ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে,(১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক।(২)অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে।(৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।(সূরা মায়েদা-৮৯)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1808
إذَا صَامَ الْمُكَفِّرُ يَوْمَيْنِ ثُمَّ وَجَدَ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ مَا يُطْعِمُ أَوْ يَكْسُو لَمْ يُجْزِئْ الصَّوْمُ وَعَلَيْهِ الْكَفَّارَةُ بِالْإِطْعَامِ أَوْ الْكُسْوَةِ وَإِنْ صَامَ الْمُعْسِرُ يَوْمَيْنِ ثُمَّ وَجَدَ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ مَا يَعْتِقُ فَعَلَيْهِ التَّكْفِيرُ بِالْمَالِ وَالْأَوْلَى أَنْ يُتِمَّ صَوْمَ يَوْمِهِ وَإِنْ أَفْطَرَ فَلَا قَضَاءَ كَذَا فِي الْمَبْسُوطِ لِشَمْسِ الْأَئِمَّةِ السَّرَخْسِيِّ.
যদি কসম ভঙ্গকারী দুইদিন রোযা রাখে, অতঃপর তৃতীয় দিন মিসকন খাওয়ানো বা পোষাক পরিধান করানোর মত সামর্থ্য হয়ে যায়, তাহলে তখন রোযা দ্বারা কাফফারা আদায় বিশুদ্ধ হবে না। বরং উনাকে মিসকিন খাওয়ানো বা পোষাক পরিধান করানোর মাধ্যমে কাফফারা আদায় করতে হবে।
যদি গরীব ব্যক্তি দুইদিন রোযার পর তৃতীয় দিন গোলাম আযাদ করার মত সামর্থ্য হয়ে যায়, তাহলে তখন মাল দ্বারা কাফফারা আদায় করতে হবে।উত্তম হল, রোযাকে পূর্ণ করা।তবে ভেঙ্গে ফেললেও কাযা আসবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৬৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কসমের কাফফার ক্ষেত্রে কুরআনে বর্ণিত তারতীবকে ফলো করতে হবে। যেহেতু আপনার খাবার খাওয়নোর সামর্থ্য আছে, তাই আপনাকে খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমেই কাফফারা আদায় করতে হবে।
খাবার দ্বারা দিলে জনপ্রতি ১.৬৫ কেজি আটার মূ্ল্য দিতে হবে। একজনকেও দিতে পারবেন।আর দশজনকেও দিতে পারবেন। দশজনকে দিলে প্রত্যেকজনকে ১.৬৫ কেজি আটার মূল্য দিতে হবে।আর একজনকে দিলে ১৬.৫ কেজি আটার মূল্য দিতে হবে। আর খাওয়ানোর মাধ্যমে দিলে ১০ জনকে দুই বেলা খাওয়াতে হবে।