বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্ত্রীর সব ধরনের হক আদায়ের পর নতুন বিয়ের পরেও সমান তালে সব অধিকার পালন করার আত্মবিশ্বাস থাকলেই কেবল যৌক্তিক কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায়।
قال اللہ تعالی:فإن خفتم ألا تعدلوا فواحدة الآیة (سورہ نسا، آیت:۳)
আল্লাহতায়ালা বলেন, একাধিক বিয়ের সুবিধা যাদের আছে, তারা যদি সম অধিকার বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভীত হও, তাহলে এক বিয়ে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাক।
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ : «إِذَا كَانَتْ عِنْدَ الرَّجُلِ امْرَأَتَانِ فَلَمْ يَعْدِلْ بَيْنَهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّه سَاقِطٌ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُوْ دَاودَ وَالنَّسَائِىُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِىُّ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো পুরুষের দু’জন সহধর্মিণী থাকে আর সে তাদের মধ্যে যদি ন্যায়বিচার না করে, তবে সে কিয়ামতের দিন একপাশ ভঙ্গ (অঙ্গহীন) অবস্থায় উঠবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/6683
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী কি একাধিক স্ত্রীর হক আদায় করতে সক্ষম বা পরবর্তীতে একাধিক স্ত্রীর হক আদায় করতে পারবে? যেহেতু এ বিষয়টা স্বামীর সাথে একান্তভাবে জড়িত। তাই এ বিষয়ে স্বামীই এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। তাছাড়া সতিন তো সতিনই, সে সর্বদা ক্ষতির চেষ্টা করেই যাবে, আপনি যতই সহানুভূতি দেখান না কেন, এক সময় সে আপনার বিরুদ্ধাচরণ করবে অথবা আপনি তার বিরুদ্ধাচরণ করবেন। সুতরাং সর্বদিক বিবেচনায় স্ত্রীর জন্য উৎসাহ না দেয়াই উচিৎ বলে মনে হচ্ছে। হ্যা, এ সবকিছু আল্লাহর জন্য মেনে নিতে পারলে স্বামীকে উৎসাহ প্রদাণই উচিৎ বলে মনে হচ্ছে। কেননা এদ্বারা আখেরাতে আপনার মর্যাদা বৃদ্ধি হবে।