আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,

শায়েখ,

(১) ওয়াইফের সাথের কথা কাটাকাটির এক পর্যায় সে অন্য ঘরে চলে যায় রাগ করে। পরে আসলে আমি বলি, কি শোক পালন করা হলো?
ঢেকি সর্গে গেলেও ধান ভাংগে। এটা কি কেনায়া বাক্য ???

(২)স্বাভাবিক কোন সময়ে "সরো" বাক্য উচ্চারন করলেই আমার ভয় লাগে।  জ্বর থাকার জন্য আমার ওয়াইফ আমার শরীল মুছে  দিচ্ছিল। আমি শোয়া থেকে উঠার জন্য ওয়াইফকে বললাম "সরো"। তালাক,তালাক মনে সবসময় চলতে থাকার কারনে তখনি মনের ভিতর তালাক শব্দ চলে এসেছে। তখন মনে হচ্ছে আমি কি "সরো" তালাকের উদ্দেশ্য বললাম? এরকম ভয় মনের ভিতর কাজ করছে। এখানে "সরো" কি কেনায়া বাক্য হবে?

(৩) একদিন ওয়াইফের সাথে মন মালিন্য হবার কারনে সে বাবার বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে ব্যাগ গুছিয়ে বাসার বাইরে চলে আসে। তখন আমি কিছুই বলিনি। চলে যেতেও বলিনি। কিছুক্ষনপর আবার ফিরে আসে। পরে এসব বিষয়ে আমি ও আমার মা খালার সাথে কথা বলছিলাম। আমি খালার সাথে বললাম, বাবার বাড়ি যাবার জন্য যখন বের হয়েছো তখন আবার  ফিরে আসলে কেন?  সম্ভবত এই কথা বলার পর কেনায়া শব্দ হয়ে যাবার ভয়ে আমি থেমে যায়। বলার ইচ্ছা ছিল : বাবার বাড়ি যাবার জন্য বের হয়েছো আবার ফিরে আসলে কেন? চলে যেতে পারতে।  কিন্তু কেনায়া শব্দ হয়ে যেতে পারে তাই ভয়ে বলা হয় নি।
এতে কি তালাক পতিত হবে শায়েখ??

(৪) আজ ঘুম ভাংগার সাথে সাথে আনমনা হয়ে হাতের আংগুল ঘসে তালাক লিখে ফেলছি। তারপরেই মনে হচ্ছে এ আমি কি লিখলাম।
এতে কি তালাক হবে শায়েখ?

# শায়েখ আপনি আগের বিভিন্ন প্রশ্নে আমাকে ওয়াসওয়াসার রোগি বলে আখ্যায়িত করে বলেছেন যে, আমার তালাক ও কুফুরি কিছুই কার্যকর হবে। তারপরেও একের পর এক সন্দেহ আমাকে কষ্ট  দিয়ে যাচ্ছে। একটু শান্তি আশায় বার বার প্রশ্ন করি। কিছু মনে করবেন না শায়েখ।#

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আপনার প্রশ্নের জবাব প্রস্তুত হচ্ছে।ইনশাআল্লাহ অচিরেই জবাব পেয়ে যাবেন। ধর্য সহকারে অপেক্ষার জন্য আন্তরিক অভিবাদন। জাযাকুমুল্লাহ।

প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে একটু মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন-
ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...