আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
311 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
স্ত্রী কে কি নিজ থেকে husband কে মাসনা করতে উৎসাহী করা উচিৎ? নাকি এটা husband এর উপর ছেড়ে দেয়া উচিৎ? এমন না যে উৎসাহী করতে স্ত্রী খুব ভালো অনুভব করে। কিন্তু সে বুঝে যে husband কিছুটা হলেও চায় সেটা। মাসনা শুধু কামনা বসনার জন্যে করতে চায়। এমন না যে ওটার জন্যে husband এর কোন রকম কষ্ট হচ্ছে । immediatly করতে না চায়লেও, জীবনের কোন এক পর্যায়ে করতে চায় । এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে স্ত্রী র husband এর জন্যে অনুভূতি কমতে থাকে। স্ত্রী ভাবেন husband এর জন্যে অনুভূতি কম থাকলে পরবর্তীতে কষ্ট কম হবে যখন যে মাসনা করবে।  উল্লেখ্য স্বামী, স্ত্রীর হক আদায়ের ব্যাপারে অনেক সচেতন মা শা আল্লাহ্। তিনি ভালো মানুষ বারাকাল্লাহ ।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্ত্রীর সব ধরনের হক আদায়ের পর নতুন বিয়ের পরেও সমান তালে সব অধিকার পালন করার আত্মবিশ্বাস থাকলেই কেবল যৌক্তিক কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায়।

قال اللہ تعالی:فإن خفتم ألا تعدلوا فواحدة الآیة (سورہ نسا، آیت:۳)
আল্লাহতায়ালা বলেন, একাধিক বিয়ের সুবিধা যাদের আছে, তারা যদি সম অধিকার বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভীত হও, তাহলে এক বিয়ে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাক।

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ : «إِذَا كَانَتْ عِنْدَ الرَّجُلِ امْرَأَتَانِ فَلَمْ يَعْدِلْ بَيْنَهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّه سَاقِطٌ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُوْ دَاودَ وَالنَّسَائِىُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِىُّ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো পুরুষের দু’জন সহধর্মিণী থাকে আর সে তাদের মধ্যে যদি ন্যায়বিচার না করে, তবে সে কিয়ামতের দিন একপাশ ভঙ্গ (অঙ্গহীন) অবস্থায় উঠবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/6683

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী কি একাধিক স্ত্রীর হক আদায় করতে সক্ষম বা পরবর্তীতে একাধিক স্ত্রীর হক আদায় করতে পারবে? যেহেতু এ বিষয়টা স্বামীর সাথে একান্তভাবে জড়িত। তাই এ বিষয়ে স্বামীই এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। তাছাড়া সতিন তো সতিনই, সে সর্বদা ক্ষতির চেষ্টা করেই যাবে, আপনি যতই সহানুভূতি দেখান না কেন, এক সময় সে আপনার বিরুদ্ধাচরণ করবে অথবা আপনি তার বিরুদ্ধাচরণ করবেন। সুতরাং সর্বদিক বিবেচনায় স্ত্রীর জন্য উৎসাহ না দেয়াই উচিৎ বলে মনে হচ্ছে। হ্যা, এ সবকিছু আল্লাহর জন্য মেনে নিতে পারলে স্বামীকে উৎসাহ প্রদাণই উচিৎ বলে মনে হচ্ছে। কেননা এদ্বারা আখেরাতে আপনার মর্যাদা বৃদ্ধি হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...