ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মু’আবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস সুলামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
আমার এক দাসী ছিল সে উহুদ ও জাওওয়ানিয়াহ এলাকায় আমার বকরীপাল চরাত। একদিন আমি হঠাৎ সেখানে গিয়ে দেখলাম তার বকরী পাল থেকে বাঘে একটি বকরি নিয়ে গিয়েছে। আমি তো অন্যান্য আদম সন্তানের মতো একজন মানুষ। তাদের মতো আমিও ক্ষোভ ও চপেটাঘাত করলাম। এরপর আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলাম (এবং সব কথা বললাম) কেননা বিষয়টি আমার কাছে খুবই গুরুতর মনে হলো। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রসূল! আমি কি তাকে (দাসী) মুক্ত করে দিব? তিনি বললেনঃ তাকে আমার কাছে নিয়ে আসো। সুতরাং আমি তাকে এনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে হাজির করলাম।
তিনি তাকে (দাসীকে) জিজ্ঞেস করলেনঃ (বলো তো) আল্লাহ কোথায়? সে বলল-আকাশে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (বলো তো) আমি কে? সে বললঃ আপনি আল্লাহর রসূল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ তুমি তাকে মুক্ত করে দাও, সে একজন মু’মিনাহ নারী।
(সহীহ মুসলিম-৫৩৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/48394
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীন ভাই/বোন!
(১)
দেখুন উক্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাঃ ঐ বাদীকে জিজ্ঞাসা করলেন, যে, আল্লাহ কোথায়? আমি কে? বাদী উত্তরে বলল, আল্লাহ আসমানে,এবং আপনি আল্লাহর রাসূল । অতঃপর রাসূলুল্লাহ বললেন, সে একজন মু’মিনাহ নারী।
সুতরাং এক আল্লাহর সাক্ষ্য প্রদাণ এবং মুহাম্মদ সাঃ কে আল্লাহর রাসূল বলে সাক্ষ্য প্রদাণ, এগুলোই ঈমানের জন্য যথেষ্ট। নবিগন নিষ্পাপ ছিলেন কি না? এ সম্পর্কে না জানলেও ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(২)
তাওবাহ করে নিলে তার ঈমানে সমস্যা হবে না। বিয়েকেও দোহড়াতে হবে না।
(৩)
না, প্রশ্ন লিখার কারণে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379