আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
193 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (67 points)
edited by

২/১ মাস আগে আপনার থেকে জানার জন্য একটি প্রশ্ন করেছিলাম,  https://ifatwa.info/52988/।  এই প্রশ্নের শেষ দুটি জবাব হয়তো দেওয়া হয় নাই, কিন্তু এখন বিষয়টি জানা প্রয়োজন যদি একটু জানিয়ে দিতেন ভালো হতো। (সংক্ষিপ্ত প্রেক্ষাপটঃ আমার নেসাব পরিমাণ সম্পদ নাই, সম্পদ, বলতে কিছু অর্থ, মোবাইল, একটা কাজের জন্য ল্যাপটপ, বই পত্র কিছু কাপড়ের মালিক, অন্য ফতোয়ায় বলেছিলেন আমি যাকাত থেকে খেতে পারবো )

১. এই অবস্থায় হারাম আয়ের কারো থেকে খেলে আমার কি আবার সদকা করতে হবে?

২. আগে বাচ্চাকাল থেকে যা যা খেয়েছি/হাদিয়া পেয়েছি সেগুলোর কি সাদকা দিতে হবে?(এইগুলা তো অনেক হয়ে যায় এতো টাকা এখন কিভাবে দিবো)

এই সংক্রান্ত আরো দুইটি জিনিস জানতে চাই,

৩.কেও যদি হারাম উপার্জনকারী কারো বাসায় যায় তবে কি যাওয়ার আগে তাদের বাসায় যে উপহার বা খাওয়ার জিনিস গুলো নিবো, এইগুলো যদি এই নিয়তে নেই যে,  তার বাসায় যে তার হারাম আয় থেকে খাবো এর বদলে তাদের জন্য এইগুলো নিয়ে নিলাম, তখন কি খাবার জায়েজ হবে? যদি আমার খাওয়ার পরিমান বেশি হয় বাকি টাকা সদকা করে দিলাম।

৪. যে হারাম উপার্জনকারী আমাকে খাওয়ালো বা হাদিয়া দিলো, ওই সমপরিমাণ টাকা আমি ওদের ই কি দিয়ে আসতে পারবো?

৫. কোথায় যেনো শুনেছিলাম না জেনেছিলাম যে ৪নং ও ৫ নং কাজ করা যায় শিওর হতে পারছি না তাই জানতে চাইলাম। যদি এভাবে করার পরেও জায়েজ হয় না তবে কি এই ভাবনার জন্য, এই ভাবে করাও জায়েজ বলার জন্য আমার ইমানের সমস্যা হবে?  এখন আপনি জায়েজ/নাজায়েজ যেটা বলবেন তার উপর আমল করবো, আমার ভাবনা ভুল হলে তওবা করবো এটা যথেষ্ট হবে?

৬. ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, তার নিকটে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, আমার একজন প্রতিবেশী আছে যে সূদ খায় এবং সর্বদা আমাকে তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়। এক্ষণে আমি তার দাওয়াত কবুল করব কি? জওয়াবে তিনি বললেন, مَهْنَأَهُ لَكَ وَإِثْمُهُ عَلَيْهِ ‘তোমার জন্য এটি বিনা কষ্টের অর্জন এবং এর গোনাহ তার উপরে’ (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/১৪৬৭৫, ইমাম আহমাদ আছারটি ‘ছহীহ’ বলেছেন; ইবনু রজব হাম্বলী, জামেঊল উলূম ওয়াল হিকাম (বৈরূত : ১৪২২/২০০১), ২০১ পৃঃ) 

এই কওল দিয়ে আহলে হাদীস বা সালাফীরা বলেন হারাম উপার্জনকারী থেকে খাওয়াও জায়েজ। তাদের এই ফতোয়া অনুসরণ করলে কি কুফরী হওয়ার  কুনো সুযোগ আছে?

৭.কোনো গরিব যদি জেনে যায় যে তাকে হারাম মাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বা হারাম থেকে সদকা করা হচ্ছে, তার জন্যও কি নাজায়েজ হয়ে যায় ওই মাল খাওয়া/নেওয়া?

৮. একটা গানের লাইন এমন " তু হিন্দু বানেগা না মুসলমান বানেগা, ইনসান কি আউলাদ তু ইনসান বানে গা" এই গান কি কুফরি? কুফরী হলে,  এটা কুফরি,এই তথ্য না জেনে গেলে কি কাফের হয়ে যাবে কেও? 

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আপনি যে লিংক দিয়েছেন, সেই লিংকে ভিজিট করলেই দেখতে পারবেন যে, সেখানে জবাব দেয়া। 

যেহেতু আপনার নেসাব পরিমাণ মাল নেই তাই আপনি এমতাবস্থায় হারাম আয় থেকে গ্রহণ করতে পারবেন।  

(২)
যেহেতু আপনার নেসাব পরিমাণ মাল নেই তাই অতীতে গ্রহণ করা মাল কে এখন আর সদকাহ করতে হবে না।

(৩)
জ্বী, নিয়তে যার বাসায় যাবেন, তার বাসায় হালাল টাকা দ্বারা কিছু ক্রয় করে নিয়ে যেতে পারবেন।অতিরিক্ত কিছু খেয়ে ফেললে, সেই টাকা সদকাহ করে দিবেন।

(৪)
জ্বী, দিয়ে আসতে পারবেন। 

(৫)
না, ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৬)
কুফরি হবে না।কেননা এটা ইজতেহাদি বিষয়। আর ইজতেহাদি বিষয়ে ভিন্ন মত মনের মধ্যে থাকলে কুফরি হবে না।তবে আপনি নিজ মাযহাবের উল্টো যেতে পারবেন। আপনি যদি হানাফি মাযহাবের অনুসারি হন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই হানাফি মাযহাব ফলো করতে হবে।

(৭)
জ্বী, এটা কুফরি মতবাদের গান। তবে না জেনে গাওয়ার জন্য কুফরি হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...