আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

১,আমাদের নাভী সাধারণত হাফ ইঞ্চির গভীর হয়,কিন্তু আমার স্ত্রীর তা দেড় ইঞ্চি।সে ফরজ গোসলে যখন সেখানে পানি দেয় তিনবার নখ যতটুক সমভব ঢুকিয়ে নাড়াচাড়া করে। কিন্তু আমি তাকে দেখিয়ে দিই আংগুল টা আরো একটু ঢুকবে, সেও তার ছোট আংগুল পরে ঢুকিয়ে দেখে আরো ঢুকে। এখন সমস্যা হল ওর নাভীর গর্ত অনেক প্যাচ যুক্ত ও চামড়ার চর্বি যুক্ত। পরে আরো ঢুকিয়ে যতটুক পাওয়া গেল এটা সাধারণ চোখেত দেখা যায় ই না,সোজা আংগুল চালালেও বুঝা যাবেনা,যদি না কসরত করে একটু ভিতরে ঢুকানো হয়।ত আমার স্ত্রী এতদিন এত ভিতরে পানি দিত না।সে মনেনকরত এটাত শরীরের বাইরের অংশ না।আর অর আংগুল যতটুক সাধারণ ভাবে যায় আরকি তত টুক পানি দিত।বেশি গভীরে ঢুকিয়ে সব জায়গায় পানি পউছাচ্ছে কিনা এটা নিশ্চিত করাও ও কষ্টকর।

এখন প্রশ্ন পূর্বের ফরজ গোসল কি হয়েছে ধরব? এই প্রশ্ন আগেও একবার করেছিলাম যদিও কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্তে আসা যায়নি

২,একইভাবে কানের গর্তে পানি দেয়ার জব্য আংগুল ঢুকানো কি অত্যাবশক ফরজ গোসলে? কানের যেহেতু তা নরম অংশ।ঠেস বা শক্ত দিয়ে ঢুকালে বেশি দূর আংগুল যায় আবার স্বাভাবিক ভাবে দিলে অত দূর যায়না। এক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবে গর্তে যতটুক আংগুল ঢুকে এভাবে দিলে পূর্বের গোসল সমূহ সহীহ হবে কি?

৩,নামাজ শেষে লিংগ চেক করে দেখি(কারণ নামাজের ভেতর অনুভুতি হচ্ছিল) কিসুটা পানি দেখা যাচ্ছে।কিন্তু তা বাইরের চামড়ার ওখানে আসেনি।সাধারন ভাবে লিংগ হাত দিয়ে ধরে (কোনো চাপ বা ঠেস দিয়ে ধরা ছাড়া) যতটুক গর্ত দেখা যায় সেখানে আসছে।উক্ত নামাজ হয়েছে কি?

৪,স্ত্রী যদি বারবার ভুল করে আর স্ত্রীকে এরজন্য বলে তালাকের নিয়তে যে, 'তুমি আর দুইবার সুযোগ পাবা/বা তোমার সুযুগ আর দুইবার।' এতে কি তালাক হবে? মানে আর দুইবার করলে সাথে সাথে তালাক হবে বা তালাক দিবে

1 Answer

0 votes
by (588,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
"وَيَجِبُ إيصَالُ الْمَاءِ إلَى دَاخِلِ السُّرَّةِ. وَيَنْبَغِي أَنْ يُدْخِلَ أُصْبُعَهُ فِيهَا لِلْمُبَالَغَةِ، كَذَا فِي مُحِيطِ السَّرَخْسِيِّ."
নাভীর ভিতরাংশে পানি পৌছানো ওয়াজিব। উচিৎ হল, হাতের আঙ্গুলকে নাভীর ভিতরাংশে পৌছিয়ে দেয়া।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৪)

"إذَا تَوَضَّأَ و اغتسل وَبَقِيَ على يَدِهِ لُمْعَةٌ فَأَخَذَ الْبَلَلَ منها في الْوُضُوءِ أو من أَيِّ عُضْوٍ كان في الْغُسْلِ وَغَسَلَ اللُّمْعَةِ يَجُوزُ."
অজু বা ফরয গোসল করার সময় যদি হাতের পানির কিছু অংশ থেকে যায়, এবং সেই পানি দ্বারা অজু বা গোসলের এমন কোনো অঙ্গকে ধৌত করা যা ইতিপূর্বে ভিজেনি, তাহলে এটা জায়েয রয়েছে। এভাবে অজু করা যাবে।পবিত্রতা অর্জিত হবে।(আল-বাহরুর রায়েক-১/৯৮)

الْأَقْلَفُ إذَا اغْتَسَلَ مِنْ الْجَنَابَةِ وَلَمْ يُدْخِلْ الْمَاءَ دَاخِلَ الْجِلْدَةِ جَازَ. كَذَا فِي الْمُحِيطِ وَفِي وَاقِعَاتِ النَّاطِفِيِّ وَهُوَ الْمُخْتَارُ. كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة وَيُدْخِلُ الْمَاءَ الْقُلْفَةَ اسْتِحْبَابًا. كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ-
খতনা হয়নি এমন পুরুষ যদি জানাবতের ফরয গোসল করতে চায়, এবং চামড়ার নীচে পানি প্রবেশ না করায়, তাহলে সেটা জায়েয রয়েছে। তবে খতনা বিহীন ব্যক্তির জন্য চামড়ার নীচে পানি পৌছানো মুস্তাহাব।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৪)



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
যদি কারো নাভী বেশ গভীরতম থাকে, তাহলে পানি পৌছিয়ে দিলেই যথেষ্ট হবে।আঙ্গুল পৌছানো জরুরী নয়।সুতরাং আপনার স্ত্রী যে অতীতে শুধুমাত্র পানি পৌঁছিয়েছেন, আঙ্গুল প্রবেশ কারননি, এতেকরে উনার অজু বিশুদ্ধ হয়েছে।

(২)
স্বাভাবিক ভাবে আঙ্গুল যতটুকু প্রবেশ করবে, ততটুকু আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে নিলে ফরয গোসল হয়ে যাবে।

(৩)
লজ্জাস্থানের বাহিরের অংশে কোনো কিছু পরিলক্ষিত না হলে আপনার পবিত্রতা অবশিষ্ট রয়েছে।আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে।

(৪)
 'তুমি আর দুইবার সুযোগ পাবা/বা তোমার সুযোগ আর দুইবার।' 

এই কথা তালাকের নিয়তে বললেও তালাক হবে না।।কেননা এখানে অতীতের তালাকের কথা স্বীকার করা হচ্ছে, অথচ বাস্তবে সে অতীতে তালাক দেয়নি। সুতরাং এইসব কথা দ্বারা তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,600 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...