আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
777 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)

আসসালামু আলাইকুম

  • ১.দাইউস হওয়া থেকে বাচার উপায় কি যদি মা, বোন দের দ্বীনের কথা বলি তাহলেই কি আমার দ্বায়িত্ব পালন হবে?তাহলে কি আমি দাইউস হবো?বাবা আর ভাই  দ্বীনের কথা বললে কটু কথা শুনায় যদি তাদের জন্য মা বোন রা দ্বীন সঠিকভাবে না পালন করে পর্দা না করে সঠিকভাবে  তাহলে কি আমি দাইউস হবো?এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি?
  • ২.আমি নামাজে দাড়াইয়া মনে মনে বলি রব তোমার সন্তুষ্টির জন্য ফজরের ২ রাকাত ফরজ নামাজ ইমামের পিছে শুরু করছি মনে মনে এভাবে নামাজের নিয়ত করলে তা কি বিদায়াত হবে?
  • ৩.শুধু টিস্যু ব্যবহার করলে পবিত্রতা অর্জন হবে কি প্রস্রাবের পর?
  • ৪.আল্লাহকে সর্বশ্রেষ্ঠ বললে কি শিরক হবে?  সর্বশ্রেষ্ঠ কে ভাংলে হয় সবার শ্রেষ্ঠ আল্লাহ কে তুলন করা হয়ে যায়না? কুরআনের কোনো আয়াতের অর্থ তে আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ কথাটা উল্লেখ করছেন?
  • ৫.জামাতের সাথে আসরের সালাত আদায়ের সময় শুধু এক রাকাত ইমামের সাথে পাইলে আর ছুটে যাওয়া বাকী ৩ রাকাত নামাজ পড়ার সময় যদি ১ম বৈঠকে না বসে ভুলক্রমে দাঁড়িয়ে যাই আবার সাথে সাথে বসে যাই তারপর সাহু সিজদা দেই তাহলে কি সালাত আদায় হয়ে যাবে নাকি আবার পড়ে নিতে হবে সালাত টা?
  • ৬.আল্লাহকে সর্বশক্তিমান বললে নাকি শিরক হবে?একজন আলেম বলেছিলেন এমনটা আল্লাহ সকল কিছুর উপর শক্তিধর বা শক্তিশালী এমন করে বলতে হবে।সর্ব কথাটা আল্লাহর শানের খেলাফ তাই সর্বশক্তিমান বলা যাবেনা!
  • ৭.হারাম ইনকাম বা সুদখোর এমন বন্ধু মানে বন্ধুর বাবা সুদখোর হলে যদি সে বাসায় কোনো উপায় না পেয়ে বা বন্ধু রাগ করতে পারে ভেবে খেয়ে ফেলি কিন্তু এমন খাওয়াকে হালাল না মনে করে খাই তাহলে কি আমার সালাত কবুল হবে অই হারাম খাওয়ার পড় থেকে?আল্লাহর কাছে তওবা করলে কি আল্লাহ মাফ করবেন?

1 Answer

0 votes
by (707,280 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

  • (১)কেউ নিজ মা,বোন ও আত্মীয়-স্বজনকে দ্বীনের রাস্তায় নিয়ে আসার যথাসাধ্য চেষ্ট প্রচেষ্টা করার পরও যদি মাতপিতা দ্বীনের রাস্তায় না আসে,তাহলে এক্ষেত্রে ছেলের সন্তান দায়ুস হবে না।
  • (২)
ﻭَﻣَﺎ ﺃُﻣِﺮُﻭﺍ ﺇِﻟَّﺎ ﻟِﻴَﻌْﺒُﺪُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻣُﺨْﻠِﺼِﻴﻦَ ﻟَﻪُ ﺍﻟﺪِّﻳﻦَ ﺣُﻨَﻔَﺎﺀ ﻭَﻳُﻘِﻴﻤُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻭَﻳُﺆْﺗُﻮﺍ ﺍﻟﺰَّﻛَﺎﺓَ ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺩِﻳﻦُ ﺍﻟْﻘَﻴِّﻤَﺔِ
তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম।

قَالَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -:انما الأعمال بالنيات ،
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, আ’মল নিয়তের উপর নির্ভরশীল।
وَقَالَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: «لَا عَمَل َلِمَنْ لَا نِيَّةَ لَ
রাসুৃলুল্লাহ সাঃ বলেন, যার নিয়ত নেই, আমল গ্রহণযোগ্য নয়

নিয়ত হচ্ছে, অন্তরের বিষয়।অন্তর দিয়ে নিয়ত করতে হয়।শুধুমাত্র মূখে উচ্ছারণ করাকে জরুরী মনে করা বিদআত। তবে অন্তরে যা রয়েছে সেটাকে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা যাবে। এবং অন্তরের ইচ্ছাকে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা সুন্নাত।

وَاعْلَمْ أَنَّ النِّيَّةَ لَا تَتَأَدَّى بِاللِّسَانِ؛ لِأَنَّهَا إرَادَةٌ وَالْإِرَادَةُ عَمَلُ الْقَلْبِ لَا عَمَلُ اللِّسَانِ؛ لِأَنَّ عَمَلَ اللِّسَانِ يُسَمَّى كَلَامًا لَا إرَادَةً إلَّا أَنَّ الذِّكْرَ بِاللِّسَانِ مَعَ عَمَلِ الْقَلْبِ سُنَّةٌ فَالْأَوْلَى أَنْ يَشْغَلَ قَلْبَهُ بِالنِّيَّةِ وَلِسَانَهُ بِالذِّكْرِ
প্রকাশ থাকে যে,নিয়ত জবান দ্বারা আদায় হয় না।কেননা নিয়ত হল, ইরাদা বা ইচ্ছার নাম।আর ইরাদা বা ইচ্ছা অন্তরের বিষয়।সেটা জবানের বিষয় না।কেননা জবান দ্বারা যা উচ্ছারিত হয়,সেটাকে 'কালাম' বলা হয়,ইরাদা বলা হয় না।হ্যা অন্তরের ইচ্ছার সাথে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা সুন্নাত।সুতরাং উত্তম হল,অন্তরে কাজের নিয়ত রাখা এবং সাথে সাথে জবান দ্বারা সেই নিয়তকে উচ্ছারণ করা।(আল জাওহারাতুন-নাইয়্যিরাহ-১/৪৮)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অর্থ সহ আরবী তে মুখস্থ থাকলে ভালো।আরবীতেই বলবেন।তবে অর্থ জানা না থাকলে, মনের কথাকে বাংলাতেই জবান দ্বারা উচ্ছারণ করে নিয়ত করে নিবেন।জাযাকুমুল্লাহ।বিস্তারিত জানুন-1254

  • (৩) 4461 নং ফাতাওয়ায় আমরা লিখেছি......প্রস্রাব পায়খানা করার পর শুধুমাত্র ঢিলা বা শুধুমাত্র পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যাবে।এমনকি পানি থাকাবস্থায়ও ঢিলা ব্যবহার করা যাবে।এবং ঢিলা ও পানি উভয়টিকে একসাথেও ব্যবহার করা যাবে।শুধুমাত্র ঢিলা ব্যবহার করে পবিত্রতা অর্জন করা সম্পর্কে যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( من توضأ فليستنثر ، ومن استجمر فليوتر )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি অজু করতে যাবে সে যেন তিনবার নাকে পানি দেয়ার পর নাককে জেড়ে পরিস্কার করে।আর যে ব্যক্তি ঢিলা ব্যবহার করতে যাবে সে যেন বেজোড় সংখ্যার ঢিলা ব্যবহার করে।(সহীহ বোখারী-১৫৯,সহীহ মুসলিম-২৩৭) বিস্তারিত জানুন- 2151 ঢেলার স্থানে টিস্যু ব্যবহার করা যাবে।ইহা দ্বারা ঢেলা ব্যবহারের সুন্নাহ আদায় হয়ে যাবে।
  • (৪)সর্বশ্রেষ্ঠ বলতে সবার উপর ক্ষমতাবান।সুতরাং শিরিক হবে না।
  • (৫)নামায হয়ে যাবে।
  • (৬)শিরিক হবে না।
  • (৭)এমন খাবার খাওয়ার পর নিজ পকেট থেকে ঐ পরিমাণ মূল্য সদকাহ করে দিলেই হবে।তারপর তাওবাহ ও  ইবাদত কবুল হবে, ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...