জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো,যেই ফরজ নামাজের পর সুন্নাত নামাজ আছে,সেই ফরজ নামাজের সালাম ফিরানোর পর দেড়ি করা ছাড়াই সুন্নাত আদায় করা মাসনুন।
অবশ্য
«اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَام تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجلَال وَالْإِكْرَام»
বা এই জাতীয় দোয়া পড়ার সুযোগ রয়েছে।
এর থেকে বেশি দেড়ি করা মাকরুহে তানযিহি।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَلَّمَ لَمْ يَقْعُدْ إِلَّا مِقْدَارَ مَا يَقُولُ: «اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجلَال وَالْإِكْرَام» . رَوَاهُ مُسلم
উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ফরজ) সালাতের সালাম ফিরাবার পর বসতেননা তবে শুধু এ দু‘আটি শেষ করার পরিমাণ সময় অপেক্ষা করতেন, ‘‘আল্ল-হুম্মা আন্তাস সালা-ম, ওয়া মিনকাস্ সালা-ম, তাবা-রকতা ইয়া- যালজালা-লি ওয়াল ইকর-ম’’ (অর্থা- হে আল্লাহ! তুমিই শান্তির আঁধার। তোমার পক্ষ থেকেই শান্তি। তুমি বারাকাতময় হে মহামহিম ও মহা সম্মানিত)।
( সহীহ : মুসলিম ৫৯২, মিশকাত৷ ৯৬০)
یکرہ أخیر السنة إلا بقدر اللہم أنت السلام الخ قال الشامي: لأن السنة من لواحق الفریضة واتوابعہا ومکمّلاتہا فلم تکن أجنبیة عنہا․ (الدر المختار: ۱/ ۲۴۶، ط: زکریا دیوبند)
সারমর্মঃ-
সুন্নাত আদায় দেড়ি করা মাকরুহ,তবে আল্ল-হুম্মা আন্তাস সালা-ম, (শেষ পর্যন্ত) পড়া সমপরিমাণ সময় দেড়ি করা যাবে।
কেননা সুন্নাত ফরজ নামাজের তাবে'।
وأما ما ورد من الأحادیث في الأذکار عقیب الصلاة فلا دلالة فیہ علی الإتیان قبل السنة؛ بل یحمل علی الإتیان بہا بعدہا (الدر المختار: ۲/ ۲۴۶، ط: زکریا دیوبند)
সারমর্মঃ-
হাদীস শরীফে ফরজ নামাজের পর যে সমস্ত যিকির আযকারের কথা উল্লেখ রয়েছে,সুন্নাতের আগে এসব যিকির আযকার করার কোনো ইঙ্গিত নেই।
বরং এগুলো সুন্নাত নামাজ পড়ার পর পড়তে উদ্ভুদ্ধ করে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ফরজ নামাজের পর(ফজর এবং আসর ব্যতীত) আয়াতুল কুরসি,তাসবীহে ফাতেমী,মাসনুন দুয়াসমূহ সুন্নত নামাজ পড়ার পরে পড়তে হবে।