বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
একজনের টাকা এবং অপরজনের শ্রম, এরকম ব্যবসাকে শরীয়তে মুদারাবাহ ব্যবসা বলা হয়। মুদারবাহ ব্যবসা বৈধ। তবে শর্ত হল, পার্সেন্টিস হিসেবে চুক্তি হতে হবে।
পার্সেন্টিছ হিসেবে উভয় চুক্তিকারী নিজ নিজ হিসসায় যতটুকুর জন্য সম্মত হবে, তারা ততটুকুই মুনাফা পাবে। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বা বস্তুকে নির্দিষ্ট করা জায়েয হবে না।
قال صاحب الهداية: (وَمِنْ شَرْطِهَا أَنْ يَكُونَ الرِّبْحُ بَيْنَهُمَا مُشَاعًا لَا يَسْتَحِقُّ أَحَدُهُمَا دَرَاهِمَ مُسَمَّاةً) مِنْ الرِّبْحِ لِأَنَّ شَرْطَ ذَلِكَ يَقْطَعُ الشَّرِكَةَ بَيْنَهُمَا وَلَا بُدَّ مِنْهَا كَمَا فِي عَقْدِ الشَّرِكَةِ.(الهداية-3/226)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি মুদারাবার শর্ত মতে সে আপনাকে মুনাফা দেয়, তথা আপনার কাছ থেকে টাকা নেয়ার সময় যদি শরীয়তের বিধান মত চুক্তি হয়ে থাকে, তাহলে আপনাকে সে যে মুনাফা দেবে, সেই মুনাফা আপনার জন্য জায়েয হবে। কিন্তু যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ কোনো অর্থ বা বস্তুর চুক্তি করে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য এ মুনাফা জয়েয হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/12438
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বাবা এখন উনাকে জিজ্ঞাসা করবেন যে, ঐ টাকা দ্বারা লাভ কত হয়েছে। যা লাভ হবে, তা আপনার আব্বা এবং উনার ব্যবসায়িক পাটনার পূর্বনির্ধারিত হিস্যা অনুসারে বন্টন করে নিবেন। যদি উনি খাতাপত্রে ঐ টাকার নির্দিষ্ট কোনো লাভ দেখাতে না পারেন, তাহলে আপনার আব্বা তার কাছ থেকে সম্পূর্ণ টাকা ফিরিয়ে নিবেন। কেননা আপনার বর্ণিত পদ্ধতির ব্যবসায় সুদের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।