ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
□ সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয় ৬ কারণে। যথা-
১) কোন রুকন আগে
করে ফেলা।
২) কোন রুকনকে
আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা।
৩) কোন রুকনকে
তাকরার তথা বারংবার আদায় করা।
৪) কোন ওয়াজিবকে
পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন জোরে পড়া বিষয়কে
আস্তে পড়া।
৫) কোন ওয়াজিবকে
ছেড়ে দেয়া।
৬) এমন কোন
সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে
দেয়া
أنه يجب بستة أشياء: بتقديم ركن،
وبتأخير ركن، وتكرار ركن، وبتغيير واجب، وبترك واجب، وبترك سنّة تضاف إلى جميع
الصلاة (المحيط البرهانى، كتاب الصلاة، الفصل السابع فى سجود السهو-1/501)
মর্থার্থ: ছয়
কারণে সেজাদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়। যথা: ১) কোন রুকন আগে করে ফেলা, ২) কোন রুকনকে আপন সময় বা
স্থান থেকে দেরী করে ফেলা। ৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা বারংবার আদায় করা। ৪) কোন
ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন জোরে পড়া
বিষয়কে আস্তে পড়া। ৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া। ৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা
পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া
হাদীস শরীফে
এসেছেঃ
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ
مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ
الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ
عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ
حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ
আবূ হুরাইরাহ
(রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার
ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা
দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট
হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর
চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯.
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক
ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)
চুরি করা কবীরা
গুনাহের অন্তর্ভুক্ত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৮)। যথাসাধ্য চেষ্টার পরেও
যদি মালিককে খুঁজে পাওয়া না যায়, তখন উক্ত টাকা
তার নামে ছাদাক্বা করে দিতে হবে। তাহ’লে আশা করা যায় আল্লাহ ক্ষমা করবেন। উল্লেখ্য
যে, মালিক শনাক্ত হওয়ার পরেও
লজ্জা বা অপমান মনে করে তাকে তার সম্পদ ফিরিয়ে না দিলে এবং তার নিকট মাফ না চাইলে
মনে রাখতে হবে যে, ইহকালের শাস্তি ও অপমান
হ’তে পরকালের শাস্তি ও অপমান অনেক কঠিন এবং ভয়াবহ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১২৭)
আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/26858/?show=26858#q26858
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে আপনার নামাজ সহীহ হয়ে গিয়েছে। উক্ত নামাজ আর পড়া লাগবে না।
২. যদি উক্ত
চুরিকৃত বাল্বের দাম ৩০০ টাকা বা তার থেকে কম হয়ে থাকে এবং তার স্ত্রীর তার
স্বামীকে উক্ত ৩০০ টাকা দিয়ে দেওয়ার ওয়াদা করে থাকে এবং দিয়েও দেয় তাহলে
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত হক আদায় হয়েছে বলে ধরা হবে। তবুও উক্ত কাজের জন্য
অনুতপ্ত হতে হবে এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে তাওবা করতে হবে।