।এবং বিবাহ দোহড়িয়ে নিবে। 

(২)
সে ঈমান ভংগের কারন জানার পর  আকিদা বিষয়ক বই পরবে বলে অলসতার কারনে এতদিন পড়েনি। কিন্তু আকিদা বিষয়ক বই পড়ার পর বুঝতে  পারে যে তার আকিদার মধ্যে সমস্যা আছে। এতদিন অলসতার কারনে না পড়ার কারণে ওজর বিল জাহালত গ্রহণযোগ্য নয়, বরং তাকে তাওবাহ করতে হবে, ঈমান নবায়ন করতে হবে, বিবাহকে দোহড়াতে হবে।

(৩)
পিতার মাতার জন্য জীবিত অবস্থায় সকল সন্তানকে সমান ভাবে কিছু দেয়া উচিৎ ও কাম্য তবে ফরয বা ওয়াজিব নয়। মাতাপিতা বিশেষ হেকমতে কোনো একজনকে বেশীও দিতে পারেন।এ রুখসতও তাদের রয়েছে। আপনাকে যদি মাতাপিতা বা তাদের কেউ একজন মোবাইল বা ঘড়ি দেয় তাহলে আপনার বোনদেরকেও সমান ভাবে দেওয়া মাতাপিতার উপর ওয়াজিব নয়। হ্যা, দেওয়াটা উচিৎ ও উত্তম।

৪.তিন নাম্বার প্রশ্ন করার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...