আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (6 points)
আমি গত দুই সেপ্টেম্বর একটি কসম খেয়েছিলাম, এবং সেই কসম পূর্ণ করতে পারিনি।
কাফফারা কি খাবার খাওয়ানো/বস্ত্র দেয়া, (গোলাম আযাদ-যা সম্ভব না) এবং ৩ রোজা -
এই তিনটির যেকোনো একটি করলেই হবে, নাকি কোরআনে বর্ণিত তারতীব মেনে প্রথমটি না পারলে দ্বিতীয়টি এবং ২য়টি না পারলে ৩য়টি পালন করতে হবে?
উল্লেখ্য, আমার খাবার/উহার মূল্য দানের মাধ্যমে কাফফারা আদায়ের সামর্থ্য আছে।
খাবারের টাকাই যদি দিতে হয় সেক্ষেত্রে জনপ্রতি কত টাকা দিতে হবে? সদকাতুল ফিতরের পরিমান? সেটি বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী কত হয়- সেটিও জানালে উপকৃত হব।
আর সব টাকা একজন মিসকিনকে দিলেই হবে, নাকি ১০ জন ব্যক্তিকেই দিতে হবে, সেটিও জানাবেন।
১০ জনকে দিতে হলে একবারে দুই বেলার টাকা দিলেই হবে নাকি দুই বেলায় আলাদা আলাদা ডেকে/গিয়ে টাকা দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে,(১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক।(২)অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে।(৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।(সূরা মায়েদা-৮৯)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1808

إذَا صَامَ الْمُكَفِّرُ يَوْمَيْنِ ثُمَّ وَجَدَ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ مَا يُطْعِمُ أَوْ يَكْسُو لَمْ يُجْزِئْ الصَّوْمُ وَعَلَيْهِ الْكَفَّارَةُ بِالْإِطْعَامِ أَوْ الْكُسْوَةِ وَإِنْ صَامَ الْمُعْسِرُ يَوْمَيْنِ ثُمَّ وَجَدَ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ مَا يَعْتِقُ فَعَلَيْهِ التَّكْفِيرُ بِالْمَالِ وَالْأَوْلَى أَنْ يُتِمَّ صَوْمَ يَوْمِهِ وَإِنْ أَفْطَرَ فَلَا قَضَاءَ كَذَا فِي الْمَبْسُوطِ لِشَمْسِ الْأَئِمَّةِ السَّرَخْسِيِّ.
যদি কসম ভঙ্গকারী দুইদিন রোযা রাখে, অতঃপর তৃতীয় দিন মিসকন খাওয়ানো বা পোষাক পরিধান করানোর মত সামর্থ্য হয়ে যায়, তাহলে তখন রোযা দ্বারা কাফফারা আদায় বিশুদ্ধ হবে না। বরং উনাকে মিসকিন খাওয়ানো বা পোষাক পরিধান করানোর মাধ্যমে কাফফারা আদায় করতে হবে।
যদি গরীব ব্যক্তি দুইদিন রোযার পর তৃতীয় দিন গোলাম আযাদ করার মত সামর্থ্য হয়ে যায়, তাহলে তখন মাল দ্বারা কাফফারা আদায় করতে হবে।উত্তম হল, রোযাকে পূর্ণ করা।তবে ভেঙ্গে ফেললেও কাযা আসবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৬৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কসমের কাফফার ক্ষেত্রে কুরআনে বর্ণিত তারতীবকে ফলো করতে হবে। যেহেতু আপনার খাবার খাওয়নোর সামর্থ্য আছে, তাই আপনাকে খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমেই কাফফারা আদায় করতে হবে।

খাবার দ্বারা দিলে জনপ্রতি ১.৬৫ কেজি আটার মূ্ল্য দিতে হবে। একজনকেও দিতে পারবেন।আর দশজনকেও দিতে পারবেন। দশজনকে দিলে প্রত্যেকজনকে ১.৬৫ কেজি আটার মূল্য দিতে হবে।আর একজনকে দিলে ১৬.৫ কেজি আটার মূল্য দিতে হবে। আর খাওয়ানোর মাধ্যমে দিলে ১০ জনকে দুই বেলা খাওয়াতে হবে।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...