আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
173 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।২টি প্রশ্ন

আপনি বলেছিলেনঃ

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"স্ত্রী যদি মেসেজে বলে আমাকে মুক্তি দাও। স্বামী যদি নিয়ত ছাড়া বলে মুক্তি দিলাম। "

প্রশ্ন হল, স্ত্রী কেন বা কোন কারণে, কোন পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে এমনটা বলল, যে আমাকে মুক্তি দাও। স্ত্রী যদি তালাকের উদ্দেশ্যে বা ঝগড়ার মুহূর্তে বলে থাকে যে, '' আমাকে মুক্তি দাও" এবং এর জবাবে স্বামী বলে থাকে, মুক্তি দিলাম। তখন স্বামীর নিয়ত লাগবে না, এমনিতেই তালাক পতিত হয়ে যাবে। মুক্তি দাও কথা মূলত তালাকে  উদ্দেশ্য নিয়েই বলা হয়ে থাকে।

তবে যদি স্ত্রী বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে বলে থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় স্বামীর কথা "মুক্তি দিলাম" বলার দ্বারা তালাক পতিত হবে না।

বর্তমান প্রশ্নঃ  ধরেন স্বামী আর স্ত্রী তখন জানত না মুক্তি চাইলে বা স্বামী মুক্তি দিলাম বললে তালাক হয় সেটা।শুনেও নি স্ত্রী। কি উদ্দ্যশ্যে চেয়েছে ধরেন স্ত্রী নিজেই বুঝতেছে না কারন সে জানত না এভাবে তালাক হতে পারে সেটা।মেয়েটা মনকে বুঝ দেয় সে তালাকের নিয়তে চায় নি কারন সে তখন এসব নিয়ে জানত ও না।মেয়েটা  ঝগড়ার সময় আর কি রাগে বলেছিল আর কি তুমার এসব থেকে মুক্তি দাও অথবা মুক্তি দাও অথবা তুমার থেকে মুক্তি দাও।মেয়েটা জানত ও না এসবের কারনে তালাক হতে পারে সেটা।সে হয়ত বুঝাতে চায়ত কস্ট ঐ গুলো থেকে মুক্তি দিতে,জানে না সে বুঝতেছে না কোন উদ্দ্যশ্যে বলত।এখন মেয়েটা,ধরেন ওর স্বামীর সাথে থাকতে চায়।মেয়েটা খুবই চিন্তায়।ওর স্বামী বলেছে তালাকের নিয়তে কিছু বলে নি কোনদিন।সব কথা মেসেজে বা ফোনে হয়েছিল ধরেন।ওরা একসাথে থাকলে বা সংসার করলে কি গুনাহ হবে?

২।এটা আরেকটা প্রশ্ন।কোন স্ত্রী ধরেন মেসেজে জিগ্যেস করল  আপনি কোনদিন আমাকে ছেড়ে দেওয়ার নিয়তে কিছু বলেছিলেন আগে?স্বামী যদি বলে না।আরো যদি বলে ছেড়ে দিব বা ছেড়ে দিছি এগুলো এমনিতে তালাকের নিয়ত ছাড়া বলতাম যে।স্ত্রীর যদ্দুর  মনে পড়ে স্বামী এমনটা বলে নি।সিওর মনে নেই কিন্তু খুব বেশি মনে হচ্ছে এমনটা বলে নি ওর স্বামী।বাকিটা আল্লাহ জানে।স্বামীর কথা মনে থাকে না তাই আন্দাজে বলেছে হয়ত।কথা ভুলে যায় ওর স্বামী হয়ত আন্দাজে বলেছে। কারন স্বামী জানেও না কি কি বললে তালাক হতে পারে সেটা।এটা আগেও করেছিলাম মনে হয় প্রশ্ন।আপনি তালাক হবে না বলেছিলেন।এই কথাগুলো নিয়ে মেয়েটার মনে খুব বেশি ভয় গেথে গেছে।সে স্বামীর সাথে থাকতে চায়। তহ উক্ত কথাগুলো দ্বারা কি তালাক হবে?এই  প্রশ্নটা নিয়ে খুব চিন্তায় মেয়েটা।সবসময় ভয় আর ওয়াসওয়াসা আসতেই থাকে শুধু এই কথা গুলো নিয়ে ওর মনে।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বর্তমান প্রশ্নের উত্তর,

(১)
স্বামী আর স্ত্রী তখন জানত না মুক্তি চাইলে বা স্বামী মুক্তি দিলাম বললে তালাক হয় সেটা।শুনেও নি স্ত্রী। কি উদ্দ্যশ্যে চেয়েছে ধরেন স্ত্রী নিজেই বুঝতেছে না কারন সে জানত না এভাবে তালাক হতে পারে সেটা।মেয়েটা মনকে বুঝ দেয় সে তালাকের নিয়তে চায় নি কারন সে তখন এসব নিয়ে জানত ও না।মেয়েটা  ঝগড়ার সময় আর কি রাগে বলেছিল আর কি তুমার এসব থেকে মুক্তি দাও অথবা মুক্তি দাও অথবা তুমার থেকে মুক্তি দাও।মেয়েটা জানত ও না এসবের কারনে তালাক হতে পারে সেটা।সে হয়ত বুঝাতে চায়ত কস্ট ঐ গুলো থেকে মুক্তি দিতে,জানে না সে বুঝতেছে না কোন উদ্দ্যশ্যে বলত।এখন মেয়েটা,ধরেন ওর স্বামীর সাথে থাকতে চায়।মেয়েটা খুবই চিন্তায়।ওর স্বামী বলেছে তালাকের নিয়তে কিছু বলে নি কোনদিন।সব কথা মেসেজে বা ফোনে হয়েছিল ।

এমন হলে, তালাক হবে না।কেননা স্ত্রী তালাক চাওয়ার নিয়তে বলেনি। এখন ওরা একসাথে থাকলে বা সংসার করলে গুনাহ হবে না।

(২)
 স্ত্রী মেসেজে জিগ্যেস করল  আপনি কোনদিন আমাকে ছেড়ে দেওয়ার নিয়তে কিছু বলেছিলেন আগে? স্বামী যদি বলে না।আরো যদি বলে ছেড়ে দিব বা ছেড়ে দিছি এগুলো এমনিতে তালাকের নিয়ত ছাড়া বলতাম যে। স্ত্রীর যদ্দুর  মনে পড়ে স্বামী এমনটা বলে নি।স্বামীর কথা মনে থাকে না তাই আন্দাজে বলেছে হয়ত। কারন স্বামী জানেও না কি কি বললে তালাক হতে পারে সেটা।এটা আগেও করেছিলাম মনে হয় প্রশ্ন।আপনি তালাক হবে না বলেছিলেন। তহ উক্ত কথাগুলো দ্বারা তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...